বর্তমানে জাতীয় পর্যায়ে একটি পরিবারের গড় ঋণ ৭৩ হাজার ৯৮০ টাকা, মাথাপিছু গড় ঋণ ১৭ হাজার ৩৬৬ টাকা। ঋণগ্রস্ত পরিবার হিসেবে এই অঙ্ক আরো অনেক বেশি।
২০১৬ সালের একই জরিপে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ৩৭ হাজার ২৪৩ টাকা। মাথাপিছু ঋণ ছিল ৯ হাজার ১৭৩ টাকা। অর্থাৎ ছয় বছরের ব্যবধানে প্রতিটি পরিবারের ঋণ বেড়েছে ১১১ দশমিক ১০ শতাংশ।
ঋণগ্রস্ত পরিবারের গড়ে ঋণ জাতীয় পরিবারের ঋণের প্রায় আড়াই গুণ। ঋণগ্রস্ত পরিবারের গড় ঋণ এক লাখ ৮৭ হাজার ৩০৮ টাকা।
এসব পরিবারের মানুষের গড়ে মাথাপিছু ঋণ বেড়েছে ৪৩ হাজার ৯৬৯ টাকা।
বিশেষ করে শহরের মানুষকে বেশি ঋণ করতে হচ্ছে বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয়-ব্যয় জরিপ-২০২২-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
বিবিএস বলেছে, ২০২২ সালে জাতীয়পর্যায়ে ২১ দশমিক ১১ শতাংশ ব্যক্তি মাঝারি বা মারাত্মক খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ছিলেন।
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘নেতারা ‘সফল’ কর্মীরা হতাশ’। এতে বলা হচ্ছে, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবি আদায়ে গত দুই মাসে বিএনপির আন্দোলন সফল নাকি ব্যর্থ এ নিয়ে আলোচনা চলছে।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ আয়োজন করে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে মহাসমাবেশ পন্ড হয়ে যায়। পরদিন হরতালের ডাক দেয় দলটি।
এরপর ধাপে ধাপে হরতাল, অবরোধ, সমাবেশ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
কিন্তু বিএনপি নেতারা যেভাবে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম করার হুমকি-ধমকি দিয়েছিলেন, সেভাবে তাদের রাজপথে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে দেখা যায়নি।
বেশিরভাগ নেতাই আত্মগোপনে চলে গেছেন। এমন অবস্থায় বিএনপি কঠোর কর্মসূচির পরিবর্তে ভোট বর্জনের ডাক দিয়ে প্রচার ও অসহযোগ কর্মসূচি পালন করছে।
এদিকে ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর, ‘নির্বাচন নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্ত দিল বিএনপি’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকা সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে বৈঠকে সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরকারের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেছে বিএনপি।
কিভাবে সরকার আসন ভাগাভাগি করেছে, কেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তা ইইউকে জানানো হয়েছে।
বুধবার বিকেলে ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে বলে প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। নেতারা বলেন, নির্বাচনে কোনো বিরোধী দল নেই।
নির্বাচনী প্রচারণায় সংঘাত নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘সংঘাত, আচরণবিধি লঙ্ঘন বন্ধ হচ্ছে না’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের নানা ঘটনা ঘটছে। কোথাও সংঘাত সহিংসতা হচ্ছে, কোথাও হুমকি দেয়া হচ্ছে।
কোথাও সরকারি কর্মচারীরা প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারে নামছেন,কোথাও প্রতিপক্ষকে বাধা, হামলা ও আগুনের ঘটনা ঘটছে। নির্বাচন কমিশন ইসি ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে আসা কোন কোন ঘটনার ক্ষেত্রে প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া এবং জরিমানার মতো শাস্তি দিচ্ছেন।
সরকারি দলের পক্ষ থেকে সংঘাতে না জড়াতে সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে কিন্তু সংঘাত, সহিংসতা ও আচরণ বিধি লঙ্ঘন বন্ধ হচ্ছে না।
১৮ই ডিসেম্বর প্রচার শুরুর পর থেকে গত ১০ দিনে ৮৩ টি জায়গায় সংঘাত, সহিংসতার ঘটনা ঘটলো। আর তফসিল ঘোষণার পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত আচরণবিধি লঙ্ঘনের মোট ২৫৬টি অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কমিটিগুলো।
অবশ্য প্রার্থীদের কেউ কেউ মনে করেন ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও পুলিশ জোরালো ভূমিকা রাখছে না।
নির্বাচনী হলফনামায় প্রার্থীদের সম্পদের পরিমাণ নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘সংকটেও মন্ত্রী-এমপির সম্পদ বৃদ্ধিতে প্রশ্ন’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলমান অর্থনৈতিক সংকটের কঠিন সময়েও এমপি-মন্ত্রী অনেকের আয় ও সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ।
হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলেও শাস্তির কথা আইনে স্পষ্ট নেই। এরই সুযোগ নিয়েছেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরাও -এমনটাই দাবি বিশ্লেষকদের।
অবশ্য মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের হিসাব সম্পর্কিত কোনো অভিযোগ জমা পড়লে সেটা আমলে নিয়ে অনুসন্ধানে নামবে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সাধারণ ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের ভাষ্য, তাদের আয় ও সম্পদ কমেছে অর্থনৈতিক সংকটে। সংসার চালানো দায়। সেখানে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে মন্ত্রী-এমপিদের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির গতি মেলে না।
আওয়ামী লীগের ইশতেহার নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর, ‘AL promises getting bigger’ অর্থাৎ, ‘আওয়ামী লীগ আরো বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে’। খবরে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, যাতে ১১টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে কাজ করা হবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বুধবার আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহার উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন।
