অর্থাৎ চলতি মে মাসের বাকি দিনগুলো বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ হতে যাচ্ছে। অবশ্য জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে সময়মতো পৌঁছে গেলে তখন হয়তো আবারো ঠাণ্ডার পরশ পাওয়া যাবে।
অতীতে কোনো কোনো বছর মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে পৌঁছাতে জুন মাসের অর্ধেকের বেশি চলে যায়।
খেলায় কেন জুয়ার বিজ্ঞাপন – প্রথম আলোর এই খবরে বলা হচ্ছে টেলিভিশনে খেলা দেখা যেন এখন আর শুধু খেলা দেখাই নয়, সঙ্গে বাজি ধরার চটকদার বিজ্ঞাপন দেখাও! চাইলে খেলা দেখতে দেখতেই কেউ একটা ম্যাচ বা ম্যাচের কোনো অংশ নিয়ে বাজি ধরে ফেলতে পারেন। বাজি মানে জুয়া বা বেটিং।
খেলার মধ্যে বেটিং সাইটের সারোগেট বিজ্ঞাপন দেখানোর উদ্দেশ্য মূলত দর্শকদের জুয়ার প্রলোভনে ফেলা। বিশ্বের অনেক দেশে বেটিং বৈধ হলেও বাংলাদেশের আইনে যেকোনো ধরনের জুয়া ও বাজি নিষিদ্ধ। প্রচারও করা যাবে না। তারপরও দেশে টেলিভিশন চ্যানেল, ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপন আসে।
তবে আসে একটু ভিন্ন উপস্থাপনায়, ছদ্মবেশ ও ছলচাতুরীর মাধ্যমে। যা দেখে যে কেউ বুঝবেন, এসব আসলে বেটিং ওয়েবসাইটেরই প্রচার।
সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে এসব বেটিং সাইটের চলে লুকোচুরি খেলা। আজ একটা বন্ধ করা হয় তো কাল আরও কয়েকটা চলে আসে। এভাবে অনলাইন বেটিং সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে অনেকটা মাদকের নেশার মতো।
অনলাইনে জুয়ার বিস্তার নিয়ে গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। জুয়ার কারণে নানা সামাজিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে সংস্থাটি বলেছে, অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা পাচার হয়।
এবারও ডেঙ্গুঝড়ের শঙ্কা, প্রস্তুতি কম – দৈনিক কালবেলার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয় মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ছড়ানোর কথা। তবে বাংলাদেশে এখন আর এটি নির্দিষ্ট সময়ে সীমাবদ্ধ থাকছে না। জলবায়ু পরিবর্তন ও মশকনিধনে উদাসীনতার কারণে সারা বছরই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষ।
শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে এর ভয়াবহতা। প্রতি বছরই ভাঙছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড। মশা নিধন কার্যক্রম গতানুগতিক পদ্ধতিতে আটকে থাকায় এ বছর ডেঙ্গুর ভয়াবহতা আগের চেয়ে বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার বৃষ্টি মৌসুম দীর্ঘ হতে পারে। আর সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, বৃষ্টির মৌসুম দীর্ঘ হলে আগামী নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর ঝুঁকি রয়েছে। লম্বা সময় ধরে সংক্রমণ চলতে থাকলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।
No respite from water stagnation in Ctg soon – অর্থাৎ খুব শিগগিরই চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি নেই, প্রধান শিরোনাম নিউ এজ পত্রিকার।
বলা হয় চট্টগ্রামবাসীর জলাবদ্ধতা থেকে খুব সহসা মুক্তির সম্ভাবনা নেই, কারণ শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের যে প্রকল্প তা কয়েক বছরেও শেষ হয় নি। আর এই ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে গত সপ্তাহে মাত্র ৩ ঘন্টায় ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টিতে হাঁটু অব্দি পানিতে ডুবে যায় খুলশি, কাজীর দেউড়ি, আগ্রাবাদসহ শহরের অনেক এলাকা, যা চরম ভোগান্তি নিয়ে আসে নগরবাসীদের জন্য।
২০১৭ সালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ “চিটাগং ওয়াটারলগিং রিমুভাল প্রজেক্ট” (সিডব্লিউআরপি) হাতে নেয়, যেটার লক্ষ্য ছিল ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে শেষ করা।
যে প্রকল্পটি শুরুতে ৫৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার ছিল সেটি গত ৭ বছরেও শেষ না হওয়ায় নগরবাসীর হতাশার শেষ নেই। কর্তৃপক্ষ পরে প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়িয়ে নেয় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত, কিন্তু এখন পর্যন্ত শুধু ৭৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্যয়ে বড় অংশের জোগান দেয় বিদেশি ঋণ সহায়তা। এ ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধে সরকারের ব্যয় এখন ক্রমেই বাড়ছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশ ও দাতা সংস্থা চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের অর্থ ছাড় করেছে ৫৬৩ কোটি ডলার।
এ সময় সরকারকে বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করতে হয়েছে ২৫৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার। সে হিসেবে অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণ হিসেবে ছাড়কৃত অর্থের অর্ধেকের কাছাকাছি (প্রায় ৪৬ শতাংশ) ব্যয় হয়েছে ঋণের কিস্তি (সুদ ও আসল) পরিশোধে।
সামনের দিনগুলোয় বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ আরো বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের জন্য নেয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে। এমনকি তখন ঋণের অর্থছাড় এবং এর বিপরীতে সুদ-আসল পরিশোধ কাছাকাছি পর্যায়েও চলে আসতে পারে।
শর্তের জ্বালায় ভোক্তা জ্বলছে – দৈনিক যুগান্তরের এই রিপোর্টটি আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রসঙ্গে। বলা হয় আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকার ডলার, ঋণের সুদহার, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের দাম বাড়িয়েছে।
এগুলোর প্রভাবে লাগামহীনভাবে বেড়েছে গণপরিবহণসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম। বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমানো হয়েছে। ফলে ওই সব খাতেও পণ্য ও সেবার দাম বেড়েছে।
মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সংকুচিত হয়েছে। ফলে বাড়েনি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান।
সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার কমানো সম্ভবই হয়নি, উলটো এর পালে আরও হাওয়া লেগেছে। এসব মিলে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে আইএমএফের শর্তের জ্বালায় জ্বলছে ভোক্তা।
সংকেত না বসিয়েই চলবে ট্রেন – কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। খবরটিতে বলা হয় পদ্মা রেল সেতু সংযোগ প্রকল্পের কাজ শেষ হতে আরো অন্তত ছয় মাস সময় লাগবে। দৃশ্যমান বড় অবকাঠামোর কাজ তেমন বাকি না থাকলেও ছোট ছোট অনেক কাজ বাকি। নিয়োগ দেওয়া হয়নি পর্যাপ্ত জনবল। সংকেতব্যবস্থা (সিগন্যালিং) স্থাপনের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে মাঝের বেশির ভাগ স্টেশন বন্ধ রেখে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালাতে তোড়জোড় শুরু করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এই মুহূর্তে প্রকল্পের অধীন ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করছে। কিন্তু পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে প্রকল্পটি। আবার এখন পর্যন্ত ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত স্থাপিত সংকেতব্যবস্থা কার্যকর করা যাচ্ছে না।
স্টেশন বন্ধ রেখে ভাঙ্গার পর যশোর পর্যন্ত ট্রেন চললে স্টেশনগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ আরো ঝুঁকিতে পড়বে। যেহেতু সংকেতব্যবস্থা শতভাগ কার্যকর থাকবে না, তাই চলতি পথে রেললাইনে দুর্ঘটনার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রকল্প সূত্র বলছে, মন্ত্রণালয়ের চাপে শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়া করতে হচ্ছে। প্রকল্পের সময় আরো এক বছর বেড়েছে।
মেয়াদ শেষে ঢাকা ছাড়বেন হাস, পরবর্তী রাষ্ট্রদূত ডেভিড মিলি – মানবজমিনের খবর। এতে বলা হয় নির্ধারিত মেয়াদ শেষে ঢাকা ছাড়বেন নানা কারণে আলোচিত বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস্। ওদিকে, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে পেশাদার কূটনীতিক ডেভিড স্লেটন মিলিকে মনোনীত করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় মিলিকে বাংলাদেশে পাঠাতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিপ্রায়ের বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।
ডেভিড মিলি, বর্তমানে চীনের বেইজিং-এ মার্কিন দূতাবাসে ডেপুটি চিফ অব মিশন। সেখানে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
অস্ত্র ভাড়ায় খাটাচ্ছে আরসা – দেশ রুপান্তরের প্রধান শিরোনাম এটি। এ রোহিঙ্গা গোষ্ঠীকে নিয়ে পুলিশের এক গোপন প্রতিবেদন নিয়ে খবরটি। পুলিশের একটি গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের অনেক সদস্য মাদক ও অস্ত্র কারবারে জড়িত। অস্ত্র কারবারের মধ্যে বিক্রির পাশাপাশি তারা ভাড়া দিচ্ছেন। ক্যাম্পের বাইরের অপরাধী চক্র, যারা ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত তারা অস্ত্র ভাড়া নেয়।
এ ছাড়া রাজধানীর অপরাধ জগতের লোকজনও রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ভাড়া নেয়। প্রতিবেদনটি পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাদক ও অস্ত্র কারবার নিয়ন্ত্রণ করছে মূলত রোহিঙ্গাদের একটি অস্ত্রধারী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। এই গোষ্ঠীর ২৭টি গ্রুপ কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সক্রিয়।
সারি সারি বহুতল ভবন কারও নেই অনুমোদন – দৈনিক সমকাল তাদের প্রধান শিরোনাম করেছে এমনটি। বিস্তারিত হল, রাজধানীর বছিলায় গড়ে উঠেছে ‘মোহাম্মদপুর ফিউচার টাউন হাউজিং’। এ হাউজিংয়ের ‘ডি’ ব্লকের অ্যাভিনিউ রোডের ২ নম্বর প্লটে ‘সারা বিল্ডার্স’ নির্মাণ করছে ১৪ তলা ভবন। ছয় তলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক, বাকিটা আবাসিক। ফ্ল্যাট ও বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি চলছে ধুমধামে।
বিস্ময়কর হলো, ভবনটির নির্মাণবিষয়ক বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে নকশার অনুমোদন নেয়নি। নেই অন্য কোনো সংস্থার অনুমতিও।
এ ব্যাপারে সারা বিল্ডার্সের প্রকল্প প্রকৌশলী সোলাইমান হোসেন জানিয়েছেন, বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশে যত ভবন হয়েছে, কোনোটির নকশা নেই। এখানে রাজউক তদারকি করে না। এ সুযোগ নিয়ে তারাও ভবন বানাচ্ছে।
তবে রাজউক চাইলে কাগজপত্র দেখিয়ে নকশার অনুমতি নেওয়া হবে। শুধু ফিউচার টাউনে নয়, গাবতলী-হাজারীবাগ বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশের বছিলা ও আশপাশের এলাকায় নামসর্বস্ব অনেক আবাসন কোম্পানি সারি সারি বহুতল ভবন করছে।
High levels of cancer-causing elements found – ঢাকার দূষিত বায়ু নিয়ে এমন শিরোনাম ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের। বিস্তারিত বলা হয় এক নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে ঢাকার বাতাসে ক্যান্সারের জন্য দায়ী আর্সেনিক, লিড ও ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারণ করা মাত্রার প্রায় দ্বিগুন।
গবেষণা রিপোর্টে বলা হয় লিড-এসিড ব্যাটারি ও ই-বর্জ্য, ইট ভাটার ধোঁয়া ও নানান যানবাহন বাতাসে এ সমস্ত ক্যান্সারের উপাদান আরও বেশি ছড়িয়ে দিচ্ছে। এছাড়া গবেষণায় ক্যান্সারের আরেকটি উপাদান কোবাল্টের অস্তিত্বও মিলেছে ঢাকার বাতাসে।
বিশ্বের ২৭টি জায়গায় এই গবেষণা চালানো হলেও বলা হয়, শুধুমাত্র ঢাকাতেই ক্যান্সারঝুঁকি “শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য যে নির্ধারিত মাত্রা” সেটা পেরিয়ে গিয়েছে।
বিশ্বের ২৭টি জায়গায় এই গবেষণা চালানো হলেও বলা হয়, শুধুমাত্র ঢাকাতেই ক্যান্সারঝুঁকি “শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য যে নির্ধারিত মাত্রা” সেটা পেরিয়ে গিয়েছে।
দাম বাড়ছেই, বন্ধের দিনেও কম ক্রেতা সমাগম – নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ে দৈনিক সংবাদ প্রধান শিরোনাম করেছে। এতে লেখা হয়েছে একদিন আগেই বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন সংবাদ মাধ্যমকে বলছিলেন, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখন ১৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
আর মূল্যস্ফীতির হার বাড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে মাছের দাম। গত এক বছরে মাছের দাম ২০ শতাংশের ওপর বেড়েছে। এরপর বেড়েছে মুরগিসহ পোল্ট্রি পণ্যের দাম।
শুক্রবার (১০ মে) কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা কাজল জানান ‘মাছের দাম কেজিতে আরো ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়ছে।’ এক মাসের ব্যবধানে পাকিস্তানি মুরগির দাম কেজিতে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৩০ টাকা কেজি দরে, যা ঈদের আগে বিক্রি হয়েছিল ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায়। বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও।
দোকানীরা বলছেন, শুক্রবার সাপ্তাহিক বাজার হিসেবে যেমন বিক্রি হওয়ার কথা ছিল তেমন হয়নি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাজারের সমস্ত পণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতি থাকার কারণে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে পণ্য। যে কারণে বাজার ক্রেতা শূন্য।’