বেনাপোলে ১০ টি ঘরে তালা ঝুলিয়েছে পুলিশ

বেনাপোল চেকপোষ্টে দেশী, বিদেশি পাসপোর্ট যাত্রীদের সাথে প্রতারনা,ছিনতাই ও ভ্রমনকর জালিয়াতির অভিযোগে ১০ টি দোকানে তালা ঝুলিয়েছে পুলিশ । বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভুঁইয়ার নেতৃত্বে বুধবার ভোর ৬ টার সময় ওই ১০ টি ঘরে তালা ঝুলানো হয়। এসময় পাসপোর্ট যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারনা করে ১০ হাজার টাকা আত্নসাৎ এর টাকা উদ্ধার করে।তবে পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায় প্রতারকরা।

ময়মনসিংহ ও ঢাকা থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী শারমিন আক্তার ( পাসপোর্ট নং এ-০৬০৫৮০৫১) ও জাকির খান (এ-০৫৫৮৮৪)বলেন, আমরা খুব ভোরে বেনাপোল এসে গাড়ি থেকে নামি। এরপর বাবু ও রবি নামে দুই জন লোক আমাদের মধুমতি ষ্টোরে নিয়ে ভারত যেতে গেলে ফরমে টাকার নম্বর এবং কত টাকা নিয়ে যাচ্ছি তা লিখতে হবে বলে টাকা গননা করে। টাকা গুনে আমাদের কাছে আবার টাকা ফেরত দেওয়ার সময় আমাদের সন্দেহ হয়। এরপর টাকা গুনে দেখি ৯ হাজার টাকা কম। এরপর বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে থানার ওসি কামাল হোসেন ভুইয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে টাকা উদ্ধার করে দেয়।

প্রতারনার মাধ্যেমে টাকা আত্নসাৎ, ছিনতাই ও ভ্রমন কর জাল ফাঁকির দোকানগুলোর মালিক হলো চৌধুরী মার্কেটে মধুমতি ষ্টোর যার সত্বাধিকারী রবিউল ইসলাম রবি, ইবাদত হোসেন, মফিজুর রহমান, দ্বিতীয় তলায় আমিন উদ্দিন মসজিদ মার্কেট ইয়ামিন ,ঢাকা হোটেলের পিছনে পিংকু মিয়া, রাজলক্ষি ষ্টোর মুসা (পরিচালিত) রেজাউল মার্কেটে মিলন, হোটেল ফ্রেসের এর পাশে শহিদুল এর দোকান। এরা কেউ প্রতিষ্ঠানের নাম ঝুলিয়েছে আবার কেউ কেউ নাম বিহিন ঘরে এসব প্রতারনার কার্যক্রম চারাতো।

প্রতারনার শিকার ভারতগামী কয়েকজন যাত্রীর অভিযোগে পোর্টথানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব দোকান বন্ধ করে দেয়। প্রতারকরা বাস ষ্টান্ড,রেল ষ্টেশন ও বন্দর প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের সামনে থেকে দ্রুত পাসপোর্টে কাজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে এসব দোকানে বসাতো যাত্রীদের। পরে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারনার মাধ্যে জাল ভ্রমন কর রশিদ কখনও সাথে থাকা টাকার নাম্বার লেখার কথা বলে কৌশলে হাতিয়ে নিত অর্থ।

এর আগেও একাধিকবার এসব দোকানে তালা ঝুলিয়ে প্রতারকদের আটক করা হয়। তবে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এরা লালিত থাকায় বার বার ছাড়া পেয়ে আবারও প্রতারনায় যুক্ত হয়। গত তিন মাসে বেনাপোল চেকপোষ্টে ভ্যাকসিন সনদ জালিয়াতি, যাত্রী হয়রানি ও নানান ধরনের প্রতারনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শাওন এন্টার প্রাইজে ৪ বার তালা ঝুলিয়েছে পুলিশ। দেকানটি মালিক শাহিন মনিরামপুরের কাঠালতলা নআলী গ্রামের হাসান গাজীর ছেলে। তার সহযোগী হাসানের বাড়ি বেনাপোলের কাগজপুকুরে। এছাড়া বেনাপোলের সাদিপুর গ্রামের মোমিনের ছেলে শামিমকে এক মাসের মধ্যে দুইবার জাল ট্যাক্সসহ গ্রেফতার করে পুলিশ।এসময় পুলিশের অভিযানের সাথে জাতিয় গোয়েন্দা সংস্থার লোক ও উপস্থিত ছিল।

বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া জানান, যাত্রিদের সাথে প্রতারনার অভিযোগে চেকপোষ্ট এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ১০টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও এমন অভিযোগে কয়েকটি দোকানে তালা মারা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় তাদের এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান ওসি। তিনি আরো বলেন, প্রতারক ও ছিনতাইকারীদের নির্মুল করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Source link

এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে ফেইসবুক পেজটি লাইক দিন এবং এই রকম আরো খবরের এলার্ট পেতে থাকুন

 আরো পড়তে পারেন:  

Loading...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *