প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বেশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরের এক নির্দেশনায় অনুযায়ী এই আমলনামা তৈরি করা হচ্ছে এবং আগামী এক মাসের মধ্যে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে পুলিশের একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হওয়ার পর আওয়ামী সরকারের গত দেড় দশকে পুলিশে নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে ৮৩ হাজার। আর নিয়োগ হয়েছে এক লাখ ২০ হাজারের মতো।
নিয়োগ ও পদোন্নতি পাওয়া এই পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্য সদস্যদের রাজনৈতিক আমলনামা, কর্মকা- খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি), মন্ত্রী বা সচিব ডিও লেটার (চাহিদাপত্র) দিয়েছেন, অর্থাৎ কার সুপারিশ ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এমনকি যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তদবিরে যাদের পদোন্নতি হয়েছে, তাদেরও শনাক্ত করার চেষ্টা করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। পাশাপাশি যারা সুবিধা নিয়েছেন তাদের তালিকা তৈরির কাজও গুছিয়ে আনা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের এ নিয়োগের বড় অংশই ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তাদের ব্যবহার করা হয়েছে মূলত ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার হিসেবে।
ন্তর্বর্তী সরকার চেষ্টা করছে পুলিশ বাহিনী সংস্কার করতে। রাজনৈতিক সরকার পুলিশের কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। দলীয় বিবেচনায় কাউকে নিয়োগ দিতে পারবে না।
সংস্কারের অংশ হিসেবে পুলিশের পোশাক ও মনোগ্রাম পরিবর্তন হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তা করার চেষ্টা চলছে।
আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা জাপা কার্যালয়ে আগুন’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকার বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আওয়ামী লীগে সরকারের পতনের পর থেকে তাদের দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টিকে অভিহিত করা হচ্ছে। এর মধ্যেই এমন হামলা হলো।
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানান, ‘তারা আলোচনা করে প্রতিক্রিয়া জানাবেন।’
আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক অপতৎপরতা ও দেশবিরোধী চক্রান্তের প্রতিবাদে এক মশাল মিছিল রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ হয়ে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে যায়।
এ সময় মিছিলে হামলা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে একটি পোস্টে লেখেন, ‘জাতীয় বেইমান এই জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের পিটিয়েছে, অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এবার এই জাতীয় বেইমানদের উৎখাত নিশ্চিত।’
এর কিছুক্ষণ পর হাসনাত আবদুল্লাহ আরেকটি পোস্টে লেখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে রাত সাড়ে ৮টায় মিছিল নিয়ে তাঁরা বিজয়নগরে যাবেন। ‘জাতীয় বেইমানদের’ নিশ্চিহ্ন করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সারজিস আলম সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একই রকম একটি পোস্ট দেন। তিনি লিখেছেন, ‘রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে আমরা বিজয়নগরে যাচ্ছি।’
পরে শিক্ষার্থীরা জাতীয় পার্টির অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভাঙচুর করে এবং এরশাদের ছবিসহ লোগো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলে ফেলে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বকেয়া বেতন, শ্রমিক ছাঁটাই, কারখানা বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরের কচুক্ষেত এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
এ সময় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় পুরো এলাকা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ার একপর্যায়ে পুলিশ ভ্যান ও সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন শ্রমিকরা।
তাদের নিবৃত করতে গুলি চালালে চার জন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, গতকাল সকাল ৮টার দিকে কাজে যোগ দিতে এসে কারখানার গেট বন্ধ দেখে মিরপুর-১৪ নম্বর কচুক্ষেতের মেইন রোডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন পোশাক শ্রমিকরা।
এ সময় কচুক্ষেত-ক্যান্টনমেন্ট, মিরপুর-১৩/১৪সহ পুরো এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সড়ক ছেড়ে দিতে বললে, বিক্ষুব্ধ পোশাক শ্রমিকরা ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু করেন। পুলিশও লাঠিচার্জ শুরু করে।
উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে শ্রমিকরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় যৌথ বাহিনী গুলি ছুড়লে চারজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন।
প্রতিবেদনে বরা হচ্ছে, সম্প্রতি বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চাল উৎপাদন কম হবে।
তাই আমদানি করে দেশের বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানো না গেলে খাদ্যে ঘাটতির শঙ্কা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চাল সরবরাহ না বাড়লে খাদ্যঘাটতির শঙ্কাগত আগস্টে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে আমন চাষে প্রভাব পড়ার পর থেকে খুচরা বাজারে চালের দাম বাড়তি।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও বাজারে উত্তাপ কমছে না। গত এক মাসের ব্যবধানে খুচরায় প্রতি কেজি চালের দাম চার থেকে সাত শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
কৃষি অর্থনীতিবিদদের মতে, আমনের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে বাইরের দেশগুলো থেকে খাদ্য আমদানি করা দরকার। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে যে দরে চাল বিক্রি হচ্ছে, আমদানিতে যে শুল্ক রয়েছে এটি দিয়ে ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারবেন না।
এ কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি করছেন না। তাই চাল আমদানিতে শুল্ক পুরোপুরি তুলে দেওয়া হলে ব্যবসায়ীরা আমদানিতে উৎসাহী হবেন। দেশের বাজারেও চালের সরবরাহ বাড়বে।
চাল আমদানি করা হলে বর্তমান বাজারের চেয়ে বেশি দামে ক্রেতাদের কিনতে হবে। বেশি দামের কারণে দেশের ব্যবসায়ীদেরও মুনাফা হবে না।
এ পরিস্থিতিতে বাজারে ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফেরাতে চালের আমদানি শুল্ক পুরোপুরি তুলে নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিসি)।
সংবাদের প্রধান শিরোনাম, ‘দক্ষিণ এশিয়া ফুটবল রানীরা ফিরলেন বীরের বেশে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছে।
সাবিনা খাতুনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল কাঠমান্ডু থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে।
বিমানবন্দরে নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তারা ফুল ও মিষ্টিমুখ করিয়ে খেলোয়াড়দের বরণ করেন। ঐতিহাসিক এই অর্জনের পর বাংলাদেশ দলকে বরণ করে নিতে বিমানবন্দরে ছিল বিপুল সংখ্যক জনতা।
বিটিআরসির বাসটি খেলোয়াড়দের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছিল। দুই পাশে চ্যাম্পিয়ন দলের ছবিও স্থাপিত হয়। বাসের মাঝখানে ট্রফি নিয়েছিল গ্রুপ ছবি।
দুই পাশে দুই টুর্নামেন্ট সেরাদের ছবি ছিল। ট্রফি নিয়ে ছাদখোলা বাসে যাওয়ার মুহূর্তে রাস্তার দুইপাশে অনেকেই তাদের অভিবাদন জানান।
নির্দিষ্ট রোড দিয়ে বাফুফে ভবনে আসতে তিন ঘন্টা সময় লেগে যায়। এই সময়ের পুরোটাই মেয়েরা নানাভাবে মেতে ছিলেন।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘আদানি ‘একতরফা’ চুক্তির সুযোগ নিচ্ছে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা চুক্তি নিয়ে জটিলতা কাটছে না।
গত জুলাই থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার বাড়তি দাম ধরে বিদ্যুৎ বিল করছে আদানি। বকেয়া বিল পরিশোধে বাংলাদেশকে চাপও দিচ্ছে।
ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে অর্ধেকের নিচে নামিয়েছে তারা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ‘একতরফা’ চুক্তির সুযোগ নিচ্ছে আদানি।
আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় নির্মিত। গত বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর আগেই কয়লার দাম নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়।
কয়লার চড়া দাম দিতে অস্বীকৃতি জানায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এরপর দাম কমাতে রাজি হয় আদানি। পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে কম দামে কয়লা সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও দেয় তারা।
তবে এক বছর পর এখন আবার ২২ শতাংশ বাড়তি দাম চাইছে আদানি। আদানি গত জুলাই থেকে কয়লার বাড়তি দামে বিল করছে। বকেয়ার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে। গতকাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছে তারা।
বাড়তি দাম নিয়ে বিরোধ ও বকেয়া পরিশোধের তাগিদের মধ্যে সর্বশেষ গত ২৮ অক্টোবর পিডিবিকে চিঠি দেয় আদানি। এতে বলা হয়, পিডিবি যাতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের ব্যবস্থা নেয়, নইলে আদানি ক্রয়চুক্তি অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে বাধ্য হবে। কারণ, আদানি চলতি মূলধনের সংকটে রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দুর্নীতিসংশ্লিষ্ট অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিচালনার জন্য ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর (প্রায় ২০ বছর) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গঠন করা হয়।
