যশোরে স্কুল পড়ূয়া শিক্ষার্থী অপহরন এক মাস পর উদ্ধার

jessore atok map

যশোর শহরের এম এস টি পি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী নৌশিন তাবাৎসুম মাইশা (১৬) অপহরনের ১ মাস ২ দিন পর পুলিশ মাগুরা জেলা থেকে উদ্ধার করেছে। এ সময় অপহরনের সাথে জড়িত মেহেদী হাসান পিয়াসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে শহরের মোল্লাপাড়া বারান্দীপাড়া এলাকার মোস্তফার ছেলে। গত ১৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টার সময় শহরের বেজপাড়া নলডাঙ্গা রোড গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে মাইশাকে তার বাড়ির সামনে থেকে অজ্ঞাতনামা প্রাইভেট কার যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এঘটনায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির এক পর্যায় গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী লাভলী কিবরিয়া বাদি হয়ে অপহরনের ১২ দিন পর ২৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামী করেন, মেহেদী হাসান পিয়াস,তার পিতা মোস্তফা,মাতা হাসিনা বেগম,মোল্লাপাড়া বারান্দীপাড়ার সেলিম ড্রাইভারের ছেলে শাওন, ঢাকা রোড তালতলা বিসমিল্লাহ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে অপুকে আসামী করে কোতয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

উক্ত মামলা হওয়ার পর কোতয়ালি থানার এসআই ও তদন্তকারী কর্মকর্তা ইলিয়াস হোসেন শনিবার গভীর রাতে মাগুরা জেলার সদর উপজেলার শত্রুজিৎপুর কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের চাঁচড়া গ্রামের জনৈক হাসানের বসত বাড়ি থেকে অপহৃতা নৌশিন তাবাৎসুম মাইশাকে উদ্ধার করে।

এসময় প্রধান আসামী মেহেদী হাসান পিয়াসকে গ্রেফতার করে। মেহেদী হাসান পিয়াসকে শনিবার ১৮ জানুয়ারী দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপহৃতা মাইশাকে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি জন্য প্রেরণ করা হলে সে পিয়াসের পক্ষে তার মতামত প্রকাশ করেন।

মায়ের সাথে যেতে অনীহা প্রকাশ করায় বিজ্ঞ আদালতের বিচারক বর্নালী রায় নৌশিন তাবাৎসুম মাইশা যেহেতু অপ্রাপ্ত বয়স্ক তার মতামতে আইনে অগ্রাহ্য তাই তাকে যশোর সদরের ভেকুটিয়া গ্রামের আহসানিয়া মিশন সেল্টার হোমে পাঠানো হয়েছে।

Source link

এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে ফেইসবুক পেজটি লাইক দিন এবং এই রকম আরো খবরের এলার্ট পেতে থাকুন

 আরো পড়তে পারেন:  

Loading...