প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বাংলাদেশ ও ভারত মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, মাছের ঘের, বিধ্বস্ত হয়েছে বাড়িঘর। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বেশ কিছু উপজেলা।
রোববার মধ্যরাতে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে দক্ষিণ থেকে উত্তরের দিকে অগ্রসর হলেও, এখনো ঝড়ের প্রভাব কমেনি খুলনা ও বরিশালের উপকূলীয় জেলাগুলোতে।
সোমবার বিকেলে ঢাকায় সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালে উপকূলীয় এলাকার ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে, আর আংশিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার ঘরবাড়ি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব পড়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও। এর প্রভাবে কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রোববার রাতভর বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছে কলকাতার বিভিন্ন অংশ, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, সুন্দরবনসহ বিভিন্ন অঞ্চল।
রিমালের প্রভাবে রবি ও সোমবার মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী বিভিন্ন জেলায় এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতার বিভিন্ন অংশ জলমগ্ন যার প্রভাব পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং জনজীবনে। কোথাও গাছ উপড়ে যাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাহত হয়েছে।
পার্ক স্ট্রিট এবং এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের মাঝের ট্র্যাকে পানি ঢুকে পড়ে ব্যাহত কলকাতা মেট্রোর পরিষেবা। মাত্র কয়েকটি স্টেশনের মধ্যেই এদিন বেলা পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চলেছে।
বাংলাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রশাসন জানাচ্ছে, রাস্তার ওপর গাছে পড়ে থাকায় অনেক এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা চালানো যাচ্ছে না। সেই সাথে ঝড়ের প্রভাব পুরোপুরি না কমায় শুরু করা যাচ্ছে উদ্ধার অভিযান।
বাগেরহাট, পিরোজপুর, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় এলাকার অসংখ্য মাছের ঘের, ফসলি জমি তলিয়ে গেছে পানির নিচে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মঙ্গলবারের তৃতীয় ধাপের ১৯টি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রিমাল উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসাবে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকেও নয় নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের ছয় জেলায় ১০ জনের মৃত্যু
এখন পর্যন্ত উপকূলীয় ছয়টি জেলায় ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, সরকারের প্রস্তুতির কারণে বড় ক্ষয়ক্ষতি হয় নাই। তবে এ পর্যন্ত ১০ জন প্রাণ হারিয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে বলেন, “ভোলায় যারা মারা গেছেন তাদের দুই জন গাছ চাপায় এবং একজন ঘর চাপায় মারা গেছে।”
সৎকারের জন্য প্রতিটি পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে সহযোগিতা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার ভোরে বরিশালের রূপাতলী এলাকায় বহুতল ভবনের দেয়াল ধসে ২ জন নিহত হন। বাতাসের তীব্রতায় একটি আবাসিক হোটেলের মালিক লোকমান হোসেন ও কর্মচারী মোকছেদুল মারা যান।
সকালে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার টেক্সটাইল এলাকায় দেয়াল চাপায় মারা গেছেন এক পথচারী। ঝড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টিতে ওই এলাকার একটি দেয়াল ধসে পড়লে এতে চাপা পড়ে মারা যান হৃদয় নামের ওই যুবক। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস তার মরদেহ উদ্ধার করে।
অন্যদিকে পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মারা গেছেন দুইজন। এর মধ্যে, দুমকী উপজেলায় একজন গাছ চাপায়, বাউফলে ঝড়ের তাণ্ডবে অফিসটি ভেঙে পড়লে তার নিচে চাপা পড়ে মারা যান একজন।
এর আগে, রোববার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালি আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকত মোড়ল নামে এক বৃদ্ধ মারা যান। একইদিন বিকেলে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধূলাসর ইউনিয়নের কাউয়ারচর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে প্লাবিত এলাকা থেকে বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে মো. শরীফুল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়।
পশ্চিমবঙ্গে যে প্রভাব পড়েছে
ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের সাগর দ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝামাঝি এলাকা থেকে অতিক্রম করেছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব পড়েছে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অংশে। ঝড়ে সেখানে পাঁচজনের মৃ্ত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রোববার এবং সোমবার মিলিয়ে ঝড় ও বৃষ্টির প্রকোপে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষত উপকূলবর্তী অংশে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রিমেলের তাণ্ডবে বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেছেন, “কিছু কিছু জায়গায় ট্রান্সফরমার উড়ে গিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত পরিষেবা আবার চালু করা যায়।”
পার্ক স্ট্রিট এবং এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের মাঝের ট্র্যাকে পানি ঢুকে পড়ে ব্যাহত হয় কলকাতা মেট্রোর পরিষেবা। মাত্র কয়েকটি স্টেশনের মধ্যেই এদিন বেলা পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চলেছে।
দুর্যোগের প্রভাব পড়েছে ট্রেন পরিষেবার উপরেও। একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায়, পরে অবশ্য কয়েকটি ট্রেন চালু করা হয়। রবিবার থেকে বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকার ২১ ঘণ্টা পর সোমবার সকালে তা চালু হয়।
