লোকসভা থেকে বহিষ্কার তৃণমূল এমপি মহুয়া, দেওয়া হলো না কথা বলতে

তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এথিক্স কমিটির সুপারিশের পর শুক্রবার তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। এদিন মহুয়ার এমপি পদ খারিজ করে দেওয়ার পর লোকসভায় মহুয়াকে তার নিজের বক্তব্য পেশ করারও সুযোগ দেওয়া হয়নি।

এর আগে মহুয়া মৈত্রর সংসদ সদস্যপদ খারিজের সুপারিশ করে ‘এথিকস কমিটি’। তার বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার যে অভিযোগ শাসক দল বিজেপি করেছিল, তার ‘তদন্ত’ শেষ করে এথিকস কমিটি ওই সুপারিশ চূড়ান্ত করে।

প্রায় ৫০০ পৃষ্ঠার রিপোর্টে মহুয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করতে সরকারকেও সুপারিশ করা হয়। এথিকস কমিটির ওই সুপারিশ গত ১০ নভেম্বর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে পেশ করা হয়। স্পিকার এ বিষয়ে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রস্তাব পাশ করান লোকসভায়। এরপর আজ তার সংসদ সদস্য পদ খারিজ করা হয়।

এদিকে লোকসভায় মহুয়াকে বলতে না দেওয়ার বিষয়ে স্পিকার বলেছেন, মহুয়া আগে নিজের বক্তব্য জানানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। তাই আবার তাকে সুযোগ দেওয়া হবে না। পুরোনো উদাহরণ টেনে এই যুক্তি দেন স্পিকার। মহুয়া বলার জন্য একাধিক বার উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তাকে বসিয়ে দেওয়া হয়।

বিজেপির পক্ষে সংসদ সদস্য অপরাজিতা সরঙ্গি বলেন, মহুয়াকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি সুযোগ পেলেও তখন কিছু বলেননি। ওয়াকআউট করে গিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, কয়েক মাস যাবৎ আদানি গোষ্ঠীর ব্যবসা–বাণিজ্য নিয়ে মহুয়া বেশ কিছু প্রশ্ন করছিলেন। ঝাড়খন্ড জেলার গোড্ডা (ওখানে আদানির প্রকল্প থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি হয়) কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বিজেপির নিশিকান্ত দুবে স্পিকারকে চিঠি লিখে মহুয়ার বিরুদ্ধে ‘অনৈতিকতার’ অভিযোগ আনেন।

তার অভিযোগ, শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে নানাবিধ ‘সুবিধা’ নিয়ে তার ব্যবসায়িক স্বার্থে মহুয়া প্রশ্নই শুধু করেননি, ই-মেইলের লগইন পাসওয়ার্ড পর্যন্ত ওই ব্যবসায়ীকে দিয়েছিলেন, যাতে তিনি সরাসরি প্রশ্ন পাঠাতে পারেন। দুবের অভিযোগ, দুবাইয়ে বসে হিরানন্দানি সেই কাজ করেছেন, যা ‘দেশের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক’।

Source link

এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে ফেইসবুক পেজটি লাইক দিন এবং এই রকম আরো খবরের এলার্ট পেতে থাকুন

 আরো পড়তে পারেন:  

Loading...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *