হিজবুল্লাহর সমর্থন পেলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে চায় লেবাননে অবস্থানরত ফিলিস্তিনিরা। লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একটি শরনার্থী শিবিরে বসবাসরত আহমেদ হাবেত বলেন, আমি মাতৃভূমির জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত। ভবিষ্যতের চিন্তা করি না।
আহমেদ হাবেতের মতো আরো অনেকে রয়েছেন লেবাননে। বৈরুতের বুর্জ আল বারাজনাহ শরনার্থী শিবিরে বাস করেন তারা। তাদের সবার একই মত। দেশরক্ষায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে চান তারা।
শনিবার ইসরাইলে হামাসের হামলার পর পাল্টা হামলা করেছে ইসরাইল। তিন দিন ধরে চলছে দুই দেশের যুদ্ধ। এ পর্যন্ত ৮০০ ইসরাইলি ও ৫৬০ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে এ যুদ্ধে।
এদিকে ইসরাইল-হামাস সংঘাতে হস্তক্ষেপ করলে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন অবস্থানগুলোতে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরাইলের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর ঘোষণা দেওয়ার পরপরই এ হুঁশিয়ারি দিল সংগঠনটি।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহর মুখপাত্র বলেছেন, ফিলিস্তিন ইউক্রেন নয়। যুক্তরাষ্ট্র যদি (ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতে) সরাসরি হস্তক্ষেপ করে, তাহলে এ অঞ্চলের সব মার্কিন অবস্থান প্রতিরোধ বাহিনীর লক্ষ্যে পরিণত হবে এবং আমাদের আক্রমণের মুখোমুখি হবে এবং সেই দিন কোনো লাল রেখা (রেড লাইন) থাকবে না।
এর আগে, হামাস হামলা শুরুর একদিন পর রোববার ইসরাইলকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় হিজবুল্লাহও। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানায়, লেবানন থেকে ইসরাইলের দিকে বেশ কয়েকটি মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এর জেরে পাল্টা গোলা নিক্ষেপ করে ইসরাইল।
লেবানন থেকে নিক্ষিপ্ত মর্টার শেলগুলো বিরোধপূর্ণ মাউন্ট ডভ অঞ্চলে পড়েছিল বলে দাবি করেছে ইসরাইলি বাহিনী। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত বা কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
হামলার দায় স্বীকার করে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা মাউন্ট ডভ অঞ্চলে ইসরাইলের তিনটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল।