জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়ে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি ততই মরিয়া হয়ে উঠছে এবং মরণ কামড় দিচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সে কারণেই আমরা নির্বাচনমুখী যেসব রাজনৈতিক দল আছে; যাদের সঙ্গে আগে আমাদের জোট ছিল-মহাজোট ছিল, তাদের সঙ্গে আমরা আমাদের সহযোগিতা, আমাদের সম্পর্ক আরও জোরদার করার তাগিদ অনুভব করছি। যে কারণে ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমরা জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আলোচনা করেছি। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মূল বিষয়টাই ছিল যে, নির্বাচনটাকে অবাধ, শন্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু করার জন্য যারা নির্বাচনমুখী, তাদের নিয়ে সমন্বিতভাবে, ঐক্যবদ্ধভাবে গুপ্ত হামলা, নাশকতা, নির্বাচনবিরোধী অপকর্মকে আমরা প্রতিহত করব ভোটারদের নিয়ে। এটাই আসলে আমাদের আলোচনার মূল বিষয়।
জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক নিয়ে লুকোচুরি কেন এ প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, লুকোচুরি নেই। এটা নিয়ে এত ঢাকঢোল পেটানোর কী আছে? নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী যে রাজনৈতিক দল তাদের মধ্যে একটা সমন্বয় থাকা দরকার। কারণ নির্বাচনবিরোধী শক্তি যে অপরাজনীতি করছে, এটা মোকাবিলা করার জন্য আমাদের মধ্যে সমন্বয়, ঐক্য দরকার। কারণ নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু করার অঙ্গীকার আমাদের রয়েছে। সে জন্য আমরা নিজেরা আলাপ-আলোচনা করছি।
আসন বণ্টন নিয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সিট ভাগাভাগি আমাদের আলোচনায় ছিল না। আমরা রাজনৈতিক আলোচনা করেছি। নির্বাচনটা যাতে ভালোভাবে হয়।
গতকাল (বুধবার) পর্যন্ত প্রায় ৬০০ যানবাহন পোড়ানো ও ভাঙচুর হয়েছে, ১০টি রেলে আগুন দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ সকালে মুরগির বাচ্চাবাহী একটি কাভার্ড ভ্যান সিরাজগঞ্জে পোড়ানো হয়েছে। এতে সাত হাজার মুরগির বাচ্চা পুড়ে গেছে। এখন মুরগির বাচ্চাও ওদের শত্রু। মুরগির বাচ্চাও ওদের টার্গেট। নাশকতা, গুপ্ত হামলার আজকে যে ভয়াবহ চিত্র সেটা নতুন নতুন রেকর্ড স্থাপন করছে। বিএনপির আন্দোলন ও অগ্নিসন্ত্রাসে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, পরিবহন শ্রমিক, রাজনৈতিককর্মীসহ কয়েকজন মৃত্যুবরণ করার পাশাপাশি আড়াই শতাধিক মানুষ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।