নারী পাচার নিয়ে আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘চীনে বিক্রি পাহাড়ি তরুণীরা’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চীনে এক সন্তান নীতির মারপ্যাঁচে পড়ে দেশটিতে এখন নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা অনেক বেশি। অনেক পুরুষ বিয়ের জন্য নারী পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশের পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে চীনাদের চেহারার মিল থাকায়, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাচারকারী চক্র উন্নত জীবনযাপনের লোভ দেখিয়ে পাহাড়ি পরিবারগুলোকে রাজি করাচ্ছে।
এরপর তরুণী-কিশোরীদের পাচার করা হচ্ছে চীনে। এ কাজে সুবিধার জন্য অনেক সময় এ দেশেই চীনাদের সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বা বিয়ের জাল কাগজ তৈরি করা হচ্ছে।
পত্রিকাটি সূত্রের বরাতে বলছে, এভাবে চক্রের সদস্যরা গত সাত বছরে আট হাজারের বেশি কিশোরী-তরুণীকে চীনে পাচার করেছে।
তাদের কাউকে কাউকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। আবার অনেককে বাসায় আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
জীবন বাঁচাতে কেউ কেউ পালিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে।
এ বিষয়ে চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, চীনে নারী পাচারের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
কেননা ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কখনো কোনো অভিযোগ আসে না।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন। এ লক্ষ্যে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গত রোববার বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।
একই দিন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন এক সাংসদ।
তবে এই তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে আছেন এক উপ পরিচালক। এ বিষয়ে দুদকের সাবেক মহাপরিচালক জানান, এই অনুসন্ধান যেহেতু সাবেক এক বড় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে, ফলে একজন উপপরিচালক বা সহকারী পরিচালক ইতস্তত বোধ করতে পারে।
এক্ষেত্রে একজন পরিচালক মর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হলে ভালো হতো বলে তিনি জানান।
বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর সাত মাস চাকরি শেষে পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসেবে ২০২২ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর অবসরে যান।
অবসর গ্রহণের পর দেখা গেছে, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন, যা তার বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির নানা দিক নিয়ে সমালোচনা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, বাংলাদেশে স্বাধীন আন্দোলনে বাধা দেয়া হয়। এছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অক্ষমতাও রয়েছে।
বাংলাদেশে সরকারে আছে মারাত্মক দুর্নীতি। দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর ওপর আছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ অথবা হয়রানি।
সরকারের তরফ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নিষ্ঠুর নির্যাতন, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ ও শাস্তি দেয়া হয়।
আছে জীবনের প্রতি হুমকি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক বন্দি ও আটক।
বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেয়া হয়নি- এই প্রসঙ্গ প্রতিবেদনে উঠে আসে।
এই রিপোর্টে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার দিকেও দৃষ্টি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হয়রানির ভয়ে সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্রে মিডিয়ার সদস্যরা ও ব্লগাররা নিজেরাই সেন্সর করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান, নিকটাত্মীয় ও স্বজনেরা ভোটের মাঠে রয়ে গেছেন।
গত ১৮ই এপ্রিল দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী সারা দেশে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অথচ সোমবার প্রথম পর্বের ভোটের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে মাত্র তিনজন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের স্বজন সরে দাঁড়িয়েছেন।
আরও ২০ জনের বেশি স্বজন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ভোটের লড়াইয়ে থেকে গেছেন।
এখন পর্যন্ত মন্ত্রী-এমপিদের দুই স্বজনসহ সাতজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার পথে।
আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় পর্বে নতুন করে আরও প্রায় ৩৫ জন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যের স্বজন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদে দলীয় সিদ্ধান্ত না মানায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের স্বজনদের বসাতে কোনো চেষ্টাই করেনি আওয়ামী লীগ।
গত ২৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এই সুযোগে দেশে অনেক জায়গায় মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা নিজের সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের চেয়ারম্যান পদে দাঁড় করিয়ে দেন।
এতে তৃণমূলে বিভেদ সৃষ্টি এবং ভারসাম্য হারানোর আশঙ্কা করেন নীতিনির্ধারকেরা। এরপরই তাঁদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ভয়াবহ গরম নিয়ে নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Relentless heatwave wreaks havoc’ অর্থাৎ ‘চলমান তাপপ্রবাহ বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশজুড়ে একটানা তীব্র গরমের ফলে মানুষের মধ্যে ব্যাপক অসুস্থতা দেখা দিয়েছে। পশুপাখির মৃত্যু ঘটছে।
তাপপ্রবাহের এই ভয়াবহ প্রভাব পোল্ট্রি সেক্টরে সবচেয়ে তীব্র বলে জানা গিয়েছে। সেখানে প্রচুর পরিমাণে মুরগি মারা যাওয়ায় খামারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞদের মতে, তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি হলে পাঁচ সপ্তাহের বেশি বয়সী ব্রয়লারদের স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
তীব্র গরমের কারণে ২০ হাজারটি পোল্ট্রি খামার স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার
বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে পানির স্তর মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসের উদ্ভব ঘটে যা মাছের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলছে। বিপাকে পড়েছেন মাছচাষীরা।
মৎস্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মাছের বসবাসের জন্য আরামদায়ক।
গৃহপালিত প্রাণী যেমন খরগোশ এবং অন্যান্য পাখিও বাংলাদেশের কিছু অংশে প্রচুর পরিমাণে মারা গেছে।
গত ১১ই এপ্রিল থেকে দেশে তাপপ্রবাহ চলছে। সোমবার তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে, তবে পরবর্তী দিনগুলোয় তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে।
সোমবার, খুলনা, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলির পাশাপাশি বাগেরহাট, কুষ্টিয়া এবং পাবনা জেলায় প্রবল তাপপ্রবাহ চলছে।
তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারও তাদের প্রধান শিরোনাম করেছে। তবে পত্রিকাটি প্রথম পাতায় আইএমএফ এর ঋণ নিয়ে শিরোনাম করেছে, ‘IMF team to focus on four key areas’ অর্থাৎ, ‘আইএমএফ’র দল চারটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ফোকাস করবে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, , আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএফএফ-এর পর্যালোচনা মিশন ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, মুদ্রাস্ফীতির হার, ব্যাংকিং খাত এবং রাজস্ব সংস্কারের উপর আলোকপাত করবে।
দশ সদস্যের আইএমএফ মিশনের আজ ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে এবং বুধবার থেকে তারা অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থার সাথে বৈঠক শুরু করবে।
মিশনটি ৮ মে পর্যন্ত ঢাকায় থাকবে। আইএমএফ এরই মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে ১০০টির বেশি প্রশ্ন পাঠিয়েছে।
গত বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য প্রায় চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদনের পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই ধাপে এক দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের মধ্যে বাংলাদেশ ঋণ চেয়েছিল। তবে ঋণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে রিজার্ভের কোনো উন্নতি হয়নি।
আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
ঋণের জন্য আইএমএফ-এর অন্যতম প্রধান শর্ত হলো বাংলাদেশ একটি নির্দিষ্ট নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ বজায় রাখবে।
প্রথম পর্যালোচনায় বাংলাদেশ তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, এবারও ব্যর্থ হতে যাচ্ছে। এছাড়া গত বছরের মার্চ থেকে মূল্যস্ফীতি নয় শতাংশের ওপরে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকারি গুদামে চাল-গম মিলিয়ে মজুদের পরিমাণ গিয়ে ঠেকেছে ১২ লাখ ২২ হাজার টনে।
এর বিপরীতে গেল বছর এবং তার আগের বছর চালের পরিমাণ এর চেয়ে দুই থেকে চার লাখ টন বেশি ছিল।
একে তো চাল উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার চাল আমদানি করতে ব্যবসায়ীদের শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলেও তাদের থেকে কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় সরকারি চালের মজুদ ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম কমলেও গত চার বছর ধরে অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দর ঊর্ধ্বমুখী।
গত পাঁচ বছরে (মার্চ ২০২০-মার্চ ২০২৪) অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের খুচরা মূল্য প্রায় ১৮ টাকা বেড়েছে।
২০২০ সালের মার্চে অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের খুচরা মূল্য ছিল সর্বনিম্ন।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের সর্বনিম্ন দর ছিল ২০২২ সালের মার্চে। তখন এটি ছিল ২০২০ সালের চেয়েও কম।
কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে তখন প্রতি কেজি মোটা চালের খুচরা মূল্য ছিল ২০২০ সালের চেয়েও প্রায় ১২ টাকা বেশি।
অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম কমলেও ওই সময়ে অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম কমেনি, বরং বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সপ্তম শ্রেণীর ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ বইয়ে পাঠের অংশ হিসেবে ‘শরীফার গল্প’ রাখা হয়েছে।
এ নিয়ে সাম্প্রতিক বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনার পর গল্পটিতে ভাষাগত ন্যূনতম পরিবর্তন আসতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা ওই গল্পে ‘বিতর্কের’ কিছু পাচ্ছেন না।
নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ নামক একটি অধ্যায়ে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ নামের একটা গল্প যুক্ত করা হয়।
পরে এ নিয়ে সমালোচনা হলে গল্পটি পর্যালোচনার পাশাপাশি এ বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য গত ২৪শে জানুয়ারি পাঁচ সদস্যের কমিটি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রায় তিন মাসের মাথায় এ কমিটি তাদের প্রতিবেদন ‘চূড়ান্ত’ করতে যাচ্ছে; তাতে গল্পটি পাঠ্যক্রমে রাখার সুপারিশ থাকছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গল্প নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করা হচ্ছে বলে শিক্ষা প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তার দাবি।
সাধারণ শিক্ষায় যে পাঠ্যক্রম পড়ানো হচ্ছে সেগুলো কওমি মাদ্রাসায় পড়ানো হয় না। এ কারণে সাধারণ শিক্ষাক্রম নিয়ে কওমি আলেম ও হেফাজতে ইসলামের আপত্তিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ শিক্ষা প্রশাসন।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রেলযাত্রায় ১০০ কিলোমিটারের অতিরিক্ত দূরত্বে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে আগামী ৪ঠা মে থেকে।
ওই দিন বা এর পরের যেকোনো সময়ে উল্লিখিত দূরত্বের বেশি ভ্রমণের জন্য এখনকার চেয়ে বাড়তি ভাড়া পরিশোধ করতে হবে রেলযাত্রীদের।
৪ঠা মের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আগামীকাল। এ অনুযায়ী কাল থেকেই যাত্রীদের ওই দিন বা এর পরের যেকোনো সময়ের জন্য ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বাড়তি ভাড়া পরিশোধ করে টিকিট কিনতে হবে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে সোমবার একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা দেয়া হয় ১৯৯২ সালে। এরপর ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত বাতিল হলেও চালু ছিল দূরত্বভিত্তিক রেয়াত।
দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধায় ৩২ বছর ধরে মূল ভাড়ায় ১০১-২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১-৪০০ কিলোমিটারে ২৫ শতাংশ ও ৪০১ কিলোমিটার বা এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আর্থিক চাপ ও লোকসান কমাতে এখন এ সুবিধা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে রেলওয়ে। এর পাশাপাশি ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে ট্রেনে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভকৃত টিকিটেরও।