ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে দেশটিতে ২৮ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ছয় প্রার্থীকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৯ জুন) ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। যাদের বেশিরভাগই রক্ষণশীল দলের বলে জানা গেছে।
অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রার্থীরা হলেন- পার্লামেন্টের রক্ষণশীল স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, অতি রক্ষণশীল সাবেক পারমাণবিক আলোচক সাইদ জলিলি, তেহরানের রক্ষণশীল মেয়র আলিরেজা জাকানি এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদ ফাউন্ডেশনের অতি রক্ষণশীল প্রধান আমির হোসেন গাজিজাদেহ-হাশেমি। রক্ষণশীল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পৌরমোহাম্মাদিকেও নির্বাচনে অংশ নিতে অনুমোদন দেওয়া হয়।
ইরানের পার্লামেন্টে তাবরিজের প্রতিনিধিত্বকারী আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত। তাদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, এ নির্বাচনে পার্লামেন্ট স্পিকারসহ ৮০ জন প্রার্থী ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিলে নাম নিবন্ধন করেছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ছয়জনের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নাম ঘোষণা হয়।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড় থেকে বাদ পড়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। ২০১৭ ও ২০২১ সালেও তিনি এ পদে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছিলেন। আরও বাদ পড়েছেন মধ্যপন্থি সাবেক পার্লামেন্ট স্পিকার আলী লারিজানি ও ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সাবেক কমান্ডার ওয়াহিদ হাঘানিয়ানসহ বেশ কয়েকজন।
গেল মে মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার মৃত্যুর পরই দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয় হয়। চলতি মাসের ২৮ তারিখে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে।