করোনাভাইরাস থেকে সম্পূর্ণভাবে সেরে ওঠার পর ওই রোগীর শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। তারপর এই প্লাজমা ওই একই ভাইরাসে আক্রান্ত অন্য একজনের শরীরে শিরাপথে প্রবেশ করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কীভাবে কাজ করে: কনভ্যালেসেন্ট প্লাজমায় যে নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি থাকে, তা আক্রান্ত রোগির ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন রিসেপ্টরের সাথে আবদ্ধ হয়ে সংক্রমণ করার পথ বন্ধ করে। এ ছাড়া এ প্লাজমা ভাইরাসের প্রদাহী প্রতিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং অন্যান্য প্লাজমা উপাদান যেমন- কমপ্লিমেন্ট, ক্লটিং ফ্যাক্টর, সাইটোকাইন প্রভৃতি রোগীর শরীরের ভাইরাস বিরোধী ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়।
করোনা রোধে প্লাজমা থেরাপি: মূলত তিনটি কারণে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসায় কনভ্যালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপির ব্যবহার নিয়ে ব্যাপকভাবে গবেষণা শুরু হয়েছে। প্রথমত, এটি সুনির্দিষ্ট ও সফল বিকল্প। যেমন- অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ কিংবা টিকা ইত্যাদি না থাকা।
দ্বিতীয়ত, ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাস, ২০১২ সালে মার্স ভাইরাস এবং সর্বশেষ বর্তমান মহামারীর শুরুর দিকে চীনের উহানে প্লাজমা থেরাপির সফলতা ও বিগত বিভিন্ন সময়ের প্লাজমা থেরাপির সাফল্য। যদি এককথায় বলা যায়, ৩০-৪০ শতাংশ মারাত্মক ও সংকটাপন্ন রোগীদের অন্তত ৩ দিন আগে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের যন্ত্র থেকে ফেরানো গেছে। যাদের প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়নি তাদের তুলনায়। অর্থাৎ ৩০-৪০% মৃত্যুহার কমানো গেছে।
তৃতীয়ত, এটি হিউম্যান ব্লাড প্রডাক্ট, যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই সামান্য। ফলে মানবদেহে এর গবেষণায় বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার ইথিক্যাল ক্লিয়ারেন্স পেতে কোনো বাঁধার সম্মুখীন না হওয়া।
সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি