শনিবার ২৬ অক্টোবর বিকালে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল জলাবদ্ধ এলাকা ও পানি নিষ্কাশনে নদী খননের কাজ পরিদর্শন করেছেন। তিনি ভবদহ স্লুইস গেট থেকে ভাটিতে বিভিন্ন স্থান পরির্দশন করেন।
পরিদর্শনকালে তাঁরা মাত্র ৪টি স্কেভেটর দেখতে পান। যে স্কেভেটর বেলা ৩ টার সময় কাজ না করে যন্ত্রটির চালক বসে ছিল। শোলমারি ব্রিজের উপর থেকে এক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গুরুত্ব সহকারে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি ও জলাবদ্ধ জনপদের মানুষের দীর্ঘ আন্দোলনের দাবি মেনে নিয়ে আমডাঙ্গা খাল প্রশস্তকরণ ও সংস্কার, টেকা -গংরাইল নদী খনন করে জলাবদ্ধ পানি নিষ্কাশনে ৮টি যন্ত্র দিয়ে পানি প্রবাহের চ্যানেল কাটার কাজ শুরু করেছে বলে আমাদের বলেছেন। টিআরএম প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিগত সরকারের লুটেরা সিন্ডিকেটের গণবিরোধী ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত স্থায়ী জলাবদ্ধতা ও নদী হত্যার কারণ প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি সরকার বিবেচনায় নিয়েছেন। জলাবদ্ধ এলাকার জনগণের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
কিন্তু আমরা পরিদর্শনে এসে দেখলাম ৮টি স্কেভেটরের জায়গায় মাত্র ৪টা স্কেভেটর রয়েছে। তাও বেলা ৩ টার সময় কাজ না করে বসে আছে। সরকারের কথার সাথে কাজের মিল পেলাম না- যা দুঃখজনক।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আমরা গভীর উদ্যোগের সাথে লক্ষ্য করছি একটি মহল বিগত লুটেরা সিন্ডিকেটের ভাষায় সেচের মাধ্যমে সমাধান ও টিআরএম’র বিপক্ষে বলার অপচেষ্টা করছে। আমরা এ সকল অপতৎপরতা সম্পর্কে জনগণকে সজাগ থেকে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান ও নদীর নাব্যতা ফিরে না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ এনজিও ঋণ আদায় বন্ধ, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও বসতবাড়ির ক্ষতিপূরণ, সকল নদী খাল সংস্কার, ঘের নীতিমালা বাস্তবায়ন এবং উজানে নদী সংযোগ প্রদান করে স্থায়ী সমাধানে সমন্বিত পরিকল্পনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ভবদহ স্লুইস গেট থেকে ১৭/১৮ কিলোমিটার ভাটিতে শোলগাতি ব্রিজে দাঁড়িয়ে নেতৃবৃন্দ খনন কাজ পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলে আরো উপস্থিত ছিলেন- ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালী, যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল হামিদ, নাজিমউদ্দিন, শেখর বিশ্বাস, শিবপদ, ইলিয়াস প্রমুখ।#