যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘দায়মুক্ত ৩ হাজার দুর্নীতিবাজ‘
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেশের একমাত্র সংস্থা, যা দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করে। কিন্তু গত ১৬ বছরে এটি ক্ষমতাসীন সরকারের ইচ্ছামতো পরিচালিত হয়েছে।
প্রায় তিন হাজার প্রভাবশালী ব্যক্তি, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল, তারা দায়মুক্তি বা ক্লিনচিট পেয়েছেন।
কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ তদন্তেই নথিভুক্ত হয়নি, আবার কিছু ক্ষেত্রে মামলা হলেও তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংস্থাটির উচ্চপদস্থরা সবসময় ক্ষমতার ছায়া অনুসরণ করেছেন এবং সরকারের ইচ্ছামতো কাজ করেছেন। ফলে দুর্নীতি দমন কার্যক্রম কার্যকর হয়নি।
বিশেষ করে ইকবাল মাহমুদের সময়ে সবচেয়ে বেশি দায়মুক্তির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে।
বর্তমানে নতুন সরকার আসার পর পরিস্থিতি বদলেছে। আগের অনেক ক্লিনচিট পাওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে আবার অনুসন্ধান ও মামলা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে তদন্ত জোরদার হয়েছে।
তবে একই ব্যক্তিকে একবার নির্দোষ ঘোষণা করা, পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করা—এমন আচরণে দুদকের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুদককে সত্যিকারের স্বাধীনতা দিতে হবে এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রেখে কার্যকর অনুসন্ধান চালাতে হবে। অন্যথায়, সংস্থাটির বিশ্বাসযোগ্যতা দিন দিন আরও কমে যাবে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে।
গণঅভ্যুত্থানের তরুণ নেতাদের মধ্যে বিভেদ কমাতে নতুন “প্রধান সমন্বয়কারী” পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যেখানে মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আসতে পারেন। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
নতুন ছাত্র সংগঠন “বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ” আত্মপ্রকাশ করেছে, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আধিপত্য দেখা গেছে।
এতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অংশগ্রহণ না থাকায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, যা পরবর্তীতে সংঘর্ষের রূপ নেয়। মধুর ক্যান্টিনে সংগঠনের ঘোষণার সময় উত্তেজনা ছড়ায় এবং উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়।
আহতদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন।
নতুন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব নিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের অসন্তোষ রয়েছে। তারা অভিযোগ করছেন যে, অতীত সংশ্লিষ্টতার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে দূরে রাখা হচ্ছে।
একই সঙ্গে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও নেতৃত্বে তাদের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ফলে নতুন দলের নেতৃত্বে ঐক্যের সংকট স্পষ্ট হয়েছে। এ অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে এবং পরিস্থিতির সমাধান না হলে ২৮শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা অবরোধের হুমকি দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ গঠনের ঘোষণা দেওয়া হলে সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। সংগঠনটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতাদের উদ্যোগে গঠিত হয়েছে।
আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আবু বাকের মজুমদার এবং সদস্যসচিব হয়েছেন জাহিদ আহসান। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি ঘোষণা করা হলে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করে।
বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কমিটিতে যথাযথ প্রতিনিধিত্ব না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁরা সাবেক নেতা রিফাত রশীদকে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখার দাবিও করেন।
এক পর্যায়ে মধুর ক্যানটিন এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও মারামারি হয়। এতে দুজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
বিকেলে নতুন কমিটির সমর্থকরা মিছিল বের করলে আবারও সংঘর্ষ হয়। পরে রাতে বাংলামোটরে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা এবং হামলার বিচার দাবি করেন।
নতুন সংগঠনের নেতারা জানান, তাঁরা ‘স্টুডেন্টস ফার্স্ট’ নীতিতে কাজ করবেন এবং কারও রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবেন না। আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, সব শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করতে চান এবং যৌক্তিক দাবি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নতুন এক রাজনৈতিক দল গঠনের নেতৃত্বে থাকছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আকতার হোসেন।
এই দলে মুখপাত্র হবেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং মুখ্য সংগঠকের দায়িত্বে থাকবেন সারজিস আলম। তবে দলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদে পরিবর্তন আসতে পারে।
দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব পদে আলী আহসান জোনায়েদ ও রাফে সালমান রিফাতের নাম আলোচনা হলেও তারা ফেসবুকে জানিয়েছেন, নতুন দলে থাকছেন না।
তারা বর্তমানে চীন সফরে আছেন, যা নিয়েও নাগরিক কমিটিতে বিতর্ক হয়েছে। জোনায়েদ তার পোস্টে জানান, তিনি আগেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং নতুন রাজনৈতিক দলের সফলতা কামনা করেন।
এদিকে, নতুন দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে নারী নেতৃত্ব রাখার পরিকল্পনা হচ্ছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা সামান্তা শারমিনকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে রাখার কথা ভাবছেন।
নতুন ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ’ গঠন করা হয়েছে, যা নতুন দলের ছাত্রসংগঠন হিসেবে কাজ করবে।
আগামীকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি মানিক মিয়া এভিনিউতে নতুন দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হবে, যেখানে গণতান্ত্রিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দলটির নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক নাগরিক সংসদ’ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মোড় নিচ্ছে, কারণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে মিলে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করছেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই দল রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করছে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ছাড়াও নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টি কেড়েছে।
আগামীকাল শুক্রবার নতুন দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে, যেখানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতারাই নেতৃত্বে থাকবেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদ ছেড়ে নাহিদ ইসলাম আহ্বায়ক হচ্ছেন, আর আখতার হোসেন সদস্যসচিব হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন।
নতুন দলটি নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এক জরিপে দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ মানুষ ছাত্রনেতাদের নতুন দলকে ভোট দিতে আগ্রহী।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রতীকনির্ভর রাজনীতিতে নতুন দলকে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে হবে।
বিএনপি মনে করছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা সরকার গঠন করবে। তবে তরুণ নেতৃত্ব সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে পারলে রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে।
নতুন দলের উদ্যোক্তারা আশাবাদী, তারা নির্বাচনে ভালো করবে, যদিও প্রস্তুতির জন্য আরও সময় দরকার ছিল বলে মনে করছেন।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘True extent of bad loans emerges‘ অর্থাৎ, ‘খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিমাণ বেরিয়ে এসেছে’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ রেকর্ড তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে ২০২৪ সালের শেষে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, মোট ঋণের ২০.২০ শতাংশ এখন খেলাপি। রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এই সংকট আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৮২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা, যা পরবর্তী তিন মাসে ৬০ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা বেড়ে গেছে। পুরো ২০২৪ সালে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দুই লাখ ১৩২ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, আগের সরকারের সময়ে অনেক তথ্য গোপন থাকলেও এখন প্রকৃত অবস্থা প্রকাশ পেয়েছে।
বিশেষ করে, সিটি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকসহ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ ঋণ খেলাপি হয়েছে। শরিয়াহভিত্তিক কিছু ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের প্রভাব ছিল, যেখানে ঋণ অনিয়মিত হয়েছে।
বেক্সিমকো গ্রুপের ২৩ হাজার কোটি এবং এস আলম গ্রুপের ১০ হাজার ২০০ কোটি ঋণ এখন খেলাপি। এছাড়া, আননটেক্স এবং ক্রিসেন্ট গ্রুপও বড় খেলাপি ঋণগ্রহীতা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংক খাত ঠিক করতে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার দরকার। ঋণ পুনরুদ্ধারে জামানত বিক্রির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরি।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হলেও দেশের কৃষিপণ্যের বাজারের আকার প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করতে হয়।
ফলে বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলছেন, সত্যিই দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ কি না। কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানো দরকার।
দেশের খাদ্য চাহিদার ৪০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি করা হয়। বিশেষ করে, গমের প্রায় ৮৫ শতাংশ বিদেশ থেকে আসে।
গত বছর দেশে ৮৪ লাখ টন গম সরবরাহ থাকলেও এর মধ্যে ৭২ লাখ টন আমদানি করা হয়েছে। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক বন্যায় আমনের উৎপাদন কমে যাওয়ায় সরকারকেও চাল আমদানি করতে হচ্ছে।
মসুর ডালের ৭০ শতাংশ, ভোজ্যতেলের ৯৭ শতাংশ, গরম মসলার বড় অংশই আমদানিনির্ভর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পেঁয়াজের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে ঘাটতি মেটাতে আমদানি করতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানি কমাতে প্রযুক্তিনির্ভর চাষাবাদ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। যেসব পণ্য সহজে উৎপাদন করা সম্ভব, সেগুলোর উৎপাদন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি, উৎপাদিত পণ্য রফতানির পথও খুলতে হবে।
সংবাদের প্রধান শিরোনাম, ‘গ্যাসের দাম বাড়ানোর গণশুনানিতে তোপের মুখে বিইআরসি‘
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে গণশুনানি আয়োজন করলে তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়ে।
বুধবার (২৬শে ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিয়াম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই শুনানিতে ব্যবসায়ী, শিল্প মালিক ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
তারা দাবি করেন, গ্যাসের দাম বাড়ালে শিল্প খাত, বিনিয়োগ ও ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়বে, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
পেট্রোবাংলা নতুন শিল্প কারখানার বয়লার ও জেনারেটরে সরবরাহ করা গ্যাসের দাম প্রায় তিন গুণ বাড়িয়ে ৭৫ দশমিক ৭২ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে।
এ নিয়ে অংশীজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
একই ভবনের নিচে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) মানববন্ধন করে এবং শুনানিকে প্রহসন বলে বয়কট করে।
ক্যাবের সদস্যরা বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর বদলে চুরি বন্ধের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এক ধাপে তিন গুণ দাম বাড়ালে নতুন কোনো শিল্প হবে না, বরং সরকারকে ভর্তুকি দেওয়ার প্রয়োজন হবে।
বিইআরসির ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করে তারা বলেন, বিইআরসি জনগণের স্বার্থ রক্ষা না করে দাম বাড়ানোর পক্ষ নিচ্ছে।
নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘স্বাধীনতার সূচকে সবচেয়ে বেশি উন্নতি বাংলাদেশের‘
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউজ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে।
গত বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪০, যা বেড়ে এবার ৪৫ হয়েছে। এই উন্নতির ফলে বাংলাদেশ ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও সিরিয়ার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি করা দেশগুলোর তালিকায় জায়গা পেয়েছে।
ফ্রিডম হাউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতার মান কমেছে, বিশেষ করে কর্তৃত্ববাদী শাসকেরা তাদের ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করেছে।
২০৮টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ৬০টিতে স্বাধীনতা কমলেও মাত্র ৩৪টি দেশে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা গেছে, যদিও শ্রেণী পরিবর্তন হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ২০২৩ সালে গণ-আন্দোলনের ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন, যা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় পরিবর্তন আনে। তবে রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে আরও উন্নতি প্রয়োজন।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের অবস্থানও উন্নতি করেছে, তবে ভারত নিজেই স্বাধীনতা সূচকে অবনতি দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপের চেষ্টার কারণে ভারতের স্কোর ৬৬ থেকে কমে ৬৩ হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতার মান ১৯ বছর ধরে কমছে, তবে ২০২৪ সাল বিশেষভাবে ঘটনাবহুল ছিল, কারণ এই বছর অনেক দেশে নির্বাচন হয়েছে।