প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে টানা আন্দোলনে ছিল বিএনপি। সমানতালে চলছিল দলটির কূটনৈতিক রাজনীতিও।
নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের নির্বাচনে তাদের প্রত্যাশা নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠে। বিএনপির সঙ্গে বিভিন্ন সময় বৈঠকও হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি ও শ্রমনীতি ঘোষণা করে সরকারের ওপর বেশ চাপ প্রয়োগ করে। বিদেশিদের এমন তৎপরতার পাশাপাশি বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনও চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
কিন্তু ২৮শে অক্টোবরের পর কঠোর আন্দোলনে নেমে মামলায় জড়িয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান দলের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন করে ফেলার পর সরকার গঠন করে অভিনন্দন ও স্বীকৃতি পাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতি বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে।
তবে দলটির নেতারা বলছেন, সরকারকে কে স্বীকৃতি দিল না দিল সেটা নিয়ে তারা ভাবছেন না। তারা নতুন করে আন্দোলনের কথাই ভাবছেন।
এই চিন্তাকে বাস্তবে রূপ দিতে আগামী শুক্র ও শনিবার দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এভাবে ধাপে ধাপে আন্দোলন চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতে আসার পর দ্বাদশ সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে কারা বসবেন তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
গত দুটি নির্বাচনের মতো এবারও ভোটের ফলে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে একাদশ সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। কিন্তু তাদের চেয়ে প্রায় ছয় গুণ আসনে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
এই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টিই বিরোধী দল হচ্ছে নাকি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা জোটবদ্ধ হয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারবেন- সেই প্রশ্নই ঘুরছে, সবার আলোচনায়।
আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, আইনতভাবে এটা ‘সম্ভব’। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয় পাওয়া একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা এর মধ্যেই বলেছেন, শপথ নেয়ার পর এ নিয়ে তারা আলোচনায় বসবেন।
যদিও বাস্তবে তাদের তেমন কোনো তৎপরতা নজরে আসেনি। বরং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে থাকা স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের অধিকাংশই এখনও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন।
তিনি যা বলবেন তারা সেই অনুযায়ীই কাজ করবেন। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির নেতারা মনে করছেন, সংকেত পেলে তারাই হচ্ছেন বিরোধী দল।
প্রতিবেদনে সরেজমিনের চিত্র তুলে ধরা হয়, যেখানে দেখা যায়, রংপুরের এক কৃষক স্থানীয় পাইকারের কাছে একেকটি ১৩ টাকায় বিক্রি করছে।
অথচ ঢাকার কারওয়ান বাজারে একই আকারের লাউ প্রতিটি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হয়েছে কমপক্ষে ১০০ টাকা।
অর্থাৎ ভোক্তাকে প্রতিটি লাউ কিনতে হচ্ছে ৮৭ টাকা বেশি দামে। যা উৎপাদনস্থলের দামের চেয়ে ছয় থেকে সাত গুণ বেশি।
সবজির দর বাড়ার পেছনে কৃষক, পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা নানা যুক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে।
কৃষক বলছে, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ। সেই তুলনায় তারা ন্যায্য দর পাচ্ছে না।
অথচ তাদের সস্তা সবজি শহরের বাজারে হয়ে ওঠে দামি। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের যুক্তি, চাহিদার চেয়ে উৎপাদন কম, পরিবহন খরচ বেশি।
তবে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায়ী পথে পথে ও বাজারে পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন দলের লোকদের চাঁদাবাজি।
অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, ভোক্তার পকেট কেটে অতিরিক্ত এই টাকা যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী ও চাঁদাবাজদের পকেটে।
এ দুই স্তরে অনিয়ম ও দৌরাত্ম্য কমাতে সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি বলে তারা মনে করেন।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Govt makes fresh promise of market vigilance’ অর্থাৎ ‘সরকার বাজার নজরদারির নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে’
