তিন মাসের ব্যবধানে মাংসের ভোগ কমেছে প্রায় অর্ধেক– বণিক বার্তা পত্রিকার শিরোনাম এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন মাংসের দোকানে ঘুরে দেখা গেছে যে মাংস বিক্রির পরিমাণ কমেছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে তিন মাসের ব্যবধানে মাংস উৎপাদন বা ভোগ প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে । প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত জুলাইয়ে দেশে মাংস উৎপাদন ছিল ১২ লাখ ২৫ হাজার টন। কিন্তু আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও নতুন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পটভূমিতে মাংস উৎপাদন নেমে এসেছিল ৬ লাখ ৪১ হাজার টনে। সেপ্টেম্বরে নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত ছিল। সে মাসে মাংস উৎপাদন হয়েছিল ৬ লাখ ৩৯ হাজার টন। সর্বশেষ অক্টোবরেও মাংস উৎপাদন হয়েছিল মাত্র ছয় লাখ টন। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে দেশে মোট মাংস উৎপাদন বা ভোগ অর্ধেকে নেমে এসেছে।
পত্রিকাটির প্রধান শিরোনাম-সরকারি ব্যয়ের ৫১ শতাংশ খরচ হয়েছে ঋণের সুদ পরিশোধে। এখানে বলা হয়েছে, ঋণের সুদ বাবদ সরকারের ব্যয়ের বোঝা ক্রমেই স্ফীত হয়ে উঠছে। একসময় সরকারের পরিচালন ব্যয়ের ৩০ শতাংশেরও কম অর্থ ব্যয় হতো ঋণের সুদ পরিশোধে। কিন্তু চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পরিচালন ব্যয়ের অর্ধেকের বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে এ খাতে।
এক-এগারোর মতো টার্গেটে ব্যবসায়ীরা!— কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, দেশে সার্বিকভাবে যে জ্বালাও, পোড়াও, ভাঙচুর চলছে, তাতে নানা ধরনের সমস্যা চেপে বসেছে ব্যবসা-বাণিজ্য-অর্থনীতির ঘাড়ে। সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়, একের পর এক ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারাই হয়রানির শিকার হচ্ছেন। যেমন, কাঁচামাল আমদানিতে ধীরগতি।
অনেক ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা বলছেন, ঘুরেফিরে আবারও তারাই টার্গেটে। তারা বলছেন, দেড় যুগ আগে এক-এগারো পটপরিবর্তনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের ওপর যে জুলুম-অত্যাচার করা হয়েছিল, ওই ঘা এখনও শুকায়নি। ওই সময় দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের ধরে আটকে রাখা, অনৈতিকভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এবং ব্যাবসায়িক পরিবেশ বিপন্ন করে দেশের ঘাড়ে বেকারত্বের বোঝা বাড়িয়ে দেওয়ার দুঃসহ স্মৃতি এখনও তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
দেশের অর্থনীতি আবারও সেই পরিস্থিতির মুখে পড়তে যাচ্ছে কি না, এ নিয়েই তারা এখন শঙ্কিত। এক-এগারোর পরিস্থিতির মতো দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি একই পন্থায় শিল্প খাতে অরাজক পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী শিল্পোদ্যোক্তাদের।
অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসে বড় বাঁকবদল ঘটে যায়। সে সময় দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় মানুষ ক্রমেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। একই সঙ্গে বেছে বেছে শীর্ষ শিল্পোদ্যোক্তাদের হয়রানির মাধ্যমে দেশে ব্যবসার পরিবেশ নষ্ট করায় অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছিল। আবারও সেই একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটুক তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
বন্দরে বাণিজ্যে বাধা— আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বাণিজ্য নিয়ে ভারত সরকার সরাসরি কোনও সিদ্ধান্ত না নিলেও দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বাণিজ্যে বাধা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
উগ্রপন্থীরা আবার কোথাও কোথাও বিক্ষোভ করে বন্ধ করে দিচ্ছে স্থলবন্দরের কার্যক্রম। এতে ব্যাহত হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি।
বাণিজ্য বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজনৈতিক বিভেদ বা দূরত্ব থেকে বাণিজ্যকে মুক্ত রাখতে হবে। অনভিপ্রেত ঘটনার প্রভাব যদি আমদানি-রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার মতো পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়, ক্ষতিটা ভারতেরই হবে। কেননা, প্রতিবছর বাংলাদেশ ভারত থেকে ১৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা আমদানি করছে। এর বিঘ্ন ঘটলে ভারত সেই বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হবে।
অন্যদিকে রপ্তানি বন্ধ করলে সাময়িক সময়ের জন্য বাংলাদেশ কিছুটা চাপে পড়লেও আমদানির নতুন বিকল্প উৎস ঠিকই খুঁজে পেয়ে যাবে। তদুপরি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়িয়েও তা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।
নিউইয়র্কভিত্তিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ট্রেড ইকোনমির তথ্যমতে, ভারত গত বছর বিশ্বে ৩৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। তার মধ্যে বাংলাদেশেই এককভাবে রপ্তানি করেছে ১১ দশমিক তিন বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
জাতীয় ঐক্য গড়তে প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগ— এটি মানবজমিন পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে টানাপড়েনের মধ্যে জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ লক্ষ্যে ছাত্র আন্দোলনের নেতা, রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছেন তিনি। গতকাল ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে প্রথম ধাপের বৈঠকে মিলিত হন প্রধান উপদেষ্টা। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আর আগামীকাল ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন সরকারপ্রধান।
এসব বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতীয় ঐক্যের বার্তা দেয়া।
সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বার্তা ঢাকা-দিল্লির— এটি সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত পাঁচই অগাস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর থেকে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কে চিড় ধরে।
ধীরে ধীরে তা তিক্ততায় রূপ নেয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার ঘিরে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে থাকে।
একপর্যায়ে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলাটি দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি নতুন মাত্রা যোগ করে। দু’দেশের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই ঢাকার ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছিলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর পরই ঢাকা ও দিল্লি দু’পক্ষ থেকেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বার্তা এসেছে।
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে ভিসাসহ কনস্যুলার সেবা বন্ধ— এটি নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ভিসাসহ সব ধরনের কনসুলার সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গতকাল থেকেই বাংলাদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে মিশনের ভিসা ও কনসুলার সেবা পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এ দিকে স্থানীয় পুলিশের উপস্থিতিতে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের হামলায় আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রেক্ষাপটে গতকাল ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে।
বিকেল ৪টায় প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহর সাথে প্রায় আধা ঘণ্টা বৈঠক করেন। এ সময় আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে একটি প্রতিবাদ পত্র ভারতের হাইকমিশনারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
৪ হাজার কোটি জামানত রেখে ৭৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ— দৈনিক প্রথম আলো’র প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ থেকে এস আলম গ্রুপ ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ৭৩ হাজার ১১৩ কোটি টাকার ঋণ বের করে নিয়েছে। এই অর্থ ব্যাংকটির মোট ঋণের প্রায় ৫০ শতাংশ।
তবে এর বিপরীতে জামানত দেওয়া সম্পদের মূল্য মাত্র চার হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। ইসলামী ব্যাংকে এখন নিরীক্ষা কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটও তদন্ত চালাচ্ছে।
কেবল একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী যেভাবে একটি ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা লুটপাট করেছে, তা দেশের সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে।
এই লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ সমর্থনে। ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক থেকে ঋণ বের করার ক্ষেত্রে আর্থিক খাতের আইনকানুন ও নিয়মনীতির বড় ধরনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
গতকালের বৈঠকে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “দেশের মানুষ ছাত্রদের ওপর ভরসা করে। এই বিশ্বাস ধরে রেখো। হাতছাড়া করো না। তোমরা কখনোই আশাহত হবে না। তোমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছ। দেশ বদলিয়ে ফেলেছ। তোমরাই পারবে। মানুষের আশা তোমাদের পূরণ করতে হবে। অন্তত সে পথে তোমাদের অগ্রসর হতে হবে।”
“এক বিজয় করেছ, আরেক বিজয় আসবে। তোমরা বারবার আমাদের মনে করিয়ে দেবে যেন আমরাও সতর্ক হই, সজাগ হই,” যোগ করেন তিনি।
Service seekers paid Tk 1.46 lakh crore in bribes during AL rule— দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রথম পাতার এই শিরোনামে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলের ১৫ বছরে সেবা গ্রহণের জন্য জনগণকে এক লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রকাশিত ‘সেবাখাতে দুর্নীতি জাতীয় খানা জরিপ ২০০৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠেছে।
এর মধ্যে ২০২৩ সালে ঘুষের হার সবচেয়ে বেশি ভূমি, বিচারিক সেবা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, পাসপোর্ট, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও বিআরটিএ-তে বলেও জানায় টিআইবি।
২০২৩ সালে জাতীয়ভাবে প্রাক্কলিত ঘুষের পরিমাণ ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের এক দশমিক ৪৩ শতাংশ ও জিডিপির দশমিক ২২ শতাংশ।