পবিত্র রমজান মাসে মক্কায় সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে ইফতারের ব্যবস্থা থাকে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে এই ইফতার বিতরণ করা হয়।
এছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও অনেকেই বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ করে থাকেন।
পবিত্র রমজান মাসে মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামে অনেক বেশি ভিড় হয়। ওমরাহ করার জন্য সারা বিশ্ব থেকে এখানে লোকজন আসেন। আবার মক্কার আশপাশের এলাকা থেকেও ইবাদত করতে আসেন মসজিদুল হারাম শরিফে। আর রোজাদারদের জন্য বিনামূল্যে ইফতারের ব্যবস্থা করে থাকে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
রোজার মাসে ইফতারের আগে পবিত্র মসজিদুল হারাম এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মসজিদে প্রবেশের আগে বিভিন্ন পয়েন্টে বিভিন্ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবীরা খেজুর, পানি, জুস, কেক, বিস্কুটসহ নানান পদের খাবারের প্যাকেট বিতরণ করছেন। যাদের প্রয়োজন তারা এসব ইফতার নিচ্ছেন। কোথাও কোথাও লাইন ধরেও ইফতার নিতে দেখা যায়। আর এই ইফতার দেওয়া হচ্ছে একেবারে সাধারণ মানুষের জন্য।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোজার মাসে বিনামূল্যে ইফতার দিতে মক্কায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাজ করে থাকে। প্রতিটি সংস্থা আগে থেকেই লক্ষ্য নির্ধারণ করে যে, তারা এবার কত লোককে বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ করবে। বিনামূল্যে ইফতার বিতরণের একটি অ্যাসোসিয়েশনও রয়েছে, সেটা হলো—সৌদি আরবের হাজি অ্যান্ড মুতামারস গিফট চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশন। গত বছর এই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মক্কায় ১৫ লাখ রোজাদারকে বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ করা হয়। এ বছরও বিপুলসংখ্যক রোজাদারের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করেছে সংস্থাটি।
প্রতি বছর রোজার মাসে মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম এলাকায় ইফতারের সময় বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ করা হয়। এ বছরও এর কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। এবার রোজা শুরুর পর থেকেই প্রতিদিন মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম এলাকায় ইফতারের সময় দেখা যায়, বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ হাসিমুখেই সেই ইফতার নিচ্ছে। অনেকেই ইফতারদাতাদের জন্য দোয়া করছেন।
উল্লেখ্য, মক্কার মসজিদুল হারাম মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ও প্রধান ধর্মীয় স্থাপনা। কাবা শরিফের চারপাশ ঘিরে গড়ে উঠেছে এই মসজিদ। এখানে ১০ লাখেরও বেশি মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে প্রতি বছর রোজার মাসে মুসল্লিদের ভিড় বেড়ে যায়।