এবারের দলের ট্যাগলাইন হল: স্মার্ট বাংলাদেশ, ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে কর্মসংস্থান’
৯৮ পৃষ্ঠার ইশতেহারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ভিত্তিতে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সেইসাথে কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানো, শিল্পের সম্প্রসারণ এবং ব্যাংকসহ আর্থিক খাতের ক্ষমতায়নেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা, ব্যাপক সার্বজনীন পেনশন প্রকল্প, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জবাবদিহিতা, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল, দুর্নীতি, ঘুষ, স্বজনপ্রীতি ও ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি এবং সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক চর্চার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।
যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘দেশে দারিদ্র্য কম বৈষম্য বেশি’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে ধারাবাহিকভাবে দারিদ্র্যের হার কমলেও বেড়েছে আয়বৈষম্য। সেই সঙ্গে গ্রামে বেড়েছে মানুষের খরচ।
পাশাপাশি বেড়ে গেছে পরিবারভিত্তিক ঋণ গ্রহণও। এছাড়া ঋণ করে সংসার চালায় দেশের ৩৭ শতাংশ মানুষ।
একটি পরিবারের ঋণ ৭৩ হাজার ৯৮০ এবং মাথাপিছু ১৭ হাজার ৩৬৬ টাকা। গ্রামের তুলনায় শহরের পরিবারগুলোর ঋণ ২১০ শতাংশ বেশি।
এছাড়া শহরের চেয়ে গ্রামে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতাও বেশি। পাশাপাশি ভাত খাওয়া কমেছে, বেড়েছে অন্যান্য খাদ্য গ্রহণ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)২০২২ সালের হিসাবে এসব তথ্য দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের সার্বিক দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক সাত শতাংশে।
দেশে ২০১৬ সালের তুলনায় ২০২২ সালে দারিদ্র্যের হার সাত দশমিক সাত শতাংশ কমেছে। অতিদারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশে।
এছাড়া দেশের সর্বোচ্চ ধনী ৫ শতাংশ মানুষের আয় মোট আয়ের ৩০ দশমিক চার শতাংশ।
অপরদিকে সর্বপাঁচ শতাংশ দরিদ্র মানুষের আয় মোট আয়ের শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ। এখানে স্পষ্ট হয়েছে যে, ধনী ও গরিবদের মধ্যে ব্যাপক বৈষম্য বিরাজ করছে।
ধনীদের আয় বাড়ছে উচ্চহারে, আর গরিবদের বাড়ছে ধীরে।
চলতি বছরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Dengue takes heavy toll all year round’ অর্থাৎ ‘সারা বছরই ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকছে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এক সময়কার মৌসুমী রোগ ডেঙ্গু এখন সারাদেশে বিশেষ করে ঢাকায় মানুষের ওপর সারা বছর ধরে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
বাংলাদেশে বিগত বছরগুলোতে মে থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যেতো।
নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে শীতকালে সাধারণত ডেঙ্গু ভাইরাসের বিস্তার কম ছিল।
কিন্তু এই বছর, ডেঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে, এমনকি ডিসেম্বরেও।
এ বছর ডেঙ্গুতে এ পর্যন্ত এক হাজার ৬৯৯ জন মারা গেছেন, আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিন লাখ ২০ হাজার ৮৩৫ জন।
২০০০ সালে সরকারী গণনা শুরু হওয়ার পর থেকে এই বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বিগত বছরগুলোর মোট মৃত্যুর দ্বিগুণেরও বেশি।
বিগত বছরগুলোর মতন, এ বছর বাংলাদেশে ডেঙ্গুর মৌসুম আট মাস ধরে চলেছে।
এর পেছনে কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং জনসচেতনতার অভাবকে দায়ী করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পটুয়াখালীর পায়রায় এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল)।
সংস্থাটি এখন পায়রায় একই সক্ষমতার কয়লাভিত্তিক আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
সেইসাথে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার একটি এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল)।
সেইসাথে দেশের গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুতের মোট উৎপাদন সক্ষমতায় যুক্ত হতে যাচ্ছে আরো তিন হাজার ৮৪০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু রাখতে হবে আমদানিনির্ভর জ্বালানি কয়লা ও এলএনজি ব্যবহার করে। এতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) আর্থিকভাবে আরো চাপে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সংস্থাটির কাছে এরই মধ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুতের বিল বাবদ পাওনা বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকে রয়েছে।
গতকাল নেপিয়ারে দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগাররা পাঁচ উইকেটে পরাজিত করে স্বাগতিকদের। দেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে এটিই সর্বনিম্ন রান নিউজিল্যান্ডের।
এতে চলমান সফর দিয়ে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের দীর্ঘ অপেক্ষা। পূরণ হয়েছে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই জয়ের চক্র।
এবারের সীমিত ওভারের দুই জয়ের আগে গত বছরের শুরুতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। প্রতিটি জয়েই লক্ষণীয় বিষয় হল পেসারদের উজ্জ্বল পারফরম্যান্স।