এদিকে, সোমবার দুপুর পর্যন্ত কলকাতা, দুই পরগনা, হাওড়া, নদিয়াতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছ। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি, সুন্দরবনে ঝোড়ো বাতাস-সহ বৃষ্টি হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে দুর্যোগ পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে। রিমালের মোকাবিলা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
রিমালে বাড়িঘড় বিধ্বস্ত, পানিবন্দি লাখো মানুষ
তীব্র জলোচ্ছ্বাস, জোয়ারের পানি ৪-৮ ফুট বৃদ্ধি পাওয়া রোববার সকাল থেকে প্লাবিত হতে শুরু করে দক্ষিণ উপকূলের অসংখ্য বাড়িঘর।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে খুলনা, সাতক্ষীরা ও পটুয়াখালী জেলাসহ উপকূলীয় ১৯ জেলার ১০৭ উপজেলার ৯১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকায় অসংখ্য বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। পানিতে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম।
রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনার কয়রা উপজেলার ৩টি জায়গার বাঁধ ভেঙে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সাংবাদিক ওবায়দুল কবির সম্রাট।
মি. সম্রাট বিবিসি বাংলাকে বলেন, রোববার রাতে জোয়ারের তীব্র চাপে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সিংহেরকোণা, মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের বেলাল গাজীর বাড়ির সামনের বাঁধ ভেঙে গেছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বাগেরহাট সদর, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, মোংলা ও শরণখোলাসহ বিভিন্ন এলাকার নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধ ভেঙে এবং জোয়ারের পানি উপচে লোকালয় প্রবেশ করেছে। এসব এলাকায় ১ হাজার ৭০০ মিটারের বেশি জায়গা পানির নিচে তলিয়েছে।
বাগেরহাটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জায়গা প্লাবিত হয়েছে মোড়েলগঞ্জ উপজেলায়। এই উপজেলার তিন থেকে পাঁচ ফুট উঁচু জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহ বিবিসি বাংলাকে বলেন, এই উপজেলায় খোন্তাকাটা ও সাউথখালী ইউনিয়নের দুটি জায়গা থেকে পানি ঢুকেছে শরণখোলায়। রিমালের প্রভাবে প্রচুর গাছপালা ও বাড়িঘর ভেঙ্গেছে।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মি. রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, জেলার বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকে গেছে। পিরোজপুরের সকল নিম্নাঞ্চলই প্লাবিত হয়ে গেছে। বাড়িঘরে পানি উঠে গেছে। উপজেলার যে রাস্তাঘাটগুলো রয়েছে সেগুলো বেশিরভাগই পানির নিচে।
ঝড় ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ এলাকাগুলোর সাথে ভোলার যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামান।
তিনি জানান এই ঝড়ে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজার বাড়িঘর আংশিক এবং আড়াই হাজার বাড়ি ঘর সম্পূর্ণ রূপে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর তারা পেয়েছেন।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন এলাকা
রোববার সকাল থেকে ঝড়ের প্রভাব শুরু হয় উপকূলীয় জেলাগুলোতে। এটি চলে সোমবার বিকেল পর্যন্ত।
থেমে থেমে দমক হাওয়া, ঝোড়ো বৃষ্টি ও তীব্র ঝড়ে অনেক জায়গায় গাছপালা পড়ে সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মূল সড়কের যোগাযোগ দ্রুত সচল করার চেষ্টা থাকলেও ছোটখাটো সড়কে এখনো গাছপালা পড়ে রয়েছে।
খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরিশালের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন পানির নিচে। ফলে এসব এলাকার অনেক রাস্তাঘাটেই যোগাযোগ বন্ধ হয়ে রয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মি. আরিফুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে বলেন, “ভোলা থেকে চরফ্যাশনসহ দ্বীপ এলাকাগুলোতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে। ঝড়ে গাছ পড়ে বিভিন্ন এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর সেগুলো স্বাভাবিক করার কাজ চলছে।”
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, দুমকী, গলাচিপাসহ বিভিন্ন এলাকায় একই অবস্থার খবর পাওয়া যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমের খবরে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা জানিয়েছে, “ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন সড়কে বড় বড় গাছ পড়ে থাকায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।”
দুপুরে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক জাহেদুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, “পিরোজপুরের রাস্তাঘাটগুলো বেশিরভাগই পানির নিচে রয়েছে। যে রাস্তাগুলো গাছ পড়ে বন্ধ গেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় সেগুলোকে রাস্তা থেকে অপসারণ করা হচ্ছে।”
১৯ উপজেলায় ভোট স্থগিত
ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে তৃতীয় ধাপের ১৯ উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম এই তথ্য জানান। আগামী বুধবার এসব উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল।
যেসব উপজেলায় নির্বাচনে স্থগিত হয়েছে সেগুলো হল, বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা; খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালীর সদর উপজেলা, মির্জাগঞ্জ ও দুমকী; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলার তজুমুদ্দিন ও লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া; বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং রাঙামাটির বাঘাইছড়ি।
ইসি সচিব মি. আলম বলেন, নির্বাচনি এলাকায় জলোচ্ছ্বাসে পানি প্রবেশ করেছে। কোথাও কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। কোথাও কোথাও ঘূর্ণিঝড়ে গাছ উপড়ে পড়েছে, কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আমরা নির্বাচন স্থগিত করেছি।
আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে দেশের ১১৯টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। ১৯টি স্থগিত হওয়ায় এখন ৯০টি উপজেলায় ভোট হবে।
তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেলে এই সংখ্যা দু-একটি বাড়তেও পারে। এটি বিস্তারিত তথ্য পেলে বলা যাবে।