দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলেও, নগরবাসী এবং যানবাহন চালকদের অনেকেই জানেন না, কোন পয়েন্ট দিয়ে উঠতে এবং নামতে হবে। নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে সুবিধাজনক পথ খুঁজতে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। যার ফলে, গতিময় উড়াল সড়কের সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে অনেককেই।
অভিযোগগুলোর সমাধান খুব বেশি কঠিন হয়তো না। তবে, প্রচার কম থাকায় এজন্যই যানজটের ভোগান্তি যতোটা কমার কথা, ততোটা কমছেনা । এই বিড়ম্বনার দায় কিছুটা নিজেদের জানাশোনার অভাব, আর কিছুটা কর্তৃপক্ষের প্রচারের ঘাটতিতে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে গিয়ে, জানা না থাকায় ভুল করে নামার র্যাম্পের সামনে গিয়ে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে অনেক চালককে। অনেকে আবার উড়াল সড়কে ওঠার নিকটবর্তী এন্ট্রি পয়েন্ট খুঁজেও পাচ্ছেন না! তাদের জন্যই পথনির্দেশনা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষের।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে কাওলা প্রান্ত থেকে শুরু করে ফার্মগেট পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার জন্য নির্ধারিত র্যাম্প আছে ছয়টি। যারমধ্যে মহাখালী এবং বনানীর দুটি এখনও চালু করা হয়নি। উত্তরা থেকে ফার্মগেট অভিমুখী যানবাহনকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে হবে কাওলা দিয়ে।
আর, মগবাজার-ফার্মগেটসহ দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এলাকাগুলো থেকে আসা যানবাহনকে উঠতে হবে বিজয় সরণী ওভারপাসের সাথে যুক্ত র্যাম্প দিয়ে। এছাড়া, আর্মি গলফ ক্লাব এবং বনানী রেলস্টেশনের সামনে থেকে ওঠার জন্য আছে দুটি র্যাম্প।
অন্যদিকে, উড়াল সড়ক থেকে নামার জন্য নির্ধারিত র্যাম্প আছে ৭টি। উত্তরা থেকে আসা যানবাহনের নামার শেষ র্যাম্প ফার্মগেট প্রান্তের তেজগাঁও কলেজের কাছে। তার আগে মহাখালী বাসস্টেশনের ঠিক বিপরীতে এবং কাকলী মোড়ে আছে দুটি নামার র্যাম্প।
এছাড়া, উত্তরাগামী যানবাহন নামতে পারবে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ এর বিপরীত দিকের বিমানবন্দর সড়কে, কুড়িল বিশ্বরোডে এবং বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনের র্যাম্প দিয়ে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উপরে পর্যাপ্ত পথ-নির্দেশনা দেয়া আছে। নিচে মূল সড়কের বিভিন্ন অংশে, নির্দিষ্ট দূরত্বেও এমন নির্দেশিকার ব্যবস্থা করা গেলে, উড়াল সড়কে ওঠার পথ সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে। আর তা করা গেলে, নিশ্চিতভাবেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ব্যবহার বাড়বে।
Source: ATN-BANGLA