ছয় ঋতুর বাংলাদেশে এখন শরৎকাল। এর পর হেমন্ত পার হয়ে আসবে শীত। তার আগেই বাজারে মিলছে শীতের সবজি। তবে, সেসব সবজির দাম আকাশছোঁয়া। তাই, সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরেই থাকছে শীতের সবজি।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের কিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি শিম ২০০ টাকা, চায়না গাজর ১৪০ টাকা, মুলা ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৬০ টাকা।
এছাড়া, প্রতি কেজি গোল বেগুন ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুরমুখি ৮০ টাকা এবং কচুর লতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি পিস জালি কুমড়া (চাল কুমড়া) ৬০ টাকা ও লাউ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা প্রতি হালি (চারটি) ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর বৃষ্টিতে ফলন নষ্ট হওয়ায় সবজির সরবরাহ কম। তাই, দাম বেশি।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্লাবন রহমান বাজার করতে এসেছেন। তিনি বলেন, দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে মাছ, মাংস, ডিম কেনার সাধ্য নেই। মধ্যবিত্তদের দৈনিক আহার ছিলই সবজি। সেই সবজির দামও এখন আকাশছোঁয়া।
আরেক ক্রেতা শামীম হোসেন বলেন, আগে ১ হাজার টাকায় যে বাজার করা যেত, এখন তা কিনতে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা প্রয়োজন হচ্ছে। কখনো কখনো তারচেয়েও বেশি টাকা লাগছে। জিনিসের দাম যে হারে বাড়ছে, আয় সে অনুপাতে বাড়ছে না।
মাংসের বাজার অনেকটাই স্থিতীশীল আছে। খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। গরুর মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে, মাছের বাজারে ইলিশের গায়ে আগুন। ২৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৬০০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ১ হাজার ২০০ টাকা। এর চেয়ে বড় আকারের ইলিশের দাম ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা।