ব্যাংকগুলোর ধার ৭০ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা – কালের কন্ঠের খবর। বিস্তারিত বলা হয় দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নগদ টাকার ঘাটতি আরো খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ব্যাংকগুলোর তারল্য চাহিদা মেটাতে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৪ হাজার ৬১৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা স্বল্পমেয়াদি ধার নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে।
নিলামের মাধ্যমে গত বুধবার ৪৭টি ব্যাংক ও তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এই টাকা ধার দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এর আগে এক দিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এত ধার দেওয়ার নজির নেই। ব্যাংকগুলোকে এই ধার এক থেকে ২৮ দিনের জন্য দেওয়া হয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ ১৪ দিনের জন্য এই ধার দিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
খবরটি নিয়ে মানবজমিনের শিরোনাম – একদিনেই রেকর্ড ২৪,৬১৫ কোটি টাকা ধার দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। তারা লিখেছে তারল্য সংকটে থাকা বিভিন্ন ব্যাংককে অর্থ দিয়ে সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার এই রেকর্ড পরিমাণ অর্থ স্বল্পমেয়াদি ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে সংস্থাটি গত সোমবার ১৬ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা ধার দিয়েছিল।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী আমানত সংগ্রহ হচ্ছে না। একইসঙ্গে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাচ্ছে। আবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির কারণে বাজার থেকে বড় অঙ্কের টাকা উঠে আসছে।
এসব কারণে কোনো কোনো ব্যাংকের তারল্য প্রবাহ কমে গেছে। এ অবস্থায় সাময়িক চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্য ব্যাংক থেকে ধারের চাহিদা বেড়েছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন সরাসরি সরকারকে ঋণ দিচ্ছে না। সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ঋণ নিচ্ছে।
Gov orgs break rules, use public money to fund pensions for years – দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম। বলা হচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয় ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এবং স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের পেনশন তহবিল স্থগিত করেছে; যার মধ্যে আছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা একাডেমি, জাতীয় যাদুঘর ইত্যাদি।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পেনশন স্কিমের ছাড়পত্র নেই, কিন্তু তারপরও তারা চলতি অর্থবছরে সরকারি তহবিল থেকে ৭৭৯ কোটি টাকা খরচ করেছে।
অন্যদিকে আরও ১৩টি প্রতিষ্ঠান যারা নিজেদের অর্থে চলবে বলে অনুমতি পায় তারাও সরকারি তহবিল ব্যবহার করছে।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পেনশন তহবিল আংশিকভাবে আটকে দিয়েছে সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি জনগণের অর্থ ব্যবহারে অনিয়মের ইঙ্গিত দেয়।
বরাবরে ব্যর্থ মিশন ‘কিংস পার্টি’ – দৈনিক দেশ রুপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে দল ভাঙা বা দল গড়ার খেলা নতুন নয়। প্রত্যেক নির্বাচনের আগে ভাঙা-গড়ার এ খেলায় যুক্ত হয় নতুন কিছু দল, যারা ‘কিংস পার্টি’র খেতাব পায়।
রাতারাতি গঠন করা নামসর্বস্ব এসব দল যাত্রা শুরু করে ঢাকঢোল পিটিয়ে। আবার রাজনীতির মাঠ থেকে হারিয়েও যায় স্রোতের টানে, চোখের পলকে।
আগের কয়েকটি নির্বাচনের মতো দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশ তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। নির্বাচনের আগে বড় দলগুলোর সঙ্গে জোট করে নিজেদের আখের গোছানোর পথ পরিষ্কার করাই ‘কিংস পার্টির’ উদ্দেশ্য।
নৌকা-স্বতন্ত্র লড়াইয়ে লেজেগোবরে আ’লীগ – সমকালের প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচার শুরুর পরই সারাদেশে স্পষ্ট হচ্ছে আওয়ামী লীগের গৃহদাহ।
ভোট ভাগে শতাধিক আসনে ভজঘট। নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেতাদের, চেইন অফ কমান্ড ভেঙে পড়েছে, বাড়ছে সংঘাতের ঘটনাও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, অবমূল্যায়ন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্থানীয় প্রভাব এবং কারও বিরাগভাজন হতে না চাওয়ায় তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা নৌকাকে সমর্থন প্রশ্নে নীরব রয়েছেন।
অসহযোগের কৌশল সাজাচ্ছে বিএনপি – মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয় সদ্য ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলন সফল করার জন্য কৌশলী হচ্ছে বিএনপি। গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে কীভাবে এই কর্মসূচি কার্যকর করা যায় সেটাই ভাবছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা।
দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, কর্তৃত্ববাদী শাসকদের বিরুদ্ধে এশিয়াসহ দুনিয়ার দেশে দেশে নন-কো-অপারেশন মুভমেন্ট কীভাবে সফল হয়েছে সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে অসহযোগ আন্দোলনে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
কর্মপন্থা নির্ধারণে বুধবার রাতে ঢাকা বিভাগের বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি ম্যারাথন বৈঠক করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বলা হয় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলে দেশের এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে ‘প্রাদেশিক ব্যবস্থা’ প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
‘শান্তির জন্য পরিবর্তন, পরিবর্তনের জন্য জাতীয় পার্টি’ স্লোগান সামনে রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছে দলটি। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীর জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে নির্বাচনি ইশতেহারে এই ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
PM warns AL activists against violence – নিউ এজের খবরে বলা হচ্ছে সহিংসতার বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি বিভিন্ন জেলায় নির্বাচনী সমাবেশের বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ৭ই জানুয়ারি একটা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতে দলের সবাইকে কাজ করতে যাতে কেউ এটা নিয়ে প্রশ্ন না তুলতে পারে।
এসময় দলের কর্মীদের সহিংসতার পথ ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সবার সমান সুবিধা নিশ্চিত করার আহবান জানান তিনি। যাতে সবাই মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে পারে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের উপর হামলা বেশি – প্রথম আলোর খবর। বলা হচ্ছে নির্বাচনি সংঘাতে চার দিনে ২১ স্থানে হামলা ও সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
তিন স্থানে হামলা ও মারামারির ঘটনায় ২৩ জন আহত। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনাই বেশি।
নির্বাচনে নাশকতার শঙ্কা -যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম এটি। বলা হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাশকতা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কয়েক কর্মকর্তা।
সম্প্রতি ট্রেনে আগুনসহ কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, সামনের দিনগুলোয় এমন ঘটনা ঘটতে পারে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা এ শঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
তবে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান তারা। বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব বক্তব্য দেন তারা।
অন্যান্য খবর
মালয়েশিয়ায় ৫০০ প্রবাসী আটক – নয়া দিগন্তের খবর। বিস্তারিত বলা হচ্ছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মিনি ঢাকা খ্যাত কোতারায়ায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ ৫০০ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির যৌথ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ইমিগ্রেশন পুলিশ।
এই মিনি ঢাকা খ্যাত রাজধানী কুয়ালালামপুরের কোতারায়া জালান সিলাংয়ের বাংলাদেশিদের প্রায় শতাধিক দোকান ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান চার দিক থেকে ঘিরে চিরুনি অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০০ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়।
এদের মধ্যে বেশির ভাগই রয়েছেন বাংলাদেশি নাগরিক। আরো রয়েছে মিয়ানমার ও নেপালের নাগরিক। ইমিগ্রেশন পুলিশের অভিযোগ, এই বাংলাদেিশ মার্কেটে বৈধ কাগজপত্র ও বৈধ লাইসেন্স ব্যতীত ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ডলার সংকট ও টাকার বিপরীতে মূল্য বেড়ে যাওয়ায় বিদেশী খাদ্যপণ্যের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ, রসুন, আলু, বেগুন ও ইলিশেও। এক বছরের ব্যবধানে এ পাঁচ পণ্যের দাম বেড়েছে দুই-তিন গুণ।