দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হলেও ক্যাম্পাসগুলোতে শুরু হয়নি একাডেমিক কার্যক্রম।বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রতিনিধি রাসেল সরকার বিবিসি বাংলাকে জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়নি।
মি. সরকার বলেন, “শিক্ষার্থীরা কাল থেকে ধীরে ধীরে হলে উঠতে শুরু করলেও ক্লাস শুরু হয় নাই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিং খোলা।”
কবে নাগাদ শুরু হতে পারে, সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বলেছে যে শীঘ্রই। কিন্তু সেটা কবে, তা বলেনি এখনও। কারণ ‘নরমালাইজ’ হতে সময় লাগবে।”
“আর ক্লাস নিবে কারা? কোনও কোনও টিচার থাকলেও ভিসি-ই তো বাসায় নাই,” যোগ করেন তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকে উত্তপ্ত ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্যাম্পাস।
একটি গণমাধ্যমের রাবি ক্যাম্পাস প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থী মীর কাদিরের সাথেও কথা হয়েছে বিবিসি বাংলার। তিনি জানিয়েছে, অনেকেই ক্যাম্পাসে এসেছে। “গতকাল রাতেও প্রতিটা হলেও পাঁচ-ছয়জন করে ছিল।”
তবে ক্লাস কবে শুরু হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু জানাতে পারেননি মি. কাদিরও। তিনি বলেন, “গতকালও প্রশাসনের বা শিক্ষকদের কেউ অফিসে আসেনি, আজকেও অফিস করবে না।”
এবারের আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিল কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বা দায়িত্বপ্রাপ্তদের পদত্যাগ।
সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি প্রশাসনের একজনের সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন- আমাদের (প্রশাসনের) ফুল বডি একযোগে পদত্যাগ করার একটা আলোচনা চলছে।”
এখানে প্রশাসন বলতে তিনি শিক্ষকদেরকেও বুঝিয়েছেন, কারণ “বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব প্রশাসনিক পদ ছিল, সেখানে শিক্ষকদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাই, কর্মকর্তাদের পজিশনে শিক্ষকরাই থাকেন।”
মি. কাদির আরও জানান, চলমান আন্দোলনের সহিংসতার প্রতিবাদে আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে সাহেববাজার পর্যন্ত নগ্ন পায়ে হাঁটবেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান।
এদিকে ঢাকার অদূরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা চলছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হাসিব তানভীর জানান, “আজ (মঙ্গলবার) সিন্ডিকেট মিটিং আছে। সেখানে কিছু সিদ্ধান্ত হবে হয়তো।”