কোটা সংস্কার আন্দোলনে নতুন ঘোষিত এক দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন, আজকের আন্দোলনে বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকাল ৪টায় সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামীকাল বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে আজকের মতো ব্লকেড কর্মসূচি শেষ করেন তারা।
এর আগে বিকাল পাঁচটার আগে শাহবাগে জড়ো হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। রাত নয়টা পর্যন্ত স্লোগানে উত্তাল ছিল গোটা শাহবাগ মোড়।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘খেলা হবে, সারা বাংলায়, খেলা হবে, শাহবাগে’, ‘একাত্তরের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘বায়ান্নর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘ভয় দেখিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘হামলা করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিকালে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে জড়ো হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীরা। সেইসঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও সেখানে আসেন। এর আগেই শাহবাগে সাঁজোয়া যান ও জলকামানসহ শক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন পুলিশ।
স্লোগানে স্লোগানে শাহবাগে জড়ো হওয়ার পর পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশকে ইঙ্গিত করে তারা ‘ভুয়া’, ‘ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন।
এদিকে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর ক্যান্টিনের কাছে অবস্থান নিয়েছিলেন। পরে তারা রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, আদালতের রায়ের পর এখনো যারা আন্দোলন করছেন তারা প্রফেশনাল আন্দোলনকারী।
কোটা আন্দোলনকারীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে বৈষম্য দূর করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটা সংস্কার করে সংসদে আইন পাস করতে হবে।