জন্ম নিবন্ধন বা প্রয়োজনে সংশোধন করতে জনভোগান্তির অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। পাসপোর্ট ইস্যু, বিবাহ নিবন্ধন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, জমি রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক। তবে এই সনদ পেতে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হয় মানুষকে।
আছে সার্ভার জটিলতা, সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে বেশি টাকা নেয়ার অভিযোগ। ২০০৬ সালে কার্যকর হয় জন্ম নিবন্ধন আইন। চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি জন্ম নিবন্ধনে নতুন নিয়ম করে সরকার। স্কুলে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে সন্তানের পাশাপাশি বাবা মায়েরও জন্ম নিবন্ধন কার্ড দিতে হয়। আবার নতুন করে টিকার নিবন্ধন পেতে জন্ম নিবন্ধন চাওয়ায় ভোগান্তিটা বেড়েছে অনেক।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ উপজেলাগুলোতে জন্মনিবন্ধন করতে নানা অভিযোগ মানুষের। স্থানীয় সরকার বিভাগের ঘোষণা অনুযায়ী, দিনে ৫০ জনের বেশি জন্ম নিবন্ধন কার্ড ইস্যু করা যাবে না। তাতে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি বহুগুণ বেড়েছে। চাপ বাড়ায় প্রায়ই কার্যকর থাকে না নিবন্ধন সার্ভার।
ভোগান্তির নানা অভিযোগ ফেনীবাসীর। নাম, বয়স, ঠিকানার ভুল সংশোধন ও নিবন্ধন জটিলতায় পাবনা পৌরসভা ও ইউনিয়নের পরিষেবা কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত ভিড় লেগেই থাকছে। জন্মনিবন্ধনের আবেদন থেকে শুরু করে সনদ হাতে পাওয়া পর্যন্ত কয়েক ধাপের বিড়ম্বনা ও ভোগান্তি তো আছেই। রয়েছে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য।
দালাল চক্রের সঙ্গে কম্পিউটার কম্পোজের দোকানগুলো গড়ে তুলেছে সিন্ডিকেট। টাকা দিলে তাদের মাধ্যমে দ্রুতই মেলে নিবন্ধন কার্ড। না হলে দিনের পর দিন ঘোরাঘুরির ভোগান্তি। এমনই অভিযোগ প্রায় সবখানে। জন্মনিবন্ধনের মতো ডিজিটাল সেবার একটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এত অবহেলা কেন? এর সমাধানে জোরালো পদক্ষেপ নেই কেন? এ ভোগান্তির শেষই বা কোথায়? প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের।
source: atn bangla news