সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘ভঙ্গুর আইনশৃঙ্খলায় পুলিশের খোলনলচে বদলের উদ্যোগ’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক পরিচয় ও আর্থিক লেনদেনে বদলি ,পদোন্নতি ও নানা ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত ঘটনায় সমালোচিত হয়েছে পুলিশ।
বার বার এমন অপেশাদার আচরণের কারণে পুলিশ মানুষের আস্থার হারিয়েছে। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে পেশাদারিত্ব নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
তবে জুলাই অগাস্ট আন্দোলনে নির্বিচারে অস্ত্র ব্যবহারের কারণে পুনরায় সমালোচনার খাতা খোলে পুলিশ। তারা নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে পুলিশ সংস্কারের ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে।
এরিমধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশন কাজ শুরু করেছে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধানের পাশাপাশি বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তার সঙ্গে কমিশনের একাধিক বৈঠক হয়েছে। সেখানে নানা মত উঠে আসছে।
এদিকে ভয়ংকর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করা ও পুলিশের খোলনলচে বদলে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ এখন বাহিনীর সামনে।
শেখ হাসিনা পতনের পর পুলিশের ভেতর থেকেও সংস্কারের দাবিদাওয়া সামনে আসে। বলয় মুক্ত হতে হয়ে বদলাতে চায় তারা।
বিশেষজ্ঞদের মতে পুলিশের সংস্কারে তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া যেতে পারে। প্রথমত, নিয়োগ বদলি ও পদোন্নতি রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করা। আর এসব কর্মকাণ্ড তদন্তে স্বতন্ত্র কমিশন গঠন কাজ করবে।
দ্বিতীয়ত, ১৮৬১ সালের উপনিবেশিক পুলিশ আইনের কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনার জরুরি। পুলিশ সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইটে ‘কেমন পুলিশ চাই’ এই শিরোনামে জনমত চাওয়া হয়েছে।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘১৫ বছরে বিচার ছাড়াই ১৯২৬ জনকে হত্যা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা ‘ক্রসফায়ারের’ নামে অন্তত এক হাজার ৯২৬ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার এই হিসাব বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক)। তারা এই পরিসংখ্যান তৈরি করেছে সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে।
পুলিশ শুরু থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এলেও পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সাত বছরের ক্রসফায়ারের তথ্য সংরক্ষণ করেছে।
এতে দেখা যায়, এই সাত বছরেই ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন এক হাজার ২৯৩ জন। দেশের এমন কোনো জেলা নেই যেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটেনি। এর মধ্যে অনেক রাজনৈতিক নেতা–কর্মীও রয়েছেন।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর পরিবারগুলো মামলা করার সাহস পেত না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ক্রসফায়ারের’ মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করার প্রবণতা শুরু হয় মূলত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর। এসব ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তাদের কেউ কেউ অর্থের বিনিময়ে বা অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়েও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নিহতদের নামের পাশে পরিচয়ের ঘর রয়েছে। তাতে নিহত ব্যক্তিদের ২৩ ধরনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা–কর্মীও রয়েছেন।
তবে বেশির ভাগ নামের পাশে ‘সন্ত্রাসী’, ‘দুষ্কৃতকারী’, ‘বন্দুকধারী’ বা ‘অস্ত্রধারী’, ‘মাদক কারবারি’, ‘জলদস্যু’, ‘বনদস্যু’, ‘ডাকাত’, ‘ছিনকাইকারী’, ‘মামলার আসামি’, ‘চরমপন্থী’ ইত্যাদি পরিচয় দেওয়া হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক কর্মীকেও এসব পরিচয়ে ক্রসফায়ারে মারা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নিহত এসব ব্যক্তির অনেকে নানা ধরনের অপরাধে জড়িত বা মামলার আসামি এটা যেমন ঠিক, আবার এসবের সঙ্গে জড়িত নয় এমন ব্যক্তিকেও কোনো না কোনো তকমা দিয়ে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকার পতনের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে একদিকে কারখানায় উৎপাদন যেমন কমেছে তেমনি উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে ব্যয় কমাতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বন্যার নেতিবাচক প্রভাব।
এ অবস্থায় খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের চাহিদা বেশি কমেছে। এতে এই খাতগুলোর বিক্রি ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।
বাজারে নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানতে দফায় দফায় সুদের হার বাড়িয়ে টাকার প্রবাহ কমানোর কৌশল নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ সংকুচিত। ডলারের উচ্চমূল্য ঘি ঢেলেছে বাজারে। অথচ মানুষের আয় বাড়েনি, বরং জিনিসপত্রের বাড়তি দামে তারা প্রায় দিশাহারা।
উন্নয়ন প্রকল্পে স্থবিরতায় কাজ কমেছে সাধারণ মানুষের। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের কারণে জনজীবনে অস্থিরতা, আস্থাহীনতা।
ছোট-বড় সব বিনিয়োগ বা ব্যবসা প্রসারে স্থবিরতা। নিত্য দিনযাপনে মানুষের মধ্যে অস্থিরতার প্রভাব ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সর্বত্র।
এর ফলে একদিকে যেমন উৎপাদনশীলতায় স্থবিরতা চলছে, তেমনি মানুষেরও ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। তারা সীমিত করছে কেনাকাটা, যার প্রভাবে বেচাবিক্রিও কমেছে ব্যবসায়।
বিশেষ করে খুচরা বিক্রিতে মন্দা চলছে। ব্যবসার এই ভাটার টানে ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের ব্যাবসায়িক সক্ষমতা।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সংবিধান সংশোধন, পুনর্বিন্যাস নাকি পুনর্লিখন হবে-তা রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
আগামী সপ্তাহে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু হচ্ছে। আর রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও প্রস্তাব নিতে আগামীকাল মঙ্গলবার ওয়েবসাইট খোলা হবে।
সংবিধান সংস্কার কমিশন সরাসরি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসবে না। অন্তর্বর্তী সরকার দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে।
আওয়ামী লীগ সমর্থনকারীদের সুপারিশ নেবে না কমিশন। রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সংবাদ সম্মেলনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, এক দফা ঘোষণার পর পুরাতন রাজনীতির সেটেলমেন্ট খারিজ করছি। আমরা নতুন রাজনীতির বন্দোবস্ত চাই। নতুন রাজনীতি বন্দোবস্ত মানে নতুন সংবিধান।
এর উদ্দশ্যে হল: ভবিষ্যতে যে কোনো ধরনের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার উত্থান রোধ, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ-নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ ও ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, রাষ্ট্রক্ষমতা ও প্রতিষ্ঠানের বিকেন্দ্রীকরণ ও পর্যাপ্ত ক্ষমতায়ন এবং রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক এবং আইন দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানের কার্যকর স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারের শেষ সময়ে দলীয় পরিচয়ে চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত তিন হাজার ৫৭৪ জন টিআরসি চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছে।
গত জুন মাসে দলীয় বিবেচনায় চূড়ান্ত হওয়া এসব টিআরসি (ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল) বর্তমানে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার নোয়াখালী, টাঙ্গাইল, রংপুর, খুলনা, পিএসটিএস রাঙ্গামাটি ও পুলিশ একাডেমি সারদায় চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রশিক্ষণরত রয়েছে।
গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে সারা দেশে ৬৪ জেলায় চারটি পর্বে বিগত সরকারের দলীয় ক্যাডার হিসেবে মৌখিক পরীক্ষার আগের দিন তাদের বাছাই করা হয়।
এর বাইরে বিএনপি জামায়াতপন্থী প্রার্থীদের নানা কৌশলে বাদ দেয়ার মাধ্যমে তাদের বাছাই করা হয়েছিল।
তৎকালীন আইজিপি এবং রিক্রুটমেন্ট ও ক্যারিয়ার প্ল্যানিং শাখা থেকে অত্যন্ত চতুরতার সাথে তাদের বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
