ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মহিলা সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নিজস্ব মিলনায়তনে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রা.) এর জীবন এবং কর্মের উপর মহিলা সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল হামিদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা পিএএ। প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ পুরাতন ডিসি কোর্ট জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঝিনাইদহের মসজিদ ভিত্তিক শিশু কার্যক্রম প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার মাওলানা আব্দুর রশিদ।
অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন মাস্টার ট্রেনার মাওলানা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন। অতিথিবৃন্দ বলেন হযরত আয়েশা রাঃ শিশুকাল থেকেই তিনি ছিলেন প্রখর মেধার অধিকারী । শিশুকাল থেকে তার শিক্ষা গ্রহণ শুরু হয়। তার আচার-আচরণ চাল চলন কথাবার্তা ও মেধাশক্তি সকলকে মুগ্ধ করেছিল। হযরত আয়েশা রা: পিতার কাছ থেকে মূলত লেখাপড়া শুরু করেন। তিনি কাব্য সাহিত্য ও ইতিহাস বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেন। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন যা একবার শুনলে সাথে সাথে মুখস্ত করে ফেলতেন। পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন ছাড়াও তিনি গৃহস্থালি পারদর্শী ছিলেন। তিনি শরীয়তের বিভিন্ন মাসয়ালা মাসায়েলে নীতিগত বিষয়ে তার পরামর্শ নেয়া হতো তুলনামূলক কম বয়স হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন নারীদের মধ্যে সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী। অনেক সাহাবী তার কাছ থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন ।
তার বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা ২২১০টি। তার চারিত্রিক গুণাবলীর দ্বারা সকলে কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ছিলেন আর তার মধ্যে বহু গুণের সমন্বয়ে ঘটেছিল। তিনি ছিলেন অনন্য সুন্দরী, তীক্ষ্ণ মেধা শক্তি সম্পন্ন সত্যের সাধক আদর্শ স্বামী সেবিকা সদালাপী। তিনি রাতের অধিকাংশ সময় ইবাদতে মসগুলল থাকতেন। গরিব অসহায়দের দান সদকা করতেন। দানশীলতা মিতব্যায়িতা দয়া পরোপকারিতা ধর্ম পরায়ণতাসহ সর্বপ্রকার গুণে গুণান্বিত ছিলেন। হযরত আয়েশা রাঃ ৫৮ হিজরির ১৭ রমজান ৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন। তাঁকে জান্নাতুল বাকি নামক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।