অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর রোববার ডা. বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমাকে তাদের দফতর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ডা. বিধান রঞ্জন রায়কে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অন্যদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা।
এই দুই মন্ত্রণালয় আগে প্রধান উপদেষ্টার হাতে ছিল।
এর আগে, রোববার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের ওই দুই উপদেষ্টা শপথ গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
উল্লেখ্য যে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গত আটই অগাস্ট রাতে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।
এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টাসহ ১৪ জনই ওইদিন শপথ নেন। ঢাকার বাইরে থাকায় ডা. বিধান রঞ্জন রায়, সুপ্রদীপ চাকমা এবং ফারুক-ই-আজম সেদিন শপথ নিতে পারেননি।
রোববার ডা. বিধান রঞ্জন রায় ও সুপ্রদীপ চাকমা শপথ নিলেও এখনও নিতে পারেননি সাবেক নৌ-কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম।
দেশের বাইরে থাকা মি. আজমের রোববার রাতে দেশে ফেরার কথা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই তাকে শপথ পড়ানো হতে পারে।
এদিকে, দুই মন্ত্রণালয় ছেড়ে দেওয়ার পর বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে থাকলো ২৫টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
সেগুলো হলো: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
আরও রয়েছে: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।