কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত বা বেতন-ভাতা কমানোর চিন্তা থেকে বেরিয়ে ব্যাংকগুলোর আয় বাড়ানোর জন্য বাস্তবভিত্তিক পন্থা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মীদের সংগঠন ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (বিডব্লিউএবি)। সোমবার (১৩ জুলাই) সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট কাজী শফিকুর রহমান এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিডব্লিউএবি মনে করে ব্যাংক কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত বা বেতন-ভাতা কমানো করোনা বা অন্য সংকট মোকাবিলায় সমাধান হতে পারে না। তদের আশা ব্যাংকগুলো এ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসবে এবং ব্যয় কমানো ও আয় বাড়ানোর অন্য বাস্তবভিত্তিক পন্থা অবলম্বন করবে।
বিডব্লিউএবি বলেছে, যেসব ব্যাংকে চাকরিচ্যুত বা বেতন কমানো হয়েছে সেখানকার কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ। অন্য ব্যাংকগুলোয় সবাই আতঙ্কে রয়েছেন। সাধারণ জনগণ মনে করে, ব্যাংকগুলো তার কর্মকর্তাদের বেতনেরই যদি সুরক্ষা দিতে না পারে, তাহলে গ্রাহকরা তাদের আমানতের সুরক্ষার ব্যাপারে নিশ্চিত হবে কীভাবে? ফলে বেসরকারি ব্যাংকের ওপর আস্থা কমে যাবে।
করোনা সংকটে বেতন না কমানোর ঘোষণা দিয়েছে ইউসিবি, এসবিএসি, প্রাইম ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, এনসিসি ও মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। এজন্য এসব ব্যাংককে সাধুবাদ জানিয়েছে বিডব্লিউএবি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলামের বক্তব্য তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে উৎসাহ হারায় এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক বিরত থাকতে বলেছে।
ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ বলেছে, কোভিড-১৯ মহামারির আবির্ভাবের শুরুতে সরকারি সব অফিসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ব্যাংক কর্মকর্তারা সে সময়েও ডাক্তার, অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী ও অন্যান্য সম্মুখযোদ্ধাদের ন্যায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ব্যাংকিং সেবা দিয়ে এসেছেন। অন্তত ৩৬ জন ব্যাংক কর্মকর্তা মৃত্যুবরণ করেছেন এবং আনুমানিক ২০০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত বা বেতন-ভাতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিতান্তই অমানবিক।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন