শহরের কালেক্টরেট মার্কেটের ব্যবসায়ীরা তামিম রায়হান (১৯) নামে এক
উঠতি বয়সের যুবককে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
মার্কেট এলাকায় বার্মিজ চাকু নিয়ে মাস্তানী করতে আসলে
ব্যবসায়িরা তাকে ধরে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায়
গ্রেফতারকৃত ও তার সহযোগী পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে দ্রুত
বিচার আইনে মামলা হয়েছে।
বুধবার ১২ জুন বিকেলে মামলাটি করেন,যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া
রোডের বাসিন্দা এমদাদ হোসেন খানের ছেলে ওই মার্কেটের বেষ্ট
কালেকশন গার্মেন্টস এর মালিক আরিফ খান। মামলায় আসামী
করেন,সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর চান্দের মোড়ের জামাল গাজীর ছেলে
তামিম রায়হান, একই উপজেলার হামিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে
রোহানসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,যশোর শহরের কালেক্টরেট মার্কেটে তার বেষ্ট
কালেকশন গার্মেন্টস’র এ দোকানে সামনে বুধবার ১২ জুন দুপুর
আড়াইটার সময় তামিম রায়হান, রোহানসহ অজ্ঞাতনামা যুবকেরা এসে
নিজেদের ক্ষমতার দাপট দেখানোর জন্য দোকানের সামনে আতংক সৃষ্টি
করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সমবেত হয়ে জনমনে ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টিকরছে।
বাদিসহ স্থানীয় জনসাধারণ উপরোক্ত আসামীদের ধাওয়া করলে আসামীরা
পালানোর চেষ্টকালে তামিম রায়হানকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে। এ
সময় তার সহযোগী রোহানসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন কৌশলে পালিয়ে
যায়। স্থানীয় জনসাধারণ আসামী রায়হানকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে
সোপর্দ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তামিম রায়হানকে হেফাজতে
গ্রহন করে। এ সময় তার দখলে থাকা একটি ধারালো বার্মিজ চাকু জব্দ
করেন। বাদির মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা তামিম রায়হানকে আদালতে
সোপর্দ করে।