রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে লাগা আগুনের ঘটনায় সাততলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকানে ক্যাশিয়ার ছিল নিহত কামরুল হাবিব রকি। তিনি যশোর সদর উপজেলার ধোপাখোলা গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে তার গ্রামের বাড়িতে মরদেহ নিয়ে আসা হয়। এরপর থেকে রকিকে এক পলক শেষ দেখা দেখতে বাড়িতে ভিড় করে প্রতিবেশী এবং আত্মীয় স্বজনরা। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে গোটা পরিবেশ।
নিহতের প্রতিবেশী এবং স্বজনরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে নিহত কামরুল হাবিব রকির পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তার বাবা কবির হোসেন পেশায় ইজিবাইক চালক। পার্শবর্তী গাজির দরগাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে আড়াই মাস আগে ঢাকায় ‘কাচ্চি ভাই’ হোটেলে ক্যাশিয়ার পদে যোগদান করেন তিনি। অগ্নিকাণ্ডের ধোয়ায় রকি অক্সিজেন ফেল করে মারা যান বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
নিহতের বাবা কবির হোসেন বলেন’১৫ দিন আগে রকি বাড়িতে এসেছিল। ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়ার জন্য ফরম তুলে আবার ঢাকায় ফিরে যায়। আমার ছেলেকে আমি এভাবে হারাবো আমি কোনদিন ভাবতে পারিনি। আমার ছেলে আমার সাথে সংসারের হাল ধরতে গিয়ে আজ লাশ হয়ে ফিরে আসলো।’
নিহতের প্রতিবেশী মোঃ পলাশ হোসেন বলেন,কামরুল হাবিব রকি ছেলে হিসেবে অনেক ভালো এবং ভদ্র। গ্রামের সকলেই তাকে অনেক স্নেহ করতো। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। যেকারণে অল্প বয়সে উপার্জনের রাস্তায় নেমেছিল সে।’
শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের পর রকি’র জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।