ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম, ‘সিন্ডিকেটের কারসাজিতে হাওয়া সয়াবিন বোতল’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক থেকে দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজার থেকে রীতিমতো উধাও হয়ে গেছে। ক্রেতারা যে দুই-একটি বোতল পাচ্ছেন, তারও দাম রাখা হচ্ছে বেশি।
শুক্রবার ঢাকার কাওরান বাজার, মহাখালী, শান্তিনগর ও তুরাগ এলাকার নতুন বাজারে খোঁজ নিয়ে এ চিত্র দেখা গিয়েছে।
বাজারের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভোজ্য তেল পরিশোধন কোম্পানিগুলো বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে না। যতোটুকু আসছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম।
রমজানকে সামনে রেখে কোম্পানিগুলো এখন থেকেই বাজারে সরবরাহ কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর পায়তারা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুই দফায় আমদানি শুল্ককর কমালেও এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি বাজারে। শুল্ককর কমানোর ফলে ভোজ্য তেলের আমদানি বাড়ার কথা, উল্টো আমদানি আরো কমেছে।
আমদানিকারকদের দাবি, বর্তমানে বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়তি। এ অবস্থায় তারা ভোজ্য তেলের দর সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন।
এ নিয়ে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা ক্যাব এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে বাজারে যে তেল বিক্রি হচ্ছে তাতো আগেই আমদানি করা। সেক্ষেত্রে ভোক্তাদের জিম্মি করে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘ঢাকায় বাস চলাচলে নৈরাজ্য রয়েই গেল’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার যোগাযোগ খাত উন্নয়ন বাবদ বিগত সরকার পৌনে তিন লাখ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিলেও ঢাকায় বাস চলাচলের নামে নৈরাজ্য বন্ধ হয়নি।
বলা হচ্ছে, মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে শৃঙ্খলা ফেরানো যেত বাসে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নজর ছিল মূলত বড় প্রকল্পে।
বড় অঙ্কের কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। কয়েকটি বাস্তবায়নাধীন। কিন্তু শৃঙ্খলা ফেরানোর বেলায় তৎকালীন সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছিলেন হাত গুটিয়ে।
সে সময়ের ঢাকার দুই মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম তা পারেননি। তারা বৈঠকের পর বৈঠক করেছেন। কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন। কাজের কাজ হয়নি।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাসে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন বাস নামানো ও সব বাসকে একই কোম্পানির অধীন নিয়ে আসার আগের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নতুন করে উদ্যোগী হয়েছে ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।
তবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত না হওয়ার পেছনে দুটি কারণ চিহ্নিত করেছেন পরিবহন সংশ্লিষ্ট ও বিশেষজ্ঞরা। প্রথমত, বিগত সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল বড় ব্যয়ের মেগা প্রকল্প, যা থেকে রাজনীতিক, আমলা ও ঠিকাদারেরা সুবিধা পাবেন।
দ্বিতীয়ত কারণ, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অসহযোগিতা। কারণ, সীমিত কিছু কোম্পানির অধীন কেন্দ্রীয়ভাবে বাস পরিচালনা করলে মালিক-শ্রমিক সমিতি এবং কোম্পানির রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রকেরা চাঁদা তুলতে পারবেন না।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকায় নাগরিক সেবা বিশেষ করে জন্মনিবন্ধন, মৃত্যুসনদসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো নিতে হয়রানি আর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের।
সেবা পেতে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর থেকে আঞ্চলিক অফিসগুলোতে বার বার ঘুরছেন নগরবাসী।
অধিকাংশ কাউন্সিলর অফিসগুলোতেই স্বাভাবিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। আঞ্চলিক অফিসেও সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে।
গত ২৬শে সেপ্টেম্বর সিটি করপোরেশনের সব কাউন্সিলরকে অপসারণ করে সরকার। তাদের পরিবর্তে প্রতিটি ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ওয়ার্ড সচিব এবং সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
কোনো কোনো ওয়ার্ড সচিবকে দু’টি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশাল জনসংখ্যার বিপরীতে প্রশাসনিক বাড়তি দায়িত্ব পালনে হিমশিম খাচ্ছেন সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এক্ষেত্রে লোকবল বাড়িয়ে নাগরিক সেবা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে।
এদিকে সরেজমিনে প্রতিবেদন দেখতে পান ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিস এখন বন্ধ রয়েছে। অসংখ্য অফিস সময়মতো খুলছে না।
কাউন্সিলরদের অবর্তমানে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাও ঠিকমতো অফিস করছেন না। এছাড়া সাধারণ মানুষও জানেন না, জন্ম ও মৃত্যুসনদের সেবাগুলো তারা কোথায় পাবেন?
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপি মনে করছে, সামনের নির্বাচনে দলের জন্য পরিস্থিতি অনুকূলে আছে।
তবে ক্ষমতাকেন্দ্রিক নানামুখী টানাপোড়েনের কারণে নির্বাচনের সময় ও ভোটের পর দলকে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হতে পারে।
এ কারণে প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য দলকে সাংগঠনিকভাবে তৈরি রাখার পাশাপাশি ভোটের প্রস্তুতিও সেরে রাখার দিকে মনোযোগী হয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
তাদের মতে, বর্তমানে নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রতিনিধিত্বমূলক করাটা গুরুত্ব পাবে সবার কাছে। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার যে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করছে, সেগুলো বিএনপির জন্যও চ্যালেঞ্জ।’
সেক্ষেত্রে আগামী নির্বাচন কখন হবে, ভোটের পর নতুন সরকারব্যবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনো ভূমিকা রাখতে চাইবেন কি না, এ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রভাবশালী প্রতিবেশী দেশ ভারত ও আওয়ামী লীগ কী পদক্ষেপ নেবে, আর নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কখন কী কৌশল নেয়, তার ওপর বিএনপির ভোটের কৌশল, প্রার্থী মনোনয়ন ও অন্যান্য প্রস্তুতি অনেকটা নির্ভর করবে।
সেইসাথে নতুন রাজনৈতিক ঢেউয়ের সুযোগে অনেকে দলে ঢুকে বিএনপিতে ঝামেলা তৈরি করতে পারে, এমন ঝুঁকিও আছে, বলে মনে করেন বিএনপির নেতারা।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত ৫ই অগাস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের সাথে দেশটির সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না।
বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণের অভিযোগ এবং সর্বশেষ সনাতন হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতারের জেরে সৃষ্ট সংঘর্ষ পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের ফলে দুই দেশের নাগরিকদের একটি অংশ যুদ্ধংদেহী অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনা আগুনে ঘি ঢেলেছে।
এ ঘটনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মাকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এ রকম একটি গোলমেলে পরিস্থিতিতেই ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আসছেন বাংলাদেশ সফরে। তার এই সফর সামনে রেখেইে জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মন্তব্য দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেকেই মনে করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব যে বাংলাদেশে আসছেন এতে দু’দেশের সম্পর্কে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন অবশ্য জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের সাথে সুসম্পর্ক চায়। এক্ষেত্রে উভয় পক্ষেরই এটা চাওয়া দরকার এবং এজন্য কাজ করা উচিত।’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার কূটনৈতিক উত্তেজনার বাড়তে থাকায় বাংলাদেশিরা ভ্রমণ ছাড়াও চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে ভিড় করছেন।
এ সুযোগে থাইল্যান্ডে সক্রিয় বাংলাদেশি দালাল চক্র। তারা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছেন অর্থ।
গত ৫ই অগাস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অজুহাত দেখিয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশিদের পর্যটন ভিসা দিচ্ছে না।
গুরুতর রোগী ছাড়া অন্যদের আটকে দিচ্ছে মেডিকেল ভিসা। দেশটির অনেক প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসক ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা থেকে আগতদের চিকিৎসা না দেওয়ার।
ফলে বাংলাদেশিরা থাইল্যান্ড যেতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার থাকা-খাওয়াসহ আনুষঙ্গিক খরচও দিল্লির কাছাকাছি হওয়ায় বেড়েছে ব্যাংকক যাওয়ার প্রবণতা।
থাইল্যান্ডগামী ফ্লাইটেও বেড়েছে যাত্রীর চাপ। থাইল্যান্ডে অবস্থান করা বাংলাদেশিরা জানান, সহজ ভিসা, স্বল্প সময় ও কম বিমান ভাড়া, উন্নত চিকিৎসা, সুলভ মূল্যে থাকা-খাওয়া, আকর্ষণীয় পর্যটন, প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি কমসহ নানা সুবিধা বিবেচনায় তারা থাইল্যান্ডে ঝুঁকছেন।
থাইল্যান্ডের পাশাপাশি সম্প্রতি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াতেও বেড়েছে বাংলাদেশিদের যাতায়াত।
তবে বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে দেশের স্বাস্থ্য খাত উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাস ও বন্যার শিক্ষাখাত যেখানে আগে থেকেই জরাজীর্ণ সেখানে সর্বশেষ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান নানামুখী সমস্যা আরও তীব্র করে তুলেছে।
আন্দোলনের কারণে প্রায় চার মাস বন্ধ ছিল সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর তা খুললেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি। নানা দাবি, আন্দোলনে শিক্ষা কার্যক্রম বারবার ব্যাহত হচ্ছে। কাটছে না সেশনজটের শঙ্কাও।
অন্যদিকে ঘন ঘন শিক্ষাক্রম পরিবর্তনে দিশেহারা হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে সরকারের নানান উদ্যোগ থাকলেও উপেক্ষিত থাকে শিক্ষা।
সংস্কারের অংশ হিসেবে সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করলেও, সেখানে জায়গা হয়নি শিক্ষার। এ নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায় শিক্ষাবিদদের।
স্বাধীনতার পর দেশে শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন এসেছে সাতবার। এ সময়ে মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন হয়েছে তিনবার। সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন হয়েছে গত দেড় দশকে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, স্বাধীনতার পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পেরোলেও এখনো দেশের বাস্তবতার নিরিখে শিক্ষাব্যবস্থা নির্ধারণ হয়নি।
একটি নতুন শিক্ষাক্রমে অভ্যস্ত হতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেক সময় চলে যায়। এভাবে একের পর শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের ওপর।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭৪ হাজারের বেশি শিক্ষক অবসর ও কল্যাণের টাকার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। পেনশনের টাকা পেতে বড় পেরেশানির মধ্যে পড়েছেন তারা।
প্রতিদিনই শত শত শিক্ষক পেনশনের টাকার জন্য ধর্না দিচ্ছেন ব্যানবেইস ভবনে। শিক্ষক-কর্মচারীদের আবেদনের চার বছরেও মিলছে না টাকা।
জানা গেছে, সব শিক্ষকের পাওনা একবারে পরিশোধ করতে সরকারের কাছ থেকে এককালীন সাত হাজার ২০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ প্রয়োজন। প্রতিবছর বাজেটে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।
কিন্তু অবহেলিত এসব শিক্ষকের পেনশনের টাকা পরিশোধ করতে সরকারের তেমন আগ্রহ নেই। এমনকি সব কিছু জেনেশুনে নিশ্চুপ শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়।
পেনশনের টাকা পেতে দীর্ঘসূত্রতা হওয়ায় এত দিন অসুস্থ ব্যক্তি, হজযাত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদন অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
কিন্তু গত চার মাসে এ ব্যাপারটিও অনুপস্থিত। ফলে আগামী বছর হজের জন্য নিবন্ধন করে অনেক শিক্ষক অবসর বোর্ড বা কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদন করলেও এতে সাড়া পাচ্ছেন না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যাপারটা নিয়ে অবগত হলেও টাকাটা দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেখান থেকেই শিক্ষকদের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত অগাস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দেশের রফতানি বেড়েছে আট শতাংশের বেশি। আর রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত।
তবুও এ সময়ে অব্যাহত থেকেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষয়। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমেছে প্রায় এক দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার।
একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিদেশি হিসাবে (নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট) ডলার স্থিতি কমেছে প্রায় এক দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে মোট রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রিজার্ভে হাত না দিয়েই সরকার প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন ধরনের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি দায় পরিশোধ করেছে।
এর মধ্যে জ্বালানি আমদানির দায়, আদানির বিদ্যুৎ বিল এবং সার ও খাদ্য আমদানির মতো বিষয়গুলো রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার রিজার্ভে হাত না দেয়ার কথা বললেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার বহির্মুখী ও অন্তর্মুখী প্রবাহ বিশ্লেষণেই প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে।
আর বিদেশি ঋণের প্রবাহ কমে এলেও আগের বিভিন্ন দায় পরিশোধ করতে হচ্ছে সরকারকে। আবার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ এবং প্রবৃদ্ধি কমে আসার প্রভাবও পড়েছে রিজার্ভের ওপর।
দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সময় গত ৮ই আগস্ট আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী (বিপিএম৬) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ ৫ই ডিসেম্বর তা নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারে।