প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকের পর ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে
দেশের সম্প্রীতি বজায় রাখার বিষয়ে বলে বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস
একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সংলাপ শেষ হওয়ার পরে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তাৎক্ষণিক এক ব্রিফিং-এ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষ সম্প্রদায়গত দৃষ্টিকোন থেকে এক জায়গায় এসে মিলিত
হয়েছে।
“ জুলাই
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এ সরকার যে কোন মূল্যে যে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র রুখতে প্রোঅ্যাক্টিভ (সক্রিয়ভাবে) কাজ করবে,” বলেন মি. আলম।
তিনি বলেন, “রাজনৈতিকভাবে,
সম্প্রদায়গত জায়গা থেকে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তবে বাহিরে যত অপপ্রচার চলুক বাংলাদেশ
এগিয়ে যাবে ”।
হিন্দু, বৌদ্ধ,
খ্রিস্টান অন্য জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিপীড়ন হলে সেটার বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থানকে
প্রচার করতে গণমাধ্যমকে আহ্বান জানান তিনি।
মি. আলম বলেন, “কিন্তু
যদি নিপীড়ন হয়ে থাকে এটার বিপরীতে সরকারের অবস্থাকেও আপনারা প্রচার করবেন। বিশেষ
করে সুনামগঞ্জে হওয়ার পরে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। মিডিয়াতে আপনারা বলবেন। যাতে সংখ্যালঘু
ভাইবোন যারা আছেন তারা যেন ট্রাস্ট পান”।
প্রধান উপদেষ্টার
কথা উল্লেখ করে এই উপদেষ্টা বলেন, “স্যার বলেছেন, সম্প্রীতিটাতো দরকার। কিন্তু
সম্প্রীতির সাথে ভয় যাতে জড়িয়ে না যায়। নির্ভয়ে যাতে চলাচল করতে পারেন। সবার মধ্যে
মেলবন্ধন খুবই স্বাভাবিকভাবে হয়। আমরা এখন ঠেকায় পড়ছি তার জন্য হিন্দু, বৌদ্ধদের
ডা্কতেছি এটা যেন না হয়। এটা স্যারের দৃষ্টিভঙ্গি, সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি”।
রমনা মন্দিরের সহ
সম্পাদক অবিনাশ মিত্র জানান আমরা কখনো কোন সময় কারো দ্বারা কখনো নির্যাতিত হতে
চাই না। যদি কেউ করে তাকে তুলে ধরে বিচার করেন।
তিনি বলেন, “আমাদের
মধ্যে ঢুকে বিভিন্ন স্বার্থ হাসিলে বিশৃঙ্খলা করতে চায় যে। তাকে খুঁজে বের করতে
হবে। আমাদের ভাইকে মেরেছে। কিন্তু এই ভাইকে কে মেরেছে তাকে খুঁজতে হবে। এটাকে
পুঁজি করে বাহিরের রাষ্ট্র আমাদের উপর মাছের আধারের মত হিন্দুদের উপরে চড়াও হয়ে একটা
বড় কিছু তৈরি করে নিল। এটা আমরা চাই না”।
বুদ্ধিস্ট
ফেডারেশনের সভাপতি সুকোমল বড়ুয়া প্রধান উপদেষ্টাকে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
“আমরা শান্তি
সম্প্রীতিতে বসবাস করতে চাই। একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন করতে চাই। বিদেশি
মিশনগুলো, যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে তারাও থাকবে, বিশ্ব যাতে জানে আমরা
শান্তি ও সম্প্রীতিতে আছি” বলেন মি. বড়ুয়া।
হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র
যুগ্ম মহাসচিব মো. জোনায়েদ আল হাবিব বলেন পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ
থাকতে হবে।
তিনি বলেন, “দিবালোকে
একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে এই দেশে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে আবার পরাজিত
শক্তি দেশে ইন করতে চাচ্ছে”।
“এই দেশটাকে
অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে, দেশকে অকার্যকর করতে চাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার যাতে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে
ব্যর্থ হয় এই পরাজিত শক্তি সেই চেষ্টা করছে। দলমত নির্বিশেষে পরাজিত শক্তির
বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবো” বলেন মি. হাবিব।