এ প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা বর্তমান বৈষম্যবিরোধী সরকারের সময়ে বিভিন্ন পদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এভাবে দলীয় পরিচয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ও তার সহযোগীরা গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ পুলিশে লক্ষাধিক পুলিশ সদস্য নিয়োগের কাজ অত্যন্ত সুচারুভাবে সম্পন্ন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একটি দলীয় বাহিনীতে পরিণত করার কাজ সম্পন্ন করেছে।
গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা গেছে, গত ১৫ বছরে নিয়োগপ্রাপ্ত কনস্টেবল ও সাব-ইনস্পেক্টরদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের অনেকেই আইজিপি, অতিরিক্ত আইজিপি ও ডিআইজি হিসেবে অবসরে গেছেন। আবার অনেকেই ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটে গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন।
নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Adani threatens to stop power supply’ অর্থাৎ, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছে আদানি’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ই নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের না করলে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ স্থগিত করার কথা বলেছে আদানি।
নতুন এই সময়সীমা নিয়ে বাংলাদেশ তার বিস্ময় ও প্রকাশ করেছে।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলেছেন, আদানি তার সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশ যদি পর্যাপ্ত জ্বালানি আমদানি করে এবং দেশের অবশিষ্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাকে কাজে লাগায় তাহলেও তারা চালিয়ে নিতে পারবে।
আদানি-ঝাড়খণ্ড পাওয়ার লিমিটেডের ১৪৯৬ মেগাওয়াট কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বর্তমানে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
কারণ ৩১শে অক্টোবর বকেয়া প্রদানের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় বকেয়া পরিশোধের জন্য পূর্ববর্তী সময়সীমার পরে উত্পাদন অর্ধেক করে দিয়েছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে যে নতুন সময়সীমার মধ্যে বকেয়া শোধ না করলে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাবে।
যদিও বাংলাদেশ ৮৫০ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া বিল পরিশোধের বিষয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করেনি।
তবে আদানির এমন হুঁশিয়ারিতে ‘বাংলাদেশ বিস্মিত ও মর্মাহত’ বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফৌজুল কবির খান।
তিনি বলেন, “আমরা টাকা দিচ্ছি। এই ধরনের সময়সীমা অগ্রহণযোগ্য। আদানি যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তখন আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত”।
যদিও রোববার বিকেল পর্যন্ত নতুন সময়সীমা জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো চিঠি পায়নি।
বিশেষজ্ঞরা পর্যবেক্ষণ করেছেন যে শীতের শুরু হওয়ার সাথে সাথে, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করা আপাতত বড় সমস্যা তৈরি করতে পারবে না কারণ তাপমাত্রা কমে আসার ফলে বিদ্যুতের চাহিদা হ্রাস পাবে।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Now coal power plants scaling back production’ অর্থাৎ, ‘এখন কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো উৎপাদন কমিয়ে দিচ্ছে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আর্থিক, আইনি বা প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে, এমনকি বন্ধ করে দিচ্ছে, যার ফলে সারা দেশে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা যাচ্ছে।
গ্যাস-চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীরা ইতিমধ্যেই জুন মাস থেকে এই অবস্থায় রয়েছে।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি-এর তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪শে অক্টোবর, মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা শেষ হয়ে গিয়েছে। এটি আগের কয়েক সপ্তাহ ধরে অর্ধেক উৎপাদন ক্ষমতায় চলছিল।
কর্মকর্তারা বলেছেন, ডিসেম্বরের আগে প্ল্যান্টটি পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি) জানিয়েছে, বরিশাল ৩০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রয়েছে।
কয়লা সংকটের কারণে রামপাল ও এসএস পাওয়ার দীর্ঘদিন ধরে তাদের অর্ধেক ক্ষমতায় উৎপাদন করছে।
বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে দুটিতে উৎপাদন চলছে এবং ৪৪৪ মেগাওয়াটের সম্মিলিত ক্ষমতার বিপরীতে প্রায় ২৩৫ মেগাওয়াট উৎপাদন করছে।
পিডিবির একটি সূত্র জানায়, মূলত ডলার সংকটের কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো সেভাবে কয়লা আমদানি করতে পারছে না। এ কারণে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
পিডিবি দিনের পিক আওয়ারে প্রায় ১১ হাজার মেগাওয়াট এবং সন্ধ্যার পিক আওয়ারে প্রায় ১৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যা চাহিদার তুলনায় প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট কম।
বরিশালের পায়রা একমাত্র বিভাগ যা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার সম্মুখীন হচ্ছে না।
আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘মিলে গেলেই ভোগান্তি’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নামের বানান, জন্মতারিখ বা ঠিকানার ভুল—জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে নাগরিকের ভোগান্তির শেষ নেই।
এনআইডি সংক্রান্ত আরেকটি কম আলোচিত ভোগান্তির নাম ‘ম্যাচ ফাউন্ড’ (মিল পাওয়া)। একজনের হাতের আঙুলের ছাপ অন্যজনের সঙ্গে মিলে এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
এর ফলে নতুনদের ক্ষেত্রে এনআইডি নম্বর পড়ছে না। এমনকি যার সঙ্গে মিলছে, তার এনআইডি নম্বরও লক হয়ে যাচ্ছে।
আর এ বিষয়ে নাগরিকেরা সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারছেন না বলে ম্যাচ ফাউন্ড বড় ধরনের সমস্যা হয়ে উঠেছে।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ম্যাচ ফাউন্ড সমস্যা সমাধানের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলার অধিবাসীরা ঢাকার নির্বাচন ভবনে এসে ভিড় করছেন।
এ জন্য তারা সময় ছাড়াও বাড়তি খরচের হয়রানির মধ্যে পড়েছেন।
ইসি সূত্র ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেউ নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করে হয়তো মাসের পর মাস পার হলেও এনআইডি নম্বর পাচ্ছেন না।
এ রকম অনেকে ইসিতে খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন তিনি ‘ম্যাচ ফাউন্ড’ সমস্যার শিকার।
অন্য কারও সঙ্গে না মিললে আগ্রহী ব্যক্তিকে ভোটার করা হয়। ভোটার হিসেবে নিবন্ধন সম্পন্ন হলে তিনি একটি এনআইডি পান।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কাল বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর পদের লড়াই হতে যাচ্ছে। যা বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন।
এতে বিজয়ীর হাতে উঠবে হোয়াইট হাউসের চাবি। ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্টের চেয়ার আগামী চার বছর দখলে রাখার লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।
এ জন্য সারাবিশ্বের কোটি কোটি চোখ তাকিয়ে আছে সেদিকে। সঙ্গে আছে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ভয়। কঠিন এক অনিশ্চয়তা। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে ভোটযুদ্ধ।
প্রায় ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন মহারণ হতে যাচ্ছে। তার একদিকে ডেমোক্রেট কমালা হ্যারিস। বিপরীতে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
দু’জনের মধ্যে যে ভোটযুদ্ধ হচ্ছে তাতে জয়ের সুযোগ দু’জনেরই ফিফটি ফিফটি। সমানে সমান। কার গলায় উঠবে জয়ের মালা।
কেউ পূর্বাভাস দিতে পারছেন না। এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে বাকি বিশ্ব। বিশ্বের অর্থনীতি, রাজনীতি- সবই ঘুরে যেতে পারে। এ জন্যই বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে সবাই।
তারা দেখতে চায়- কার হাতে ওঠে হোয়াইট হাউসের চাবি। এবারের নির্বাচনের মতো এমন অনিশ্চিত অবস্থা, উত্তেজনা সাম্প্রতিক সময়ে আর দেখা যায়নি।
কমালা হ্যারিস-ডোনাল্ড ট্রাম্প দু’জনের সামনেই ইতিহাস গড়ার হাতছানি।