শোক দিবস, শিশু দিবস ও সাতই মার্চসহ জাতীয়ভাবে পালন হত এমন আটটি দিবস বাতিল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি এক বৈঠকে আটটি দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এবং শিগগিরই এসব দিবস বাতিল করে পরিপত্র জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বাতিল হওয়া দিবসগুলোর মাঝে পাঁচটিই শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত।
এর মধ্যে আছে ১৭ই মার্চ, এটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। এ দিনটি ১৯৯৬ সালে তৎকালীন মন্ত্রিসভা ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে, এবং ১৯৯৭ সালের ১৭ই মার্চ থেকে দিনটি
সরকারিভাবে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল।
এছাড়া ১৫ই অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছিল। এক সামরিক অভ্যুত্থানে এ দিনে ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হন।
এ দিনটি ২০০৮ সাল থেকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন হত, এবং এ দিনে সরকারি ছুটি থাকত। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১৩ই অগাস্ট অন্তর্বর্তী সরকার এই দিনের সাধারণ ছুটি বাতিল ঘোষণা করে।
এছাড়া পাঁচই অগাস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের জন্মদিন, আটই অগাস্ট বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন, এবং ১৮ই অক্টোবর শেখ রাসেলের জন্মদিন – এই সবকটি দিনই জাতীয়ভাবে পালন হয়ে আসছিল।
উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তে বাতিল হতে যাওয়া বাকি তিন দিবস হল ঐতিহাসিক সাতই মার্চ, চৌঠা নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস এবং ১২ই ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।