ইফতারে আপেল-খেজুর খাওয়ার প্রয়োজন না থাকলে দোকানে যেন না দেখি: গয়েশ্বর

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ইফতারে আপেল, খেজুর খাওয়ার যদি প্রয়োজন না থাকে তবে এগুলো দোকানে রাখার দরকার কী? এগুলো যেন দোকানে না দেখি।

রমজানে আপেল-খেজুরের বদলে বরই খেতে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির অন্যতম শীর্ষ নেতা এ কথা বলেন।

গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বরই দিয়ে ইফতার করেন না কেন? আঙুর-খেজুর লাগবে কেন? আপেল লাগবে কেন? আর কিছু নেই আমাদের দেশে? পেয়ারা দেন না, সব কিছু দেন। প্লেটটা ওভাবে সাজান।’

গয়েশ্বর রায় বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের যে চলার গতি সেটি কিন্তু থেমে নাই। এটি জাতির জন্য সুভাগ্য। সব শ্রেণি পেশার মানুষই আজ আহত, নিষ্পেষিত। তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত পুরো দেশকে নিয়ে।

গণতান্ত্রিক বিশ্বে ভারতকে বাদ দেয়া যায় না জানিয়ে তিনি বলেন, যাদের ৭২ বছরের গণতন্ত্রের প্রচলন আছে। তাদের নিজের দেশে গণতন্ত্র থাকলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকুক সেটা তারা চান না।

‘বাংলাদেশে সার্বভৌমত্ব থাকবেই কেন, আমাদের সেনা ঘাঁটিতে যদি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিস করা যায়, আসা যায়। তাহলে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিরাপদ থাকবে, এটা ভাবা আর বোকার স্বর্গে বাস করা এক কথা না। পৃথিবীর কোন দেশে এমন নিয়ম আছে?’

ভারতের সহযোগিতায় যদি ৯ মাসে দেশ স্বাধীন হয়, আর সহযোগিতা না করে যদি ৯ বছর লাগত তাহলে এমন পঙ্গুত্ব বরণ করতে হতো না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম। সভাপতিত্ব করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম প্রমুখ।

Source link

এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে ফেইসবুক পেজটি লাইক দিন এবং এই রকম আরো খবরের এলার্ট পেতে থাকুন

 আরো পড়তে পারেন:  

Loading...