সেই থেকে দেশের দুর্নীতি দমনের জন্য গঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি সরকারের আজ্ঞাবহ হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তবে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দেশের দুই বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাসহ বড় ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি।
২০০৯ সালে জাতীয় নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। পালটে যায় অনেক কিছু।
দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতার লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অনুসন্ধান-তদন্তের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি ছিল ‘নীরব দর্শক’-এর ভূমিকায়।
এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় দুদকের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে দুদকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া এ মহূর্তে জরুরি হয়েছে পড়েছে-এমন মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
দুদকের কেমন সংস্কার হলে দেশ থেকে দুর্নীতি কমবে, দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র পাবে বলে দাবি তাদের।
বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘সুদহার বৃদ্ধি ও বন্যায় বিপর্যয়ের আশঙ্কা এসএমই খাতে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ফেনীর ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বেশির ভাগই সাম্প্রতিক বন্যায় একপ্রকার পথে বসে গিয়েছেন।
অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। নতুন করে ব্যবসা দাঁড় করানোর মতো কোনো পরিস্থিতি তাদের নেই।
চলতি বছর তিন ধাপে দেশের প্রায় অর্ধেক জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হওয়া জেলাগুলো হলো ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও নীলফামারী।
এসব জেলা ছাড়াও বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে দেশের বিস্তীর্ণ জনপদের কৃষি, ফল-ফসল ও প্রাণিসম্পদ বিপুল ক্ষতির শিকার হয়েছে। ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (সিএসএমই) খাতও। এ খাতের অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন ব্যাংক ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা হারিয়েছে।
তাদের জন্য পরিস্থিতিকে আরো কঠিন করে তুলেছে দেশের ব্যাংক খাতে চলমান তারল্য সংকট। প্রায় দুই বছর ধরে চলমান এ সংকট এখন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে।
কিছু ব্যাংক নতুন ঋণ দেয়া দূরের কথা, গ্রাহকদের জমাকৃত আমানতও চাহিদা অনুযায়ী ফেরত দিতে পারছে না।
এ পরিস্থিতিতে অর্থ সংকটে পড়েছে দেশের সিএসএমই খাত। ব্যাংক ঋণ বঞ্চিত হওয়ায় এ খাতের অনেক প্রতিষ্ঠানই বন্ধ হয়ে গেছে। সচল থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোও দৈনন্দিন পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর, ‘বাংলাদেশ থেকে আরো রোহিঙ্গা নেবে অস্ট্রেলিয়া’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ থেকে আরও রোহিঙ্গা নিবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি ব্রুক দেশটির প্রতিনিধিদল এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
উপদেষ্টা বলেন, বৈঠকে আমরা রোহিঙ্গাদের অস্ট্রেলিয়ায় নেওয়ার ব্যাপারে কথা বলেছি। তারা আগেও দুই হাজার রোহিঙ্গা নিয়েছে, আরও নেবে। এ ব্যাপারে তারা ইতিবাচক সম্মতি জানিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ এবং নিয়মিত অভিবাসনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অবৈধভাবে যে ৯৭জন বাংলাদেশি অস্ট্রেলিয়া প্রবেশের চেষ্টা করেছে ও যাদের বৈধ ভিসা ছিল না, তাদেরকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা দেশে ফেরত নিয়ে আসবো।
উপদেষ্টা আরও বলেন, তারা অস্ট্রেলিয়ার প্রবেশ করতে পারেনি, পাশে একটা দ্বীপে তাদের রাখা হয়েছে। তবে তাদের খাওয়া দাওয়ার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দু’দেশের জনগণের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি, ট্রান্সন্যাশনাল অপরাধ মোকাবিলায় সহযোগিতা, সিভিল মেরিটাইম সিকিউরিটি এবং মেরিটাইম সেফটি বিষয়ে সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, মানব পাচার ও অনিয়মিত অভিবাসন প্রতিরোধ বিষয়ে সহযোগিতা, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক (রোহিঙ্গা) ইস্যুসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।