মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বরণে মন্ত্রণালয়ে সাজসাজ রব

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা আজ সচিবালয়ে প্রথম অফিস করবেন। মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের বরণে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে সাজসাজ রব।

ধোয়া মোছা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, মন্ত্রীদের কক্ষের চেয়ারটেবিল ও কার্পেট পরিপাটির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। পরিবর্তন করা হয়েছে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের নেমপ্লেট। মন্ত্রীরা সচিবালয়ে পৌঁছলে তাদের ফুলেল অভ্যর্থনা জানাবেন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা। সচিবের নেতৃত্বে পদস্থ কর্মকর্তারা তাদের বরণ করবেন। এরপর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে পরিচিতি সভা।

 

মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের সম্মতির ভিত্তিতে সচিব মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড তাদের অবহিত করবেন- মন্ত্রণালয়ে কয়টি অনুবিভাগ রয়েছে। কোন অনুবিভাগের কী কাজ। উন্নয়ন ও রাজস্ব বরাদ্দ কত। মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানে কত জনবল কর্মরত। কতটি পদ শূন্য রয়েছে। কতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং কতটি বিভাগীয় মামলা চলমান আছে। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি কতটুকু। বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প কয়টি। মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার কোনো প্রকল্প আছে কি না। থাকলে বাস্তবায়নে অগ্রগতি কতটুকু। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তাদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। কর্মকর্তা কর্মচারীরা মন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। গতি পাবে ঝিমিয়ে পড়া মন্ত্রণালয়ের কাজে।

 

জানতে চাইলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্বাছ উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। বিশেষ করে মন্ত্রীকে বরণে সচিবের নেতৃত্বে আমরা সভাই থাকব। ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হবে। ইতোমধ্যে নেমপ্লেট পরিবর্তন করা হয়েছে।

 

তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের উপসচিব গোলাম আজম যুগান্তরকে বলেন, প্রতিমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ করা রুমটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন কোনো প্রতিমন্ত্রী না থাকায় রুমটি বেশ অগোছালো ছিল। এখন সুন্দর করে প্রস্তুত করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, প্রতিমন্ত্রী কি তার জন্য নির্ধারিত কক্ষে বসবেন নাকি সাবেক মন্ত্রীর রুমে বসবেন তা সম্পূর্ণ তার সিদ্ধান্ত। আমরা দুটি রুমই প্রস্তুত করে রেখেছি। তিনি যেখানে বসতে চান, সেখানেই বসতে পারবেন।

 

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে একইরকম তথ্য জানা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা হচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী। তাদের বরণ করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি থাকছে। যথাযথ মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে তাদের স্বাগতম জানানো হবে। যারা এর আগের অর্থাৎ ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, তাদেরও যথাযথ পর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে অভ্যর্থনা জানানো হবে। তবে যারা গত মন্ত্রিসভায় ছিলেন এবং পুনরায় একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, তাদের হয়তো মন্ত্রণালয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ নাও থাকতে পারে। তার পরও আমরা প্রস্তুতি নিয়েই নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে পরিচিতি সভা করব। তাদের কাছ থেকে মূল্যবান পরামর্শ ও উপদেশ গ্রহণ করব।

এদিকে সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে যোগদান শেষে প্রথম অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করবেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। মন্ত্রী সকাল ১০টায় প্রথমে মন্ত্রণালয়ে যোগদান শেষে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন, সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং মন্ত্রণালয় সম্পর্কে অবহিত হবেন। এরপর দুপুর ১২টায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তার দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এছাড়া ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বেলা ১১টায় সচিবালয়ে অফিস করবেন। দায়িত্ব গ্রহণ এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিতি সভা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বেলা ১১টায় সচিবালয়ে অফিস করবেন। তবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন কিনা সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

Source link

এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে ফেইসবুক পেজটি লাইক দিন এবং এই রকম আরো খবরের এলার্ট পেতে থাকুন

 আরো পড়তে পারেন:  

Loading...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *