অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়ার একদিনের মাথায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে কথা বলে পদত্যাগের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
পরে এক ভিডিও বার্তায় অধ্যাপক নজরুল জানান, ”আপনারা যারা সুপ্রিম কোর্টে ঢুকেছেন আপনাদের প্রতি আমার আকুল অনুরোধ আপনার শান্তভাব অবস্থান করেন। আপনারা যে দাবিতে এখানে এসেছেন,সেই দাবি অচিরেই পূর্ণ হচ্ছে হলে আমি খবর পেয়েছি”।
তিনি বলেন, ”আপনারা শান্তভাবে অবস্থা করেন। কোন অবস্থাতেই সুপ্রীম কোর্টের কোন ক্ষতি করবেন না। এখানে আমাদের জাতীয় জীবনের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিল আছে।”
সাংবাদিকদের রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির মো. সাহাবুদ্দিনের সাথে কথা বলে পদত্যাগের আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান তিনি।
এর আগে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের দুপুর ১ টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এই ঘোষণা দেন।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে ঢল নেমে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে হাইকোর্টে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে।
বিক্ষোভে শতাধিক আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি সুপ্রিম কোর্টের মূলভবনসহ আপিল বিভাগের এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।
এর আগে প্রধান বিচারপতিকে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যায়িত করে ফুলকোর্ট সভা বন্ধ করে পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।