বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য অনতিবিলম্বে বিদেশে পাঠাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তারা এই দাবি জানান। এতে তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকার পরও বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তার চিকিৎসার দায়িত্বে নিয়োজিত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জীবন বাঁচানোর জন্য তাকে অনতিবিলম্বে বিদেশে পাঠানো ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। এদেশে কোন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও রাজনৈতিক দলের নেতাকে বিদেশে চিকিৎসায় পাঠানোর নজীর রয়েছে। গণমাধ্যমে দেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীরাও খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর পেছনে কোন আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, নাগরিকদের জীবনের অধিকার সকল রাজনীতির ঊর্ধ্বে। এটি খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন প্রত্যাখান করে প্রদান করা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতে প্রতিফলিত হয়নি। যেহেতু চিকিৎসকদের মতে বেগম খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে তাকে অনতিবিলম্বে বিদেশ পাঠানো অত্যাবশ্যক এবং আইনজীবীদের মতেও তাকে বিদেশে পাঠানো সম্ভব, তাই এ বিষয়ে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পুনর্বিবেচনা করার এবং চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়াকে অনতিবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিদাতারা হলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, ব্রতীর প্রধান শারমিন মুরশিদ, আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, পরিবেশকর্মী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম, অধ্যাপক সি আর আবরার, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক স্বপন আদনান, অধ্যাপক হেলাল মহিউদ্দীন, মানবাধিকার কর্মী শিরিন হক, নূর খান লিটন, রেহনুমা আহমেদ, হানা শামস আহমেদ, নারী নেত্রী ফরিদা আখতার, ডা. নায়লা জেড খান, অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সংস্কৃতিকর্মী অরূপ রাহী, সাংবাদিক সায়েদা গুলরুখ, সমাজকর্মী নাসের বখতিয়ার আহমেদ।