রোববার এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ চেইনের পাশাপাশি পণ্যের দাম বৃদ্ধি রোধে মধ্যস্থতাকারীদের উপর বাজারের নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে। যাদের মতে, দামের হেরফেরকারী এবং বাজার অস্থিতিশীলকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অতীতে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু কোনবারই কোনো সাফল্য পাওয়া যায়নি।
আলু ও পেঁয়াজের মতো শাকসবজি ও মসলার দামের মতো এ বছর আমন মৌসুমে প্রধান খাদ্য চালের দাম বেশি ছিল।
নতুন বছর শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে গরুর মাংস, ডিম ও মুরগির মাংসের দামও।
গত ১৫ই জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সভাপতিত্ব করার সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এ নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রহমান বলেছেন, তারা দামের হেরফেরকারীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে তবে জোর দিয়েছিলেন যে এটি সময় লাগবে।
একই প্রসঙ্গে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Duty cuts on essentials on the cards’ অর্থাৎ ‘কার্ডে প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর শুল্ক কাটা’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রমজানের সময় নিত্যপণ্যের দাম সাশ্রয়ী করতে ভোজ্যতেল, চিনি এবং খেজুরের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক কমানোর কথা বিবেচনা করছে। সরকার।
রমজানের সময় প্রয়োজনীয় এসব পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে বলে রোববারের ওই বৈঠকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ নিত্যপণ্যের দাম সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অতিরিক্ত অনুমতি ছাড়াই প্রয়োজন মনে করলে ডিম, আলু, চাল ও খেজুর আমদানির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
পণ্য বোঝাই ট্রাকগুলো যেন মহাসড়কে চাঁদাবাজি বা বাধার সম্মুখীন না হয় সেজন্য বৈঠকে স্বরাষ্ট্র ও পরিবহন মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ঢাকার ২০টির বেশি পয়েন্টে মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রি করবে। রমজানে এই অভিযান ঢাকার বাইরে বাড়ানো সম্ভব কিনা তাও খতিয়ে দেখছে মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে চাল, চিনি, ভোজ্যতেল, মসুরের ডালের পাশাপাশি ছোলা ও খেজুর বিক্রি করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মসুর ডাল এবং খেজুর আমদানির জন্য ন্যূনতম মার্জিন সহ এলসি খোলার অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলিকে নির্দেশ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করেছে।
পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশের জন্য সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোটা রাখার জন্য প্রতিবেশী দেশকে অনুরোধ করতে ভারত সফরের পরিকল্পনা করছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনা মূল্যে প্রয়োজনের মাত্র এক দশমিক ৬২ শতাংশ ওষুধ পান রোগীরা। বাকি ওষুধ কিনতে হয় বাইরের দোকান থেকে।
আর বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, এনজিও ও অন্যান্য সুবিধা থেকে মেলে দুই শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ খানা আয় ও ব্যয় জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সারা দেশের ৭২০টি নমুনা এলাকার ১৪ হাজার ৪০০ খানায় ২০২২ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই জরিপ চালানো হয়।
জরিপের ফলে দেখা যায়, দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ গ্যাস্ট্রিক, রক্তচাপ, বাতজ্বর, হাঁপানি ও ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগলেও তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি কোনো ধরনের চিকিৎসা নেয় না।
এগারো শতাংশ রোগী মনে করে, চিকিৎসা ব্যয় অত্যন্ত বেশি। চিকিৎসা গ্রহণকারীদেরও প্রায় ৫৪ শতাংশ দোকান থেকে নিজের মতো ওষুধ কিনে থাকে।
তেরো শতাংশ মানুষ নিবন্ধিত চিকিৎসকের কাছে যায় না। নয় শতাংশ যায় বেসরকারি ক্লিনিকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত দুই দশকে স্বাস্থ্য ব্যয়ে সরকারের অংশ ক্রমান্বয়ে কমে ব্যক্তির পকেটের খরচ বেড়েছে। এ কারণে সাশ্রয়ের জন্য বেশির ভাগ মানুষ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই সরাসরি দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ‘ফ্লোরপ্রাইস’ তুলে নেওয়ার পর রোববার দেশের শেয়ার বাজারে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে।
