বিশ্বকাপ দল ঘোষণা হয়েছে, সেই দল ইতোমধ্যে ভারতও পৌঁছেছে। কিন্তু বিশ্বকাপ দল ঘোষণার আগেই হঠাৎ করে সরগরম হয়ে ওঠা দেশের ক্রীড়াঙ্গন এখনও ঠিক শান্ত হতে পারেনি। তামিমের ১২ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তা কিংবা সাকিবের ২৭ মিনিটের সাক্ষাৎকার সবকিছু যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আলোচনায় রাখার একেকটি রসদ। সেই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন নাফিস ইকবালের স্ট্যাটাস।
বুধবার বিকেলে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দল ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়ে। এরপরই এক ভিডিও বার্তায় বিশ্বকাপ দলে নিজের না থাকা এবং গত কয়েকদিন ধরে চাউর হওয়া গুঞ্জন প্রসঙ্গে কথা বলেন তামিম। ওইদিন রাতেই একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত হয় সাকিবের সাক্ষাৎকার।
ওই সাক্ষাৎকারে তামিমের পাশাপাশি তার বড় ভাই নাফিস ইকবালকে টিম ম্যানেজারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ সময় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও ওয়ানডে ম্যাচের আগে নাফিস ইকবালের দল ছেড়ে যাওয়ার সমালোচনা করেন সাকিব। সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন নাফিস।
রাত ২টা ১৮ মিনিটে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে নাফিস ইকবাল লিখেন, আমি স্পষ্ট করতে চাই যে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডের সময় আমার জাতীয় দল ছাড়ার পদক্ষেপটি আবেগের বাইরে ছিল৷ কারণ ২৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ওয়ানডের দিন সকালে আমাকে জানানো হয়েছিল, আমি বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে টিম ম্যানেজার হিসেবে থাকব না। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। আমিও মানুষ এবং অন্য সবার মতো আমারও আত্মসম্মান আছে।
তিনি আরও লিখেন, আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং আমার ছোট ভাই তামিম ইকবালের চলমান পরিস্থিতির সঙ্গেও আমার এই পদক্ষেপের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমার মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার ৬/৭ ঘণ্টা পর বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হয়।
নাফিস লিখেছেন, আমি সেদিন বোর্ডের সাথে প্রটোকল এবং আচরণবিধি পুরোপুরি বজায় রেখেছি। মাঠে আসার আগে প্রধান কোচ এবং পরে বিসিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আমার মতামত জানিয়েছিলাম।
জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার লিখেন, আমি নিশ্চিত করেছি যে, আমি প্লেয়ার লিস্টে নিয়মমাফিক স্বাক্ষর করেছিলাম এবং নিউজিল্যান্ড সিরিজের কাগজপত্র অ্যাকাউন্টস বিভাগে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। আর বিশ্বকাপের জন্য আমাকে দেওয়া দৈনিক ভাতা ফেরত দেওয়াসহ কোনো কাজ অর্ধেক করা হয়নি।
তিনি আরও লিখেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পরিস্থিতিগুলো কিছু সম্মানের যোগ্য এবং কেউ ঘটনাগুলো সম্পর্কে না জেনে তার মতামত দিতে পারে না। আমি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সৎ ছিলাম এবং এখন বাংলাদেশ জাতীয় দল পরিচালনার অংশ হিসেবে আমি আমার সেরা আউটপুট দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি এবং তাই করে যাব।