আদালতের রায় ঘোষণার ৭দিন পর বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপনের সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার ইসি সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল থেকে গত ১ অক্টোবর দেওয়া আদেশে চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা বাতিল করে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারির গেজেটে উল্লেখ করা নির্বাচনের ফলাফলের ১ নম্বর কলামের ১ নম্বর ক্রমিকের বিপরীতে ২ নম্বর কলামে ‘মো. রেজাউল করিম চৌধুরী’র পরিবর্তে ‘শাহাদাত হোসেন’ এবং ৩ নম্বর কলামে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হলো।
এর আগে ১ অক্টোবর চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে জয়ী ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির জন্যও আদালত সরকারকে নির্দেশ দেন। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান।
চসিক নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়ে মাত্র ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ। ভোটের দিন হামলা, গোলাগুলি, প্রাণহানি ও ক্ষমতাসীনদের শক্তি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটে।
ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনে কারচুপি ও ফলাফল বাতিল চেয়ে ডা. শাহাদাত ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় বিবাদী করা হয়েছিল চসিকের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান, নির্বাচন কমিশনারের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আবুল মনজুর, এম এ মতিন, খোকন চৌধুরী, মুহাম্মাদ ওয়াহেদ মুরাদ ও জান্নাতুল ইসলামকে।
মামলার এজাহারে শাহাদাত আরও অভিযোগ করেন, তিনটি ভোটকেন্দ্রে তার শূন্য ভোট দেখানো হলেও তিনদিন পর ২৮টি কেন্দ্রে তার শূন্য ভোট দেখানো হয়—যা অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয়।