সৌদি রিয়াল (সৌদি আরবের মূদ্রা) প্রতারকচক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে যশোরে পুলিশ। ওই চক্রটি বিভিন্ন লোকজনদের সৌদি রিয়াল দেখিয়ে ভুল বুঝিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারনা অভিযোগে ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন বাগেরহাটের চিতলমারি উপজেলার খাগড়াবুনিয়া গ্রামের প্রভাষ চন্দ্র রায়ের ছেলে প্রনব কুমার রায় (৪২)। বর্তমানের তিনি যশোরের উপশহর এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে থাকেন।
আটককৃতরা হলো, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তালকান্দা গ্রামের মৃত আব্দুল মাজেদ খালাসীর ছেলে আব্দুস সাত্তার হোসেন ওরফে একরাম (৪৭), একই উপজেলার চন্ডি দাসদী গ্রামের মৃত কাচাই ফকিরের ছেলে মোমরেজ ফকির (৫২), একই গ্রামের আব্দুল জলিল খানের ছেলে আব্দুর রহমান খান সালাম (৫৫), বাগেরহাট সদর উপজেলার সোনাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রহমান শেখের ছেলে এনামুল হক শেখ (৫২) এবং গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার আলীপুর চড়পাড়া গ্রামের আজগর আলী মাতুব্বরের ছেলে মহিউদ্দিন মাতুব্বর (৪৫)।
তারা প্রত্যেকে যশোর শহরের পালবাড়ি এলাকার এলজিইডির অফিসের বিপরীতে নাসির উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
প্রবন কুমার রায় এজাহারে উল্লেখ করেছেন,গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনিসহ বেশ কয়েকজন নিউমার্কেট বাসস্ট্যান্ড এলাকার রবিউল ইসলামের চায়ের দোকানের বসে ছিলেন। এ সময় একজন এসে তার কাছে বলে সৌদি ১শ’ রিয়ালের ৫০টি নোট আছে তার কাছে। সেটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। বিষয়টি তার সন্দেহ হলে তিনি স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে সংবাদ দিলে এসআই কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে যান এবং আসামি মহিউদ্দিনকে আটক করেন। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় আরো সৌদি রিয়াল আছে তার গ্রুপের অন্য সদস্যদের কাছে। তারা পালবাড়ির মোড়ের এলজিইডির আফিসের বিপরীতে নাসির উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকে।
পরে পুলিশ তাকে সাথে নিয়ে সেখানে যায় এবং বাকি চারজনকে আটক করে। সেখানে গিয়ে একশ’ সৌদি রিয়েলের দুইটি নোট, একটি গামছা এবং একটি কালো রং এর ট্রাভেল ব্যাগ উদ্ধার করে। পরে ওই পাঁচজনই পুলিশের কাছে স্বীকার করে তারা বিভিন্ন স্থানে সৌদি রিয়াল দেখিয়ে প্রতারনা করে আসছে। সোমবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।