বিবিসি বাংলা লাইভ: ভারত ‘পলাতক স্বৈরাচারকে’ মনে রেখেছে, বাংলাদেশের মানুষকে নয়: তারেক রহমান, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৈঠক

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের বিষয়ে আলোচনা শুরু হলেও তাতে ডাকা হয়নি ইউক্রেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে
ছবির ক্যাপশান, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের বিষয়ে আলোচনা শুরু হলেও তাতে ডাকা হয়নি ইউক্রেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে

ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে সৌদি আরবে বৈঠক শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে এই বৈঠকে ইউক্রেন বা ইউরোপীয় কোন দেশকে ডাকা হয়নি।

কীভাবে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান হতে পারে, সে নিয়ে আরো আলোচনা করতে প্রতিনিধি দল মনোনয়ন করবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। পরবর্তী ধাপের আলোচনায় ইউক্রেন, ইউরোপিয় ইউনিয়নকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ পুনরায় চালু করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, লম্বা ও কঠিন এক যাত্রাপথের এটা প্রথম পদক্ষেপ। গত সপ্তাহে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে টেলিফোন করেছিলেন, তার ধারাবাহিকতায় এই বৈঠক হয়েছে।

মি. রুবিও বলছেন যে তিনি উপলদ্ধি করতে পেরেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির কঠিন কার্যক্রমে অংশ নিতে আগ্রহী রাশিয়া। আবার দুই দেশে রাষ্ট্রদূতদের কার্যক্রম শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ইউক্রেনকে কেন এই আলোচনা থেকে বাদ রাখা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, কাউকে সাইডলাইনে রাখা হয়নি। পরবর্তীতে ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এই আলোচনায় যুক্ত করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

রাশিয়ার ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, যেকোনো সংঘাত থামাতে সব পক্ষ থেকেই কিছুটা ছাড় দিতে হবে।

অন্যদিকে তার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন,আলোচনায় তিনটি প্রধান বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরস্পরের দেশে আবার রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ, ইউক্রেন বিষয়ে সমাধান করতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতিনিধি নিয়োগ করার পর রাশিয়াও প্রতিনিধিদের নিয়োগ দেবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা হবে।

সেই সাথে তিনি বলেছেন, ‘’প্রেসিডেন্ট পুতিন বারবার বলেছেন, ইউক্রেনকে নেটো জোটের অন্তর্ভূক্ত করার মানে হলো রাশিয়ার জন্য সরাসরি হুমকি। ‘’অন্য যেকোনো দেশের পতাকা নিয়ে সেখানে সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতিও কিছু বদলাতে পারবে না। এটা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য,’’ তিনি বলেছেন।

যখন এই বৈঠক চলছে, তখন তুরস্ক সফরে গিয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদামির জেলেনস্কি।

সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, তাদের নিয়ে যেকোনো শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের অন্তর্ভূক্তি থাকা উচিত। সেই সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তুরস্ক এবং যুক্তরাজ্যেরও অংশ থাকা উচিত। ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে কোন শান্তি প্রস্তাব তারা গ্রহণ করবে না।

তিনি বলেছেন, ‘’আমরা সব কিছু ন্যায্যভাবে চাই….আমাদের পেছনে কেউ আমাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।‘’

তার এই সংবাদ সম্মেলনের সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচিপ তায়িপ এরদোয়ান বলেছেন, রাশিয়া, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরবর্তী ধাপের আলোচনায় তুরস্ক স্বাগতিক দেশ হতে পারে। তবে বলেছেন, ইউক্রেনের অখণ্ডতা সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে কোনরকম বিতর্কের সুযোগ নেই।

''আমাদের পেছনে কেউ আমাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না,'' তুরস্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টে ভলোদামির জেলেনস্কি।

ছবির উৎস, AFP

ছবির ক্যাপশান, ”আমাদের পেছনে কেউ আমাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না,” তুরস্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টে ভলোদামির জেলেনস্কি।

Source link

এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে ফেইসবুক পেজটি লাইক দিন এবং এই রকম আরো খবরের এলার্ট পেতে থাকুন

 আরো পড়তে পারেন:  

Loading...