জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, গাড়ি কিনতে বিনা সুদে ঋণ দেওয়া শুরুর পর প্রায় ২ হাজার ৩০০ কর্মকর্তা এই সুবিধা নিয়েছেন। এর মধ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই সুদমুক্ত ঋণসুবিধা নিয়েছেন ১ হাজার ২৩৪ কর্মকর্তা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নিয়েছেন ৮৪৭ জন। মানে হলো, বেশির ভাগ কর্মকর্তা শুরুতেই সুবিধাটি নিয়েছেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২০০ জনের মতো, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৯ জন এবং সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২১ জন কর্মকর্তা বিনা সুদের ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনেছেন।
কর্মকর্তাদের অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তাঁরা সরকারিভাবে সুদমুক্ত ঋণে গাড়ি কেনার পরও মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সংস্থার গাড়ি ব্যবহার করেন। মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা থেকে অথবা প্রকল্পের গাড়ি সরকারি পরিবহন পুলে জমা না দিয়ে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময় প্রকল্পের গাড়ি পরিবহন পুলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। তবে তাতে কেউ কান দেয়নি। সর্বশেষ গত ৮ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্পের যানবাহন সরকারি পরিবহন পুলে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে। এতে সাড়া যে পাওয়া যায়নি তা ফুটে ওঠে অধীন সংস্থাগুলোকে দেওয়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠিতে। গত ৩০ আগস্টের ওই চিঠিতে বলা হয়, সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্পের যানবাহনের তথ্য জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার জন্য গত ৪ জানুয়ারি অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চিঠিতে তথ্য পাঠানোর জন্য আবার অনুরোধ করা হয়।
সার্বিক বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।