ঋণ নেওয়ার সময় নিজের ব্যবসা এবং সম্পত্তির মূল্যায়ন বা ভ্যালু কমিয়ে দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবার সম্পত্তি বিক্রির সময় সেই ভ্যালু অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নিয়ে নিউইয়র্কের আদালতে মামলা চলছে, যা নিয়ে ইতোমধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্টকে দোষী ঘোষণা করেছেন বিচারক।
সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল। ট্রাম্প টেস্টিমোনিয়াল বা আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কাঠগড়ায় উঠেছিলেন। সেখানে বিচারক সরাসরি তাকে প্রশ্ন করেছেন।
খবরে বলা হচ্ছে, বিচারক যে প্রশ্নই করেছেন, ট্রাম্প তার জবাব ঘুরিয়ে দিয়েছেন। অধিকাংশ সময় একই কথা বারবার বলে গেছেন। এ নিয়ে বিচারক আর্থার এনগোরানের সঙ্গে বেশ কয়েকবার তর্কাতর্কি হয় ট্রাম্পের। বস্তুত বিচারব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং কোর্টরুমের অবমাননার দায়ে দুবার জরিমানাও করা হয়েছে ট্রাম্পকে।
ট্রাম্প বলেছেন, আর্থার কখনই তার পক্ষে রায় দেন না। ট্রাম্পকে অপমান করার জন্যই তিনি আছেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্পকে রাজনৈতিকভাবে বিপাকে ফেলার জন্যই তার বিরুদ্ধে এ বিচার চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। উত্তরে বিচারক বলেছেন, আদালতের বাইরে গিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট তার বিরুদ্ধে যত খুশি অভিযোগ আনতে পারেন। কিন্তু আদালত কক্ষ রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। সেখানে বিচারকের প্রশ্নের উত্তর ট্রাম্পকে দিতেই হবে। ট্রাম্প আদালতের সময় নষ্ট করছেন বলেও এদিন অভিযোগ করেছেন বিচারক।
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মামলায় ট্রাম্পকে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে হতে পারে। নিউইয়র্কে তার ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আগামী দিনে তিনি বা তার পরিবার নিউইয়র্কে আর কোনো ব্যবসাই করতে পারবেন না। তবে তার বিরুদ্ধে চলা অন্য মামলাগুলোর সঙ্গে একটি ক্ষেত্রে চলতি মামলাটির তফাত। এই মামলায় ট্রাম্পকে গ্রেফতার করা যাবে না। নির্বাচনের লড়ার ক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা হবে না ট্রাম্পের।