শেয়ারবাজারে লেনদেন কমে যাওয়ায় বাজার-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সমালোচনার মুখে প্রায় দেড় বছর পর গত বৃহস্পতিবার বাজার থেকে ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, লেনদেনের শুরুতে কিছু বিনিয়োগকারী আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করেছেন। ফলে বাজারে সূচকের বড় পতন হয়। কিন্তু পরে আবার বিক্রয় চাপ কমে আসে।
তারা বলেছেন, ফ্লোরপ্রাইস উঠে যাওয়ার পর কোনো কোনো ভালো শেয়ারের দর গতকাল বেড়েছে। যা বাজারের জন্য ইতিবাচক।
বাজারের এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি না করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়ে বাজারে যাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পরে সেজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আগেই আলোচনা করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারি ও পরবর্তীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে শেয়ার বাজারে পতন ঠেকাতে গত চার বছরে কয়েক দফায় ফ্লোরপ্রাইস আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিদেশে অর্থ পাচার ঠেকাতে দেশের আমদানি, রপ্তানি ও ইন্ডেন্ট প্রতিষ্ঠানকে কঠোর নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে।
ইন্ডেন্ট প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের একক ডিলার বা এজেন্টশিপ। এসব প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক বাণিজ্যের অন্তরালে অর্থ পাচারের ঘটনা পাওয়া গেলে নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে।
এছাড়া পণ্য ও সেবা আমদানি-রপ্তানির নামে আন্ডার বা ওভার ইনভয়েসিং করলেও প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল হবে।
এছাড়া এখন থেকে নিবন্ধন ছাড়া দেশের ভেতর কোনো আমদানি ও রপ্তানিকারক এবং ইন্ডেন্টের প্রতিষ্ঠান পণ্য ও সেবা আমদানি-রপ্তানি করতে পারবে না।
সম্প্রতি এসব কঠোর বিধান রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যেই কার্যকর হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
যদি গেজেটটি সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন করা হয়। আর সেটি করা হলে আন্ডার ও ওভার ইনভয়েসিং কমে আসবে বলে মন করেন বিশ্লেষকরা।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দিনের পর দিন গ্যাসসঙ্কটের কারণে নারায়ণগঞ্জের ছয় শতাধিক গ্যাসনির্ভর শিল্পকারখানার উৎপাদনে ধস নেমেছে।
সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে রফতানিমুখী পোশাকখাত। বাতিল হচ্ছে বিদেশী অর্ডার।
শিল্প মালিকরা বলছেন, কোটি কোটি টাকা লোকসান দিয়ে প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
এ অবস্থায় পোশাক রফতানি খাতে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
গ্যাসসঙ্কট শিগগিরই সমাধান না হলে গার্মেন্ট সেক্টরের তিন লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হারাতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গ্যাস সংকটের কারণ নিয়ে প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর, ‘২১টির কথা বলে কূপ খনন নয়টি’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সংকট কাটাতে দেশি গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছিল সরকার।
নতুন নতুন কূপ খননের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও পিছিয়ে সরকারি সংস্থাগুলোভ
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ গ্যাস উত্তোলন বাড়াতে চার বছরে ৪৬টি কূপ খনন করার লক্ষ্য ঠিক করেছিল।
এর মধ্যে প্রথম দুই বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের মধ্যে ২১ টি কূপ খননের কথা যদিও হয়েছে মাত্র নয়টি।
এই সময়ের মধ্যে নতুন কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে দিনে ২৮ কোটি ঘণফুট গ্যাস যুক্ত হওয়ার কথা ছিল।
হয়েছে মাত্র আড়াই কোটি ঘণফুট গ্যাস, যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র নয় শতাংশ।
যখন এই অবস্থা তখন সমুদ্রে আরও পিছিয়ে সরকার। বাংলাদেশ তেল গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন পেট্রোল বাংলা সূত্র বলছে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধী নিষ্পত্তির এক যুগ পরও বঙ্গোপসাগরে তেল গ্যাস সন্ধানে তেমন গতি নেই।
এদিকে স্থলভাগের গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন এ বছর কমেছে। মার্কিন ডলারের সংকটে বিদেশ থেকেও আমদানি বাড়ানো যাচ্ছে না।