নির্বাচনের আগে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের অবস্থান নিয়ে দৈনিক সমকালের শিরোনাম, ‘সংলাপ বহুদূর, রাজপথেই নজর’। এই খবরটিতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি এখনো তাদের নিজেদের অবস্থানে অনড়। সংলাপ ও সমঝোতার কোন লক্ষণ নেই। উল্টো দুই দলই রাজপথের দখল নিতে চায়।
এরমধ্যে ঢাকায় আজ বিএনপি তাদের সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে জনসমাবেশ করবে। এই সমাবেশ থেকে দলটি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আল্টিমেটাম দেয়া হতে পারে।
এছাড়া দুর্গাপূজার পর মহাসমাবেশসহ আরো আন্দোলনের কর্মসূচি আসতে পারে। দলটি বলছে, তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত এ ধরণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি নিয়েই এগিয়ে যেতে চায় দলটি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলেছে, বিরোধীরা যতই আন্দোলন করুক না কেন তারা কোনভাবেই মাঠ ছাড়বে না। তারাও আজ রাজধানীতে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। এ সমাবেশের পাশাপাশি ঢাকায় সতর্ক অবস্থানে থেকে আরেক দফা শোডাউনও করবে সরকার সমর্থকরা।
একই বিষয় নিয়ে নিউ এইজ পত্রিকার শিরোনাম, ‘Dialogue still elusive as AL, BNP indifferent’ অর্থাৎ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির উদাসীনতায় সংলাপ এখনো অধরা। এই খবরটিতে বলা হয়েছে, সংলাপের মাধ্যমে দুই দলের মতপার্থক্য দূর করতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচন নিয়ে বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এখনো তাদের নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে।
সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন দল বাংলাদেশের প্রধান দুই দলকে একটি বিশ্বাসযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের জন্য ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে খোলামেলা ও বাস্তবসম্মত সংলাপের’ আহ্বান জানিয়েছে।
তবে সংলাপের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
রাজধানীতে সোমবার এক র্যালিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মার্কিন প্রতিনিধি দলের সংলাপের পরামর্শের কথা উল্লেখ করলেও দলটি এতে অংশ নেবে কিনা সে বিষয়ে কিছু বলেনি।
অন্যদিকে মঙ্গলবার একটি জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণ শেখ হাসিনার সাথে থাকলে কোন বার্তা বা কোন আল্টিমেটামেই কাজ হবে না।
মার্কিন প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফর নিয়ে প্রথম আলো পত্রিকার শিরোনাম, বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর তিন মাস তীক্ষ্ণ নজর থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার জানিয়েছেন, দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর থাকবে দেশটির।
দুই দিনের সফর শেষে মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে যাওয়ার আগে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ঘুরে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের পাঁচ দফা সুপারিশকে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন সমর্থন করে। এই দলটি যে পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অর্থবহ সংলাপ।
আইনমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে এ খবরে আরো বলা হয়েছে, “যদি তার সবাইকে প্রয়োজন হয়, তাহলে সবাই থাকবে। আর যদি তিনি মনে করেন, তিনি ছোট আকারে করতে পারেন, সেটা তার ইচ্ছা। সংবিধান তাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।”
বাংলাদেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি নিয়ে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের শিরোনাম, ‘IMF agrees to relax loan terms for reserve, revenue targets,’ অর্থাৎ রিজার্ভ ও রাজস্ব আয় নিয়ে ঋণের শর্ত শিথিল করতে সম্মত হয়েছে আইএমএফ। এই খবরটিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থা-আইএমএফ তাদের চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার শর্ত হিসেবে রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পুনর্মূল্যায়ন করতে রাজি হয়েছে।
আইএমএফের মিশনের সাথে আলোচনায় অংশ নেয়া অর্থমন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই খবরে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক এই ঋণদাতা সংস্থাটি রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ছয় দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত কমাতে সম্মত হয়েছে। এতে করে ২০২৪ সালের জুন নাগাদ রিজার্ভের নতুন লক্ষ্যমাত্রা ২০ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার ঠিক হলো।
এ সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে আসলো যখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ পোশাক রপ্তানিকারক দেশটি পশ্চিমা দেশগুলোতে চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে রপ্তানি আয় ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি, সার এবং শিল্প কাঁচামাল আমদানির খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে।
মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রণালয়ের সাথে এক বৈঠকে আইএমএফের মিশনের কর্মকর্তারা চলতি অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা কমাতেও সম্মত হয়েছে। এই কর্মকর্তারা ঋণদান কর্মসূচি নিয়ে প্রাথমিক মূল্যায়নের জন্য ঢাকা সফর করছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির একটি বক্তব্য নিয়ে যুগান্তর পত্রিকার শিরোনাম, দেশের চার কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপ পর্যায়ের: বাণিজ্যমন্ত্রী। এই খবরে বলা হয়েছে, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে চার কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপের মানুষের সমপর্যায়ের (স্ট্যান্ডার্ড)। মঙ্গলবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ফার্নিচার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আসবাবপত্র ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশেই যেহেতু ‘ইউরোপের মানুষের মতো’ বিপুলসংখ্যক নাগরিকের ক্রয়ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, সেহেতু তাদের জন্য ইউরোপীয় মানের আসবাবপত্র তৈরি করতে হবে। দেশের চার কোটি মানুষ দাম দিয়ে ভালো জিনিস কিনতে পারেন বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, তবে মধ্যবিত্তের কথাও স্মরণ রাখতে হবে।
বাংলাদেশের সড়ক ও যানবাহন পরিস্থিতি নিয়ে সমকাল পত্রিকার শিরোনাম, ঢাকার ৮১% চালকের চোখে সমস্যা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি ৫ লাখ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে এই খবরটিতে বলা হয়েছে, রাজধানীর গাড়িচালকদের ৮১ শতাংশই চোখের সমস্যায় ভুগছে। তিনি বলেছেন, ২৮৯ জন চালকের চক্ষু পরীক্ষায় ভিশন সমস্যা পাওয়া যায় ১৬৪ জনের। কন্ট্যাক্ট সমস্যা পাওয়া গেছে আটজনের। চোখের অন্যান্য সমস্যায় ভুগছেন ৫৯ জন চালক।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির অন্যতম কারণ। তিনি জানান, ৫৭ লাখ নিবন্ধিত যানবাহনের ৫ লাখ মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ফিটনেস নেই। আনুমানিক এর ৩০ শতাংশ সড়কে চলে না।
সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে বলা হয়, দেশে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ জন সড়কে নিহত হচ্ছে। এমনকি আমরাও নিরাপদ নই। সড়ক নিরাপত্তায় সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ১১তম দিনে এসেও দিনভর বিমান হামলা চলছে। অবরুদ্ধ অঞ্চলটির উত্তর দিক থেকে অধিবাসীদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইজরায়েল। অথচ তারা সেখানে সরে যাওয়ার পর পর গাজার সেই দক্ষিণাঞ্চলে রাফাহ শহরে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। এতে কমপক্ষে ৭১ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা।
হামলা চলছে গাজার উত্তরাঞ্চলেও। গাজায় স্থল হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখলেও তা শুরু করেনি ইজরায়েল।
এ অবস্থায় বুধবার ইজরায়েল সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জোর দিয়ে বলেছেন, হামাসের হামলা থেকে আত্মরক্ষার অধিকার আছে ইজরায়েলের।
সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ইজরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৮০০ মানুষ।