রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির বলেছেন, পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর-খুলনা ও বেনাপোল রুটে প্রাথমিকভাবে আট জোড়া ট্রেন চলবে। এসব ট্রেনের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা হবে ১৪ হাজার ৫০০।
এর মাধ্যমে ২৬৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করা সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রেলসচিব বলেন, এ পথে পণ্যবাহী তিন জোড়া ওয়াগন চালানো হবে। আর এ মালামাল পরিবহন করে ১০৫ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোরের দূরত্ব কমবে ১৮৪ কিলোমিটার। আর খুলনার দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। এ রেলপথে ১৪টি নতুন রেলস্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে।
২৩ কিলোমিটার এলিভেটেড রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে এ প্রকল্পের মাধ্যমে। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রেলপথে নতুন যুগের সূচনা হলো বলে মন্তব্য করেন রেলসচিব।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্রমবর্ধমান রাজস্ব আয়ের চিত্র তুলে ধরেন হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ২০২০-২১ সালে যেখানে বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব আয় হয় এক হাজার ১৬৬ কোটি টাকা, সেখানে ২১-২২ সালে এক হাজার ৪৬৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে এক হাজার ৭৮৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করছে। রেলওয়ে ক্রমান্বয়ে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণ করছে রেলওয়ে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু হচ্ছে।
যদিও যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্প উদ্বোধন হবে ২০২৪ সালের জুনে। এ লক্ষ্য ঠিক করে এগোচ্ছে সরকার।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত পদ্মা সেতু রেল লিংক রুটটি। এ রুট দিয়ে বাংলাদেশের রেলপথ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে।