তালাক দেয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারপিটে জখম ও ভাংচুরের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৬ সেপ্টেম্বর যশোর শহরতলীর চাঁচড়া বেড়বাড়ি মেহগুনি বাগান এলাকায়।আসামিরা হলো, ভাতুড়িয়া কলেজের পেছনের আদু করিমের দুই ছেলে মফিজ মিস্ত্রি (৪০), শামছু (৩০) ও দুই মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (১৮) এবং শম্পা খাতুন (২৮), একই এলাকার জিতু (২৫) এবং আদু মিস্ত্রির স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৬৫)।
বেড়বাড়ি এলাকার শহিদুল ইসলাম (৪২) এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার ছেলে সীমান্তের (২০) সাথে আসামি সুমাইয়া খাতুনের (১৮) বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় গত ২ সেপ্টেম্বর সীমান্ত তালাক দিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় সুমাইয়ার পরিবারে লোকজন। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টারদিকে আসামিরা একযোগে তার বাড়িতে যায়। এবং গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় তার স্ত্রী ফাহিমা বেগম (৪০) নিশেধ করায় তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারপিট করে।
এ সময় তার দুই ছেলে সীমান্ত ও সৈকত (১৭) ঠেকাতের গেলে তাদেরকেও মারপিট করে। মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। ঘরের মধ্যে ঢুকে টিভি, ফ্রিজ ও বিভিন্ন আসাবাবপত্র ভাংচুর করে এক লাখ টাকার ক্ষতি করে। ২ লাখ টাকার সোনার গহনা ও নগদ সাড়ে ৯০ হাজার টাকা শোকেজ থেকে চুরি করে নেয়। সে সময় চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসালে আসামিরা ফের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
তিনি সংবাদ পেয়ে ত্রুত বাড়িতে গিয়ে ঘটনা শুনে স্ত্রী সন্তানদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিয়ে থানায় মামলা করেন।