সামাজিক মাধ্যমের আলোচিত হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক, যিনি ব্যারিস্টার সুমন নামেই বেশি পরিচিত, তাকে গতরাতে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি পল্লবী থানা পুলিশ।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকার মিরপুর ছয় নম্বর থেকে তিনি গ্রেফতার হন।
সেসময় তিনি নিজের বোনের বাসায় “আত্মগোপনে” ছিলেন।
মি. ইসলাম জানিয়েছেন, তারা ব্যারিস্টার সুমনকে ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক’ করেছেন।
মঙ্গলবার সকালের দিকেই তাকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত পাঁচই অগাস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী দেশ থেকে পালিয়েছেন বা আত্মগোপনে রয়েছেন। গত আড়াই মাসে গ্রেফতার হয়ে কারাবাসও করছেন অনেকে।
ব্যরিস্টার সুমনের বিষয়েও এতদিন গুঞ্জন ছিল যে, তিনিও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
গতকাল রাত দেড়টার দিকে ব্যারিস্টার সুমন তার ফেসবুক পেজ থেকে পরপর দু’টো পোস্ট দেন, যার প্রথমটিতে তিনি লেখেন, “আমি দেশ ছেড়ে যাইনি। যাইতেও চাই না।”
এক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রায় তিন মিনিটের একটি ভিডিও বার্তাসহ আরেকটি পোস্ট দেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, “আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে।”
তার এই ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মি. ইসলাম বলেন, “ধরতে গেছি, তখন ফেসবুকে দিছে।”
ব্যারিস্টার সুমন তার ভিডিও বার্তায় বলেছেন, “অনেকেই নিউজ করেছেন যে আমি দেশের বাইরে চলে গেছি। কোনোটাই সঠিক না। আমি বাংলাদেশেই আছি। ঢাকা শহরেই আছি।”
“শুধুমাত্র নিরাপত্তার কারণে আমি একটু গোপনে ছিলাম। এটাই হল আমার বাস্তবতা।”
ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে মিরপুর ও আদাবর থানায় দু’টি হত্যা মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলা ‘বিচারের মাধ্যমে মোকাবিলা করার সৎসাহস তার আছে’।