ছাত্রদের জাতীয় নাগরিক কমিটি ঘোষণা, সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে

বগুড়ায় হামলার শিকার হয়েছেন আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম, যিনি সবার কাছে ‘হিরো আলম’ নামে পরিচিত। এসময় তাকে কান ধরে উঠবসও করানো হয়।

রোববার দুপুরে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর মি. আলম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বিএনপিকর্মীরাই তার ওপর হামলা চালিয়েছে।

“আজকে বিএনপির লোকেরা যে হামলা শুরু করলো, তাতে কী মনে করছেন, দেশ স্বাধীন হইছে?….বিএনপি ক্ষমতায় না আসতেই বিএনপি লোকের পাওয়ার বেড়ে গেছে,” বলেন মি. আলম।

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির করার অভিযোগ তুলে কিছু যুবক এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও মি. রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মি. আলম।

“আমি যদি কোনোদিন তারেক জিয়াকে নিয়ে কোনোকিছু বলে থাকি, যদি ফুটেজ বের করতে পারেন, আমি জুতোর মালা দিয়ে ঘুরে বেড়াবো,” সাংবাদিকদের বলেন মি. আলম।

তিনি আরও বলেন, “ডিবি হারুন আমার পরিবারকে জিম্মি করে রিজভী সাহেবের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছিল। এই কথা আগেও বলেছি। এরপরও আমাকে আদালতের মতো জায়গায় আপনাদের সামনে পেটানো হলো।”

হামলার সঙ্গে জড়িতের সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হিরো আলম।

তিনি বলেন, “যারা এই হামলা করেছে তাদের সবার ফুটেজ আছে। শনাক্ত করে এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে”

এদিকে, হামলার ঘটনার আগে একটি মামলা করতে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়েছিলেন মি. আলম। সেখানে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণার সময় তাকে মারধর এবং ২০২৩ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তিনি।

মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন এবং সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ বেশ কয়েক জনকে আসামি করা হয়েছে।

“বিগত ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন ও ২০২৩ সালের উপ-নির্বাচনে আমার ওপরে হামলা হয়েছে। আমার ভোট কারচুপি কথা হয়েছে। এইসব অভিযোগে ৩৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি,” সাংবাদিকদের বলেন মি. আলম।

আরো পড়তে পারেন:  বন্যা: 'আমার বউ, বাচ্চা, বাবা, মা…সবাই খাবার অভাবে মারা যাইতেছে'

অন্যদিকে, হিরো আলমকে মারধরকারীদের সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে বগুড়া জেলা বিএনপি।

“আজ হিরো আলমকে যারা মেরেছে তাদের সাথে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। ভিডিওতে দেখা গেছে সেখানে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী ছিল না,” বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা।

তিনি আরও বলেন, “সব কিছুতে বিএনপিকে দোষারোপ করা একটা কালচারে পরিণত হয়েছে। বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি দল। তাই একটি মহল বিএনপিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আজকে যে ঘটনা ঘটেছে সেখানে বিএনপিকে অন্যায়ভাবে দোষারোপ করা হয়েছে।”

বিএনপির নাম ব্যবহার করে কেউ কোন অপরাধ করলে তাকে চিহ্নিত করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন মি. বাদশা।

Source link

এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে ফেইসবুক পেজটি লাইক দিন এবং এই রকম আরো খবরের এলার্ট পেতে থাকুন

 আরো পড়তে পারেন:  

Loading...
আরো পড়তে পারেন:  বাংলাদেশে ব্যবসা করা কতটা চ্যালেঞ্জের? সিপিডির গবেষণায় যা জানা যাচ্ছে