দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দুই মাসের জন্য আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চার সদস্যের ইলেকশন এক্সপার্ট টিমের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। শনিবার বিকালে ভার্চুয়ালে এ বৈঠক হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে নজরুল ইসলাম খানসহ পাঁচ নেতা ছিলেন।
ইইউর ইলেকশন এক্সপার্ট টিমে ছিলেন-ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড (ইলেকশন এক্সপার্ট), আলেকজান্ডার ম্যাটাস (ইলেকটোরাল এনালিস্ট), সুইবেস শার্লট (ইলেকটোরাল এনালিস্ট) এবং রেবেকা কক্স (লিগ্যাল এক্সপার্ট)। এর আগে বুধবার ঢাকায় পৌঁছায় ইইউর চার সদস্যের নির্বাচনি এক্সপার্ট টিমটি।
ইইউর ইলেকশন এক্সপার্ট টিমের কাছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা। সারা দেশের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হামলা, হত্যার কথা জানিয়ে নেতারা বলেছেন, তাদের কোনো নেতাকর্মীই নিজ বাসায় থাকতে পারছেন না। মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়া হচ্ছে। দেশে নির্বাচনের কোনো পরিস্থিতি নেই। বিরোধী নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। একটি একতরফা নির্বাচন করা হচ্ছে। যেখানে দেশের ৬০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে অংশ নেওয়া এক নেতা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তারা ভার্চুয়ালে বৈঠক করতে বাধ্য হয়েছেন। এক ঘণ্টারও বেশি সময় এ বৈঠক হয়। এতে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশসহ পরবর্তীতে সরকারের ও বিভিন্ন সংস্থার ভূমিকার বিষয়ে জানানো হয়েছে। মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতারের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ২০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী গ্রেফতারসহ গণহারে সাজা দেওয়ার কথাও অবহিত করা হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় কেন-তার ব্যাখা দিয়েছেন। বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে। কিন্তু এ আন্দোলনকে দমানোর জন্য সরকারের নানা কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও জানানো হয়।