‘আওয়ামী লীগে দুশ্চিন্তা অস্বস্তি বিভক্তি’ কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে সমকালের প্রথম পাতার শিরোনাম এটি। এই সংবাদে বলা হচ্ছে, সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগে এক ধরনের দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। দলের ভেতরেই আন্দোলনের পক্ষে- বিপক্ষে অবস্থান তৈরি হয়েছে।
এ অবস্থায় আদালতের রায়ের দিকেই তাকিয়ে আছেন সরকারি দলের নীতি নির্ধারকরা। তারা বলছেন, সরকার খুবই সতর্কতার সাথে বিরাজমান পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটাবিরোধী আন্দোলনসহ সমসাময়িক সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলেছেন ওবায়েদুল কাদের। যদিও এ নিয়ে সরাসরি কোন মন্তব্য করেন নি তিনি। কোটার বিষয়টি আদালতের বলে মন্তব্য করেছেন।
উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় কোটার বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতেই নিষ্পত্তি হবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা। আর আদালতের রায় ঘোষণার পর বিষয়টি নির্বাহী বিভাগ দেখতে পারে।
যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় নেতারা গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতে নিষ্পত্তি করা উচিত। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এভাবে আন্দোলন করা তো সাবজুডিস।
কারণ আমরা সরকারে থেকে কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে পারি না। কারণ হাইকোর্ট রায় দিলে সেটা হাইকোর্ট থেকেই আবার আসতে হবে।
‘ব্লকেড চলবে, বাধা এলে প্রতিরোধ’ দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম এটি। খবরে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে শুরু হওয়া ব্লকেড কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার রাত আটটার দিকে আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক সার্জিস আলম এ ঘোষণা দেন।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আন্দোলনকারীদের চার সমন্বয়ককে আলোচনার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। সেখান থেকে ফিরে এ ঘোষণা দেন তারা।
এছাড়াও আন্দোলনে কোনো ধরনের বাধা দেয়ার চেষ্টা হলে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া দেয়া হয়।
খবরে বলা হয়েছে, ঢাকার খুচরা দোকানে এক ডজন ডিমের দাম এখন ১৫০ টাকা। দুই বছর ধরে বাংলাদেশের ডিমের দাম চড়া। ফলে প্রাণিজ আমিষের কম খরচের উৎস বলে পরিচিত ডিম কিনতেও মানুষ হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, একদিন বয়সী মুরগীর বাচ্চা, মুরগির খাবার ও ডিমের দাম ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশে বেশি। এর কারণ আমদানি একেবারেই নিয়ন্ত্রণে রেলে অতিমাত্রায় সুরক্ষা প্রদান।
বাংলাদেশে ডিম, মুরগির বাচ্চা ও পোলট্রি খাদ্য আমদানিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হয়।
তবে সাধারণত অনুমতি পাওয়া যায় না এবং কেউ আমদানিও করে না। ফলে এ সুযোগে চড়া দাম আদায়ের সুযোগ পাচ্ছেন এসব খাদ্যপণ্যের ব্যবসায়ীরা।
এ সংবাদে বলা হয়েছে, প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর অনলাইনভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে চলে আসে ছবি, পর্যায়ক্রমে সমাধানও। পরীক্ষাকেন্দ্রের কক্ষে বসেই স্মার্টফোনে পাওয়া সে সমাধান দেখে উত্তরপত্রে লেখেন পরীক্ষার্থীরা।
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এভাবেই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে বলে সংবাদটিতে বলা হয়েছে।
মাত্র দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে এভাবেই পরীক্ষা দিচ্ছে ওই কেন্দ্রের প্রায় এক হাজার পরীক্ষার্থী।
প্রশ্ন, উত্তরপত্র ও কলমের সঙ্গে স্মার্টফোনও এসব পরীক্ষার্থীদের কাছে অপরিহার্য সরঞ্জাম।
খবরে আরও বলা হয়েছে, কেন্দ্র কমিটিকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে কব্জায় নিয়ে পরীক্ষার্থীদের জন্য এমন বন্দোবস্ত করেছে একটি চক্র। ‘মিশন এ প্লাস’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে চলছে এমন কার্যক্রম।
এক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদির চেয়ে স্বল্পমেয়াদি ঋণ বাড়ছে বেশি হারে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, সদ্য বিদায়ী অর্থবছর শেষে সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার ৩৫ কোটি টাকা।
এ ঋণের ১৮ দশমিক দুই শতাংশই পরিশোধ করতে হবে মাত্র এক বছরের মধ্যে। অর্থাৎ ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে সরকারের এমন ঋণের পরিমাণ তিন লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা।
‘চুক্তির নিয়োগে অস্বস্তি প্রশাসনে’ আজকের পত্রিকার শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, কোন কর্মকর্তা অবসরে গেলে স্বাভাবিকভাবেই নিচের পদের যোগ্য কাউকে পদোন্নতি দিয়ে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ।
বর্তমান সরকার শুরুতে এ ধরনের নিয়োগের সংস্কৃতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিলেও বাস্তবে তা হচ্ছে না।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে একের পর এক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন আসছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জ্যেষ্ঠ সচিব এবং সচিব পদমর্যাদার ৮৫ জন কর্মকর্তার মধ্যে প্রশাসনের শীর্ষ দুই পদসহ ১৭ জনই চুক্তিতে কর্মরত।
এই সংবাদটিতে বলা হচ্ছে, গতমাসে প্রশাসনের শীর্ষ একটি পদসহ অন্তত চারটি চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ হয়েছে।
তবে খাল খনন করা হলেও খালের পাড়ে গাছ না লাগিয়েই তুলে নেয়া হয়েছে বরাদ্দের ১৬৯ কোটি টাকা।
সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রকল্পটি ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও তিন বছরের প্রকল্পটি সাত বছরেও শেষ হয়নি।
দুই দফায় ছয় বছর সময় বাড়িয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আর প্রকল্পের ব্যয় কমিয়ে এক হাজার ৫৯৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
এ খবরে বলা হয়েছে, আজ থেকে শুরু হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে ঢাকা ও বেইজিং বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ প্রায় ২০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হবে।
তবে দুই দেশ রিজার্ভ বা বাজেট সহায়তার বিষয়ে কোনো ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “তালিকায় কোনো ঋণ চুক্তি নেই। অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। যদি এই সমঝোতা স্মারকের অধীনে সূচকগুলো পূরণ করা হয়, তাহলে আমরা ভবিষ্যতে ঋণের জন্য যেতে পারি”।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, রোববার বিকেলে বগুড়া জেলায় রথযাত্রা মিছিলে অংশ নেয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অন্তত পাঁচজন হিন্দু ধর্মালম্বী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন পোদ্দার জানিয়েছেন, ‘বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে জেলা শহরের সেউজগাড়ি জামতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিন নারীসহ পাঁচজন নিহত হন।
আহতদের মধ্যে অন্তত ৩৭ জনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৫টায় জেলা শহরের সেউজগাড়ী ইসকন মন্দির থেকে শুরু হওয়া রথযাত্রা শোভাযাত্রায় কয়েক হাজার ভক্ত যোগ দেন।
মিছিলটি সেউজগাড়ী আমতলা মোড়ে পৌঁছলে রথের উপরের অংশের একটি গাড়িতে একটি হাই ভোল্টেজ তারের সাথে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। ফলে আগুন লেগে ৫০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়।