নভেম্বর ১৫, ১৪০২ – ৬ই নভেম্বর, ২০২৩
ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ বিশ্বের প্রথম কোনও যুদ্ধ নয় যেখানে উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধের আইন’ লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।
কমবেশি যতবারই বড় কোন সামরিক সংঘাত হয়েছে,ততবার যুদ্ধরত পক্ষগুলো যুদ্ধ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে এবং এ নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছে।
সামরিক সংঘাতের সময় যে অভিযোগগুলো বার বার সামনে আসে সেগুলো হল: বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা, শিশু হত্যা, অপ্রচলিত এবং ‘নিষিদ্ধ’ অস্ত্র ব্যবহার, এমনকি ‘গণহত্যা’ এবং ‘যুদ্ধাপরাধ’-এর মতো বড় অভিযোগগুলো সবচেয়ে বেশি সামনে আসে।
সাম্প্রতিক যুদ্ধের সময় ইসরায়েল এবং হামাস দুটি পক্ষই একই ধরনের অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে।
ইসরায়েল যেহেতু জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র, তাই তাদের কিছু “আইনি দায়িত্ব” রয়েছে, যেটা কিনা হামাসের নেই।
তবে সমালোচকরা বলছেন যে ইসরায়েল তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বগুলো পালন করে না।
বরং উভয় পক্ষই জোর দিয়ে বলে যে, তারা যা করেছে সেটা আন্তর্জাতিক আইন এবং যুদ্ধের আইনি কাঠামোর মধ্যেই ছিল। এভাবে তারা তাদের কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দিতে চায়।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুক্তিগুলোর মধ্যে একটি হল যুদ্ধের আইনে উল্লেখিত ‘আত্মরক্ষা’ নীতি। উভয় পক্ষই এই আত্মরক্ষার বিষয়টিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।
যুদ্ধের জন্য সত্যিই কি কোন লিখিত আইন আছে যা সবাইকে মেনে চলতে হবে?
এই আইনটি কোথায় সংকলিত হয়েছিল? কে এটি অনুমোদন করেছেন? এর বিষয়বস্তু কী? এবং কীভাবে এটি বাস্তবায়িত হয়?
‘যুদ্ধের আইন’ কী?
‘যুদ্ধের আইন’ আন্তর্জাতিক আইনের একটি অংশ এবং সে কারণে এই আইনটির প্রকৃতি অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইনের মতোই।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তির ভিত্তিতে এই আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়ন করা হয় এবং আইনটি ওই আন্তর্জাতিক চুক্তির নানা শর্ত পালনে ব্যবহার হয়।
যেখানে যুদ্ধ এবং মানুষের ওপর মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহার সম্পর্কিত নানা নিয়ম নির্ধারণ করা হয়।
এই কারণে, ‘যুদ্ধের আইন’-এর কোনও নির্দিষ্ট এবং স্থায়ী রূপ নেই। এই চুক্তিগুলো সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় এবং মানব সমাজের বিবর্তন অনুসারে বিভিন্ন রূপ ও মাত্রা গ্রহণ করে।
আরও সহজ করে বলতে গেলে, ‘যুদ্ধের আইন’ কোনও দেশের সংবিধানের মতো নয়। সাধারণত সংবিধানে বিভিন্ন ধারা সমন্বিত অবস্থায় সাজানো থাকে এবং এতে নতুন ধারা যুক্ত করা বা কোন ধারা বাদ দেয়ার একটি নির্দিষ্ট ও পরিষ্কার পদ্ধতি রয়েছে।
বিভিন্ন চুক্তিতে বা সহজ ভাষায় ‘আন্তর্জাতিক আইনে’ যা বলা থাকে সেই নিয়মগুলো যুদ্ধের সময় বাস্তবায়ন করা জরুরি। একেই ‘যুদ্ধের আইন’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
‘যুদ্ধের আইন’ কোথা থেকে এসেছে?
মানুষে মানুষে সংঘাতের ক্ষেত্রে নিয়ম নির্ধারণের এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
কিন্তু ‘আধুনিক’ যুগের আগে, বিশ্বের কোন শক্তিরই সব দেশের উপর কোনও উল্লেখযোগ্য নিয়ন্ত্রণ ছিল না কিংবা মিত্র দেশগুলোর জোট ছিল না – যাদের ওপর এই কাঙ্ক্ষিত নিয়মগুলো প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন করা যাবে।
তবে ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, ইউরোপীয় দেশগুলো নিজেদের মধ্য কিছু চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক আইন পালন করা বাধ্যতামূলক করা হয়।
ইউরোপীয় দেশগুলো মূলত এই সিদ্ধান্তে আসে যে, ওই চুক্তিগুলো আমলে নিয়ে তাদের আন্তর্জাতিক আইন পালনে বাধ্যবাধকতা আরোপের ক্ষমতা রয়েছে।
এই শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, ইউরোপের এই দেশগুলো সামুদ্রিক নিয়মনীতির বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছায়, যা ছিল ‘যুদ্ধের আইন’-এর প্রথম ভিত্তি।
এই আইনগুলো বিংশ শতকে ধীরে ধীরে প্রসারিত হতে থাকে এবং এর মধ্যে কিছু আইন আজ অবধি বলবৎ রয়েছে।
দুটি বিশ্বযুদ্ধের পরে, মানবিক বিপর্যয় এবং গণহত্যা নির্মূলের ক্ষেত্রে এই আইনের ‘মানবতার’ দিকগুলো আরও বেশি নজর কাড়ে।
‘যুদ্ধের আইন’-এর বিকাশ এবং বিবর্তন আজ অবধি অব্যাহত রয়েছে। যতবারই নতুন অস্ত্র বা আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার হয় তখনই এ সম্পর্কিত নতুন আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুমোদিত হয় এবং এই প্রতিটি বিষয় যুদ্ধের আইনে যুক্ত করা হয়।
এসব আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধান এবং নিয়মিত প্রবর্তক হিসেবে কাজ করে রেড ক্রস/রেড ক্রিসেন্টের মতো বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা।
সাধারণত এই সংস্থাগুলো যুদ্ধের সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রকাশ করে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে যারা আইন লঙ্ঘন করছে প্রমাণ হয় তাদের ক্ষেত্রে আইন বাস্তবায়নে সহায়তার চেষ্টা করে সংস্থাগুলো।
‘যুদ্ধের আইন’-এর নির্বাহী গ্যারান্টি কি?
আন্তর্জাতিক আইনের সমালোচকদের দৃষ্টিকোণ থেকে, নির্বাহী গ্যারান্টি শুধুমাত্র যুদ্ধের আইনের ক্ষেত্রে নয়, বরং প্রায় সমস্ত আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
একটি দেশের সরকারের জাতীয় আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একচেটিয়া ক্ষমতা রয়েছে এবং সরকার যে কোনো উপায়ে সেই আইন প্রয়োগ করতে পারে।
তবে আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে বিষয়টি এমন নয়। বৈশ্বিক শাসন প্রক্রিয়ায় এই আইন বাস্তবায়নের সুযোগ অনেক সীমিত।
কিন্তু একই সঙ্গে, মানুষের মধ্যে সাক্ষরতার হার বেড়ে যাওয়া, তথ্যের সহজলভ্যতা, রিপোর্ট করা আগের চেয়ে সহজ হওয়া এবং বিশ্বে গণমাধ্যমের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের কারণে আন্তর্জাতিক আইনের কিছু অংশেও পরিবর্তন এসেছে।
স্পষ্টতই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই পরিবর্তনগুলো আনা হয় যেন জনমতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়।
এমতাবস্থায়, ‘যুদ্ধের আইন’ বাস্তবায়নের সাথে একদিকে যেমন সেই যুদ্ধ সম্পর্কিত তথ্যের যোগ রয়েছে তেমনি বিশ্বজুড়ে জনমতের প্রতিক্রিয়া কেমন, সেটাও এরসাথে সরাসরি যুক্ত।
এছাড়া, সমালোচকরা জোর দিয়ে বলেন যে ‘যুদ্ধের আইন’ এখনও ‘ক্ষমতার রাজনীতির’ কাঠামোর মধ্যে প্রয়োগ করা হয় এবং এই আইন লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি তখনই দেওয়া হয় যখন শক্তিশালী দেশ, প্রভাবশালী শাসকদের স্বার্থ এবং শক্তিশালী ও সুসংহত আন্তর্জাতিক জোট এতে বিপন্ন হয় না।
এমন নানা সমালোচনা নির্বিশেষে, অনেক ক্ষেত্রেই যুদ্ধের আইন প্রয়োগ হয়েছে। যুদ্ধের আইনের অংশ হতে পারে এমন অনেক চুক্তি গৃহীত হয়েছে।
বৈরিতার সমাধান আনতে দায়ী রাষ্ট্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং জরিমানা আরোপ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক আদালত বসিয়ে বিচার করা হয়।
বর্তমানে, “আন্তর্জাতিক বিচার আদালত” ছাড়াও যা এক দেশের বিরুদ্ধে আরেক দেশের আনা নানা অভিযোগ নিয়ে কাজ করে, “আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত”। এই দুটি আদালতেরই যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যার মতো বিভিন্ন অভিযোগ মোকাবেলা করার ক্ষমতা রয়েছে।
‘যুদ্ধের আইন’ কি সত্যিই বাস্তবায়িত হয়?
‘যুদ্ধের আইন’-এর বিভিন্ন মাত্রা রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি আইন অত্যন্ত বিস্তৃত পরিসরে প্রয়োগ করা হয়। এক্ষেত্রে একটি সেরা উদাহরণ হতে পারে, রাসায়নিক অস্ত্রের মতো ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের ব্যবহারের বিষয়টি।
যুদ্ধের আইনের মাধ্যমে এ ধরণের অস্ত্র ব্যবহারের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
সিরিয়ার যুদ্ধের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, কোন পক্ষই প্রকাশ্যে বা আনুষ্ঠানিকভাবে এই অস্ত্রগুলো ব্যবহারের কোন দায় স্বীকার করেনি।
এতে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, যুদ্ধের আইন নিয়ে যেমন অনেক সমালোচনা আছে। তেমনি এটাও সত্যি যে এই আইনগুলোর কিছু অংশের সার্বজনীন আন্তর্জাতিক বৈধতা রয়েছে।
অর্থাৎ আন্তর্জাতিক ক্ষমতাধরদের কেউই আইন লঙ্ঘন করার জন্য এর নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন না।
বর্তমানে, “যুদ্ধের আইন” বাস্তবায়নের জন্য দেশগুলোর অনেক প্রণোদনা রয়েছে।
কিন্তু একই সময়ে, সমালোচকরা বিংশ শতকের বিশ্বযুদ্ধের মতো ঘটনাগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে এবং আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে বড় বড় সংকটের সময়ে শক্তিধর দেশগুলো, তাদের টিকে থাকার জন্য যুদ্ধে জড়িয়েছে।
এ কারণে গত ৮০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক আইন টিকে আছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, শক্তিধর দেশগুলো কখনই তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে গুরুতর হুমকির মুখে পড়েনি।
যদি এমন পরিস্থিতি দেখা দেয় তবে তারা সবাই মৃত্যু এবং ধ্বংসের মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নিতে প্রস্তুত থাকবে।
এবং যখন জীবনের প্রশ্ন আসে তখন সব নিয়ম ভেঙে যায় এবং অন্যরা তাদের থামাতে কিছুই করতে পারে না।
উপরন্তু, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায় মেনে চলা জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রের জন্য বাধ্যতামূলক, যেখানে কি না আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বৈধতা একটি স্বাধীন চুক্তির উপর নির্ভর করে।
যে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইসরায়েলসহ আরও কিছু দেশ প্রত্যাহার করেছে। তাদের নাগরিকদের বিচারের আওতায় আনার জন্য তারা ওই আদালতকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
‘যুদ্ধের আইন’-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ কী কী?
বিভিন্ন শক্তিধর দেশগুলোর জন্য যুদ্ধের আইনের অর্থ বদলে যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকা যখন ২০০৩ সালে ইরাকের উপর সামরিক আক্রমণ চালায় তখন তারা নানাভাবে ওই দেশটি দখল করাকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করছিল।
তখন তারা যুদ্ধের আইনের একটি অংশকে ব্যবহার করে। ওই আইনে “গণ-বিধ্বংসী অস্ত্র” ব্যবহার এবং বিকাশের উপর বিধিনিষেধ রয়েছে।
কিন্তু কিছু স্বনামধন্য এবং নামী আইনবিদের মতে ওই যুদ্ধের মাধ্যমে “যুদ্ধের আইন” লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাদের দৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার পর্যাপ্ত আইনি বৈধতা ছিল না এবং তারা যা করেছে তাতে যুদ্ধ সম্পর্কিত আইনের অনেক ধারা লঙ্ঘন হয়েছে।
যেসব সংস্থা জাতীয় সার্বভৌমত্বের অধিকার বা আত্মরক্ষার বৈধতার পরিবর্তে মানবতাকে গুরুত্ব দেয় তাদের দৃষ্টিতে যুদ্ধে হত্যার মাত্রা হ্রাস করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণত এই সংস্থাগুলোর বিশেষ করে রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্টের মূল দৃষ্টি থাকে চারটি আন্তর্জাতিক চুক্তির উপর, যা জেনেভা কনভেনশন নামে পরিচিত।
এই চুক্তিগুলো, ঊন-বিংশ শতকের প্রথম দিকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে এবং সময়ের সাথে সাথে বিকশিত হয়েছে।
১৯০৭ সালের হেগ কনভেনশন, ১৯৮৯ সালের শিশু অধিকার সনদ, আন্তর্জাতিক কনভেনশন সবখানেই কিছু নির্দিষ্ট অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সেই সাথে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কিছু প্রথাগত আইনকে এই যুদ্ধের আইনের গুরুত্বপূর্ণ আইনি উৎস হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে।
জেনেভা কনভেনশন কি?
‘যুদ্ধের আইন’ সম্পর্কিত যেসব আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়েছে তার মধ্যে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল জেনেভা কনভেনশন যা ১৯৪৮ সালে জেনেভায় অনুমোদিত হয়েছিল।
এই চুক্তিটি ১৯৪৮ সালে জেনেভায় অনুষ্ঠিত চারটি ভিন্ন কনভেনশনে অনুমোদন পায়। প্রতিটি কনভেনশনে যুদ্ধের সময় লড়াইরত দেশগুলোর আচরণ কেমন হবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
‘জেনেভা কনভেনশন’ নামে পরিচিত এই আইনগুলোর সেট সাম্প্রতিক দশকে সংশোধন করা হয়েছে।
প্রথম কনভেনশনে, যুদ্ধে আহতদের কীভাবে চিকিৎসা করা যায় সে সম্পর্কিত নিয়মগুলো ইতিহাসে চতুর্থবারের মতো আপডেট করা হয়েছে। সেইসাথে ১৮৬৪ এবং ১৯২৯ সালের বাকি নিয়মগুলোও আপডেট করা হয়েছে।
দ্বিতীয় কনভেনশনে নৌ-যুদ্ধে যুদ্ধাহত সংক্রান্ত নিয়মাবলী এবং যুদ্ধজাহাজকে কীভাবে সহায়তা প্রদান করা যায় তা চুক্তি আকারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তৃতীয় কনভেনশনে, ‘যুদ্ধবন্দীদের’ ইস্যুটি পর্যালোচনা করা হয়েছিল এবং তাদের সাথে কী ধরণের আচরণ করা হবে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক আইনে যুক্ত করা হয়।
এবং চতুর্থ কনভেনশনে, যুদ্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দৃষ্টিপাত করা হয়। সেখানে যুদ্ধের সময় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ‘যুদ্ধের আইন’ প্রণয়ন